Posts

Showing posts from July, 2020

বাংলা ইবই এলো কাদের হাত ধরে?

Image
| বাংলা ইবই এলো কাদের হাত ধরে? |   মাসতিনেক ধরে একটা খুব দারুণ ভালো ব্যাপার ঘটে চলছে বাংলা বইয়ের জগতে, সেটা হচ্ছে, হঠাৎ করে অনেকগুলো প্রকাশনী এবং অনেক পাঠক বাংলা ইবই প্রকাশে ও পাঠে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।এতগুলো বছর আন্তর্জালে বাংলা ইবই ছিল খুবই স্বল্প-সংখ্যক, একেবারে হাতে গোনা যাকে বলে। তুলনায় এ বছরের প্রথমার্ধেই বিভিন্ন ইবুক স্টোরে বাংলা ইবইয়ের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এর চেয়ে খুশির খবর আমার জন্যে আসলেই আর কিছু নেই। লম্বা সময় ধরে বাংলা ইবইকে জনপ্রিয় করতে এর খুঁটিনাটি নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে আসছি। গত কয়েকবছরে বেশ কয়েকটি বইয়ের ক্রমবর্ধমান বিক্রি এ ব্যাপারে আমাকে আরও বেশী আশাবাদী করে তুলেছে। যদিও বাংলাদেশে অনলাইন পেমেন্ট এবং ইবুকস্টোরের ব্যবহার সহজসাধ্য না হওয়ায় দেশের বাজারে ইবই প্রকাশের বাঁধা এখনও কাটেনি, তবে দেশের বাইরে বাংলা ইবইয়ের পাঠকসংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে, সম্ভবত, এই মহামারীর কারণেই, ঘরে বসে সহজলভ্য হবার সুবাদেই বাংলা ইবই প্রকাশের হার অনেক বেড়েছে। এর মধ্যেই হঠাৎ খেয়াল করলাম, বাংলা ইবই কারা প্রথম প্রকাশ করা শুরু করেছেন বা কে কত আগে থেকে বাংলা ইবই প্রক

নিরালা নীলে | আসাদুজ্জামান নূর

Image
৬৪ পৃষ্ঠার বইয়ের শেষ এগার পাতায় ছবি দেয়া। ভূমিকা এবং বারো পৃষ্ঠার প্রথম লেখাটি শুধু নূরের নিজের লেখা। বাকি সব অনুলিখন।  এই বইয়েয়ে লেখকের নামের জায়গায় আসাদুজ্জামান নূর থাকাটা কি সঠিক হয়েছে?  আমার তা মনে হচ্ছে না।  ভূমিকায় তিনি জানিয়েছেন- অনুলেখকের অসহনীয় চাপে পড়ে এই বই প্রকাশিত হয়েছে। চাপের কারণ কী জানি না, কিন্তু সে চাপে রাজি না হলেই হয়ত ভাল হতো।  আসাদুজ্জামান নূর খুব প্রিয় মানুষ বলেই বইটি শেষমেশ পড়ে গেলাম। অভিনয় শুধু নয়, তাঁর আবৃত্তি, নাটকে সংলাপ যেভাবে বলেন এবং সর্বোপরি তাঁর বাংলা উচ্চারণের আমি দারুণ ভক্ত। সেই ভাললাগা থেকে, বইয়ে তাঁর একমাত্র স্মৃতিকথাটুকু পড়লাম।  এটুকুই খুব ভাল লেগেছে।  বাকিটুকু নিয়ে কিছু না-ই বলি, থাক।

ব্যক্তিগত | উৎসব রায়

Image
এই সময়ের বাঙালী পাঠক হওয়ার যন্ত্রণা হলো, ভাল কবিতা পড়তে চাইলে এখনো পুরনো প্রেমের কাছে ফিরে যাওয়ার মত করে বুককেসের পুরনো কবিতার বইগুলোকেই কাছে টেনে নিতে হয়। সব চেনা নাম সেখানে, চেনা আশ্রয়, মনের ভেতরে যারা ঈশ্বরের জায়গা নিয়ে বসে আছেন। এই আকালে, উৎসব রায়ের কবিতা পড়ে ভাল লাগল অনেক। মনে হলো- নতুন কোনও কবি হয়তো আমাদের দিগন্তরেখায় ধীরে ধীরে উঁকি দিচ্ছেন- যার কবিতায় পুরনো ভালোলাগাগুলোকে নতুন করে পাওয়ার আশা জাগে।

সত্যজিৎকে নিয়ে | শঙ্করলাল ভট্টাচার্য

Image
একটানা একটাই বই পড়ে যাওয়ার আনন্দ, অনেকদিন হলো, পাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠছিল না। সমস্যা আমারই, একই সঙ্গে কয়েকটা বই পড়তে থাকি। সেগুলোর অবস্থানও ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়; কোনোটা বিছানার পাশের সাইডটেবলে, তো কোনোটা কাজের টেবলের ওপরে। একটা ফোনে তো অন্যটা কিন্ডলে। যখন যেখানে পড়তে সুবিধা হয় আর কি।   এই অনভ্যাসের মধ্যেও এই বইটা টানা পড়ে শেষ করে ফেললাম। ছোট বই, লকডাউনের জন্যে বাসায় বন্দী- যখন যে রুমে গিয়েছি সাথে করে নিয়ে ঘুরেছি।   বইটির নাম 'সত্যজিৎকে নিয়ে'- কারণ হিসেবে এটাই আসলে যথেষ্ঠ। কিন্তু তার সঙ্গে লেখকের কৃতিত্ব না দিলে অন্যায় হবে। শঙ্করলাল ভট্টাচার্যের অনেক গুণ, তিনি গল্প উপন্যাস লিখেন, আবার সাংবাদিক, সেই সাথে সংগীতজ্ঞও বটে।   এই বইটি মূলত সত্যজিতের কয়েকটি সাক্ষাৎকারের সংকলন, শঙ্করলালের নেয়া। এবং সেই সাথে কয়েকটি পত্রিকায় ছাপা হওয়া নিবন্ধও রয়েছে। বলা বাহুল্য সেগুলোও সত্যজিৎ সম্পর্কিত।   শঙ্করলালের বর্ণনায় সাংবাদিকসুলভ 'টু দ্য পয়েন্ট' টোনের বদলে বরং লেখকসুলভ একটা আরামদায়ক অলসতা খেয়াল করলাম। শুরুর লেখাটায় সত্যজিতের বসার ঘরে বসে তাঁর জন্যে অপেক্ষা করতে করতে কী ক