Posts

Showing posts from 2020

মধ্যাহ্নভোজ | উইলিয়াম সমারসেট মম্‌ | রূপান্তরঃ তারেক নূরুল হাসান

  ক্লাস ইলেভেন-এর পাঠ্যবইয়ে প্রথম পড়েছিলাম সমারসেট মম্‌-এর The Luncheon গল্পটা।   এখনও মাঝে মাঝেই মনে হয়, পাঠ্যসূচী কার তৈরি করা ছিল জানি না, কিন্তু আমাদের ইন্টারের ইংরেজি বইয়ের সবগুলো লেখাই দুর্দান্ত ছিল আসলে। বিশাল ইংরেজি সাহিত্য-জগতের প্রতি ভালোলাগার দরজা খুলে দেয়ার জন্যে, অন্তত আমার ক্ষেত্রে, খুবই কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিল সেগুলো।   সেই দারুণ গল্পটা অনুবাদের চেষ্টা করবো ভেবে রেখেছিলাম অনেকদিন ধরেই। তবে অনুবাদের নিয়ম-কানুন নিয়ে সদা সংশয়ে ভুগি। বাংলাদেশে প্রচলিত ধারার অনুবাদ পড়ে তেমন আরাম পাই না আমি। আমার এখনও সবচেয়ে বেশি পছন্দ সেবা প্রকাশনী আর সত্যজিৎ রায়ের করা অনুবাদগুলোই।   এই গল্পটা অনুবাদ করতে বসার আগে নিজের জন্যে একটা চেকলিস্টের মত করে নিয়েছিলাম; সেবা আর সত্যজিতের অনুবাদ সামনে রেখে একটা হোমওয়ার্কের মতন ব্যাপার। অনুবাদের সময় চেষ্টা করেছি সেগুলো মেনে চলতে।   শেষমেশ যা দাঁড়িয়েছে সেটাকে অনুবাদ না বলে রূপান্তর বলাই সমীচীন হবে বোধহয়।   গল্পটি পড়া যাবে এই লিংক থেকে।  

সিজন্স অব বিট্রেয়াল | দময়ন্তী

Image
সাতচল্লিশ সালের দেশভাগ নিয়ে লেখাপত্র আমি আদতে এড়িয়ে চলি। যা কিছু পড়েছি, নন-ফিকশান অথবা গল্প-উপন্যাসে, কোনো অভিজ্ঞতাই স্বস্তিকর হয়নি আমার জন্যে। পড়তে চাই, কিন্তু পেয়েও পড়িনি, এরকম টেক্সটের সংখ্যাও কম নয়। হাসান আজিজুল হকের আগুনপাখি শুরু করেই থামিয়ে দিয়েছিলাম, আজও শেষ করা হয়নি। মাহমুদুল হকের লেখায় অবশ্য দেশভাগ এসেছে, তবে তিনি তার ওপরে একটা মায়ার পর্দার আড়াল টেনে লিখে গেছেন, তাই সেসব পড়ে ফেলতে পেরেছি শেষমেশ। কিন্তু সেগুলোও আমার মনোজগতে বিশাল ঝামেলা করে রেখে গেছে।   এসবই একান্তই আমার ব্যক্তিগত অপারগতা অবশ্য, ঢোল পিটিয়ে বলার মত কিছু নয়।   আমি আজ অব্দি এই দেশভাগের ব্যাপারটা ঠিকমত বুঝে উঠতে পারিনি। লক্ষ কোটি মানুষ একরাতের ব্যবধানে হঠাৎ করে ঘরছাড়া হয়ে গেছে, দেশহীন হয়ে গেছে; শুধু ভিন্ন ধর্মের বলে জন্মাবধি প্রতিবেশী তার সব কিছু ছিনিয়ে নিতে উদগ্রীব; চেনা হোক কি অচেনা, প্রাণে মেরে ফেলতে একটুও দ্বিধা হচ্ছে না শুধুমাত্র ভিন্ন নামের বলে … । আমি কিছুতেই মানুষের এই তীব্র কদর্য চেহারা মেনে নিতে পারি না।   দময়ন্তী-র লেখা “ সিজনস অব বিট্রেয়াল ” অনেক আগে হাতে এলেও, এতদিন সেটা পড়া হয়ে উঠছিল না এ কারণেই। সম্

গুরুচন্ডা৯ ব্লগে দেয়া গল্প- বিপ্রতীপ।

  প্রায় দশ বছরের লম্বা বিরতি দিয়ে পর পর দু’টি গল্প লিখে ফেলেছিলাম গত বছরে।   এটি তাদের মধ্যে দ্বিতীয়টি।   কিছুদিন আগে সেটা গুরুচন্ডা৯ ব্লগে তুলে দিলাম।   পড়া যাবে এই লিংক থেকেঃ গল্প- বিপ্রতীপ ।  

