তারেক নূরুল হাসান

  ক্লাস ইলেভেন-এর পাঠ্যবইয়ে প্রথম পড়েছিলাম সমারসেট মম্‌-এর The Luncheon গল্পটা।   এখনও মাঝে মাঝেই মনে হয়, পাঠ্যসূচী কার তৈরি করা ছিল জানি না, কিন্তু আমাদের ইন্টারের ইংরেজি বইয়ের সবগুলো লেখাই দুর্দান্ত ছিল আসলে। বিশাল ইংরেজি সাহিত্য-জগতের প্রতি ভালোলাগার দরজা খুলে দেয়ার জন্যে, অন্তত আমার ক্ষেত্রে, খুবই কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিল সেগুলো।   সেই দারুণ গল্পটা অনুবাদের চেষ্টা করবো ভেবে রেখেছিলাম অনেকদিন ধরেই। তবে অনুবাদের নিয়ম-কানুন নিয়ে সদা সংশয়ে ভুগি। বাংলাদেশে প্রচলিত ধারার অনুবাদ পড়ে তেমন আরাম পাই না আমি। আমার এখনও সবচেয়ে বেশি পছন্দ সেবা প্রকাশনী আর সত্যজিৎ রায়ের করা অনুবাদগুলোই।   এই গল্পটা অনুবাদ করতে বসার আগে নিজের জন্যে একটা চেকলিস্টের মত করে নিয়েছিলাম; সেবা আর সত্যজিতের অনুবাদ সামনে রেখে একটা হোমওয়ার্কের মতন ব্যাপার। অনুবাদের সময় চেষ্টা করেছি সেগুলো মেনে চলতে।   শেষমেশ যা দাঁড়িয়েছে সেটাকে অনুবাদ না বলে রূপান্তর বলাই সমীচীন হবে বোধহয়।   গল্পটি পড়া যাবে এই লিংক থেকে।  

সাতচল্লিশ সালের দেশভাগ নিয়ে লেখাপত্র আমি আদতে এড়িয়ে চলি। যা কিছু পড়েছি, নন-ফিকশান অথবা গল্প-উপন্যাসে, কোনো অভিজ্ঞতাই স্বস্তিকর হয়নি আমার জন্যে। পড়তে চাই, কিন্তু পেয়েও পড়িনি, এরকম টেক্সটের সংখ্যাও কম নয়। হাসান আজিজুল হকের আগুনপাখি শুরু করেই থামিয়ে দিয়েছিলাম, আজও শেষ করা হয়নি। মাহমুদুল হকের লেখায় অবশ্য দেশভাগ এসেছে, তবে তিনি তার ওপরে একটা মায়ার পর্দার আড়াল টেনে লিখে গেছেন, তাই সেসব পড়ে ফেলতে পেরেছি শেষমেশ। কিন্তু সেগুলোও আমার মনোজগতে বিশাল ঝামেলা করে রেখে গেছে।   এসবই একান্তই আমার ব্যক্তিগত অপারগতা অবশ্য, ঢোল পিটিয়ে বলার মত কিছু নয়।   আমি আজ অব্দি এই দেশভাগের ব্যাপারটা ঠিকমত বুঝে উঠতে পারিনি। লক্ষ কোটি মানুষ একরাতের ব্যবধানে হঠাৎ করে ঘরছাড়া হয়ে গেছে, দেশহীন হয়ে গেছে; শুধু ভিন্ন ধর্মের বলে জন্মাবধি প্রতিবেশী তার সব কিছু ছিনিয়ে নিতে উদগ্রীব; চেনা হোক কি অচেনা, প্রাণে মেরে ফেলতে একটুও দ্বিধা হচ্ছে না শুধুমাত্র ভিন্ন নামের বলে … । আমি কিছুতেই মানুষের এই তীব্র কদর্য চেহারা মেনে নিতে পারি না।   দময়ন্তী-র লেখা “ সিজনস অব বিট্রেয়াল ” অনেক আগে হাতে এলেও, এতদিন সেটা পড়া হয়ে উঠছিল না এ কারণেই। সম্

  প্রায় দশ বছরের লম্বা বিরতি দিয়ে পর পর দু’টি গল্প লিখে ফেলেছিলাম গত বছরে।   এটি তাদের মধ্যে দ্বিতীয়টি।   কিছুদিন আগে সেটা গুরুচন্ডা৯ ব্লগে তুলে দিলাম।   পড়া যাবে এই লিংক থেকেঃ গল্প- বিপ্রতীপ ।  

  দীর্ঘদিন পরে নতুন বৈঠক নিয়ে এলাম ইউটিউবে। এরপর থেকে আরও নিয়মিত হবার চেষ্টা করতে হবে।