ভুতে ধরা দিন-
দেশ থেকে এবার বেশ কিছু প্রিয় বই নিয়ে এসেছি। তারই একটা বইয়ের ভেতর হঠাৎ “মরাল'' খুঁজে পেলাম।
আমাদের পত্রিকা “যুযুধান' বের করার পর, পোষ্টারে আমার নাম ও রুম নাম্বার পেয়ে খুঁজে খুঁজে আমার রুমে এসেছিলো মূর্তালা রামাত। মরালের সম্পাদক। হাতে মরালের বেশ কয়েকটা সংখ্যা। লিফলেট ধরণের এই পত্রিকাগুলোকে মাইক্রোম্যাগ বলে। ওর কাছ থেকে নিয়ে বেশ কিছু সংখ্যা প্রায় এক বসাতেই পড়েছিলাম, অবাক লাগছিলো- এইটুকু ছোট্ট জায়গায়ই ওরা কি প্রচন্ড শক্তি ধরে!
মুর্তালার সাথে বন্ধুত্ব গভীর হতে বেশি সময় নেয় নি। একসাথে অনেক সময় কাটিয়েছি পরে। আমি যুযুধান নিয়ে আমার স্বপ্নের কথা বলতাম, আর ও কথা বলতো মরাল নিয়ে। ওর কাছে যুযুধানের জন্যে কবিতা চাইতেই ওর পুরো কবিতার খাতাটা এনে দিয়েছিলো আমাকে।
আমাদের বয়েসী যে ক'জন কবিকে চিনি আমি, তাদের মধ্যে মূর্তালার কবিতা উল্লেখযোগ্য রকম শক্তিশালী- কোন সন্দেহ নেই।
এবার গিয়ে সময়ের টানাটানিতে ছিলাম, তবু দেখা হয়েছে ওর সাথে। একটা প্রাইভেট রেডিওতে ঢুকেছে বললো, আরো জানালো - ইদানীং গান লিখছে। খুব মজা লাগলো শুনে।
পত্রিকা বের করাটা খুব সহজ কাজ নয়। মাথার মধ্যে ভুত চাপতে হয়, নাহলে হয় না।
আজ অনেকদিন পর মরাল দেখে সেই ভুত চাপা দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো। পুরোনো বন্ধুদের কথা মনে পড়ে গেলো।
আহা,
কোথা লিখে রাখি এত প্রিয় নাম,
যারা পাশাপাশি একদা ছিলাম!