বইদ্বীপ বৈঠক | পডকাস্ট ৩ | জেন ইন দ্য আর্ট অব রাইটিং | রে ব্র্যাডবেরি

Image
  দীর্ঘদিন পরে নতুন বৈঠক নিয়ে এলাম ইউটিউবে। এরপর থেকে আরও নিয়মিত হবার চেষ্টা করতে হবে। 

২০১৬, ৬ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার

    তীব্র একটা মাথাব্যথা নিয়ে সামনের কালো স্ক্রিনের দিকে চুপ করে তাকিয়ে আছি। মনে হচ্ছে যেন মাথার ভেতরে করোটির আকাশে বর্ষার ঘন কালো মেঘ ভিড় করে আছে অনেকগুলো। একটা লম্বা কোনো বাঁশের লাঠি দিয়ে সেগুলোকে ঠেলে সরিয়ে দিতে মন চাইছে। ডান দিক থেকে ঠেলতে ঠেলতে মেঘগুলোকে বাম দিক দিয়ে বের করে দেয়া গেলে ভালো হতো। অথবা বাম থেকে ঠেলে ঠেলে ডান দিক দিয়ে। জাস্ট মাথা থেকে বের করে দেয়া আর কি, যেমন করেই হোক।   মাঝে মাঝে আবার সেই মেঘে বজ্রপাতও হয়, ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায় তখন। কপাল আর চোখের মধ্যবর্তী   কোনো একটা অংশ হঠাৎ চিড়িক দিয়ে ওঠে। আমি বামদিকের চুল টেনে ধরি। তাতে কাজ হয় না, তখন চুলের ভেতরে আঙুল চালিয়ে মেঘগুলোকে এদিক ওদিক সরিয়ে দিতে থাকি। কিছু সরে সরে যায়, কিছু রয়ে যায়। আমার মনে হতে থাকে চার বছর আগের যে কোনো একটা দিন, পুরনো হয়ে যাওয়া আমাদের সেই দোতলা বাড়ির সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে উঠে এসে আম্মু যদি এখন আমার কপালে হাত রাখতো, মেঘগুলো ঝরে গিয়ে মাথা ব্যথাটাও নিশ্চিত কোথাও চলে যেত।  

মারজারি বারনার্ড

Image
Marjorie Faith Barnard   মারজারি বারনার্ড - এর দি পারসিমন ট্রি - খুব বিষণ্ণ একটা গল্প। মনোলগের মত করে লেখা।   শহরতলীর একটা নির্জন রাস্তার পাশে গল্পের কথকের বাড়ি। সে বাড়ির জানালায় দাঁড়িয়ে সে রোজ বাইরে চেয়ে থাকে। গল্পজুড়ে একাকীত্ব আর অপেক্ষা। রাস্তার উল্টোপাশের জানালায় সেই মেয়েটিকে দেখা যাবে কি না…।   “Her window was open all day long now, very fine thin curtains hung in front of it and these were never parted. Sometimes they moved but it was only in the breeze.”   গল্পের এই অংশটুকু পড়ে হঠাৎ চমকে গেলাম। পড়া থামিয়ে এক মুহুর্ত চুপ করে থাকতেই যেন কানে ভেসে এলো, “সারাদিন গাছের ছায়ায়, উদাসী দুপুর কেটেছে; যা শুনে ভেবেছি এসেছ, সে শুধু পাতারই আওয়াজ… সারাদিন তোমায় ভেবে…।”   শহর, দেশ অথবা সময়ের পার্থক্য মুছে দিয়ে কেমন করে যেন দু’জন মানুষের বেদনা মিলে মিশে যায়।  

হেমিঙওয়ে

Image
Ernest Hemingway গল্পের চরিত্র বোঝাতে গিয়ে আমরা Character শব্দটা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি।   খেয়াল করে দেখেছি, লেখার আগে আমি ক্যারেক্টারগু লো নিয়ে অনেক সময় নিয়ে চিন্তা করি, গল্প বা প্লটের তুলনায় অনেক বেশি সেটা। কারণ ঘটনা বা প্লট আসলে কেবল একটা জায়গা তৈরি করে দেয় চরিত্রের জন্যে, তার বেশি কিছু নয়।   ভাবতে ভাবতে সেই চরিত্রগুলো একেবারে সিনেমার মত জীবন্ত হয়ে এলে তারপরে তাদের নিয়ে গল্প লেখা শুরু করি। কারণ লেখাটা তখন আমার জন্যে সহজ হয় অনেক। আমার সবগুলো গল্পই এভাবে লিখেছি, কোনও ব্যাতিক্রম নেই।   ইদানীং এই ভাবনাগুলোকে একটা প্রসেসে ফেলার চেষ্টা করছি। নিজের সুবিধার জন্যেই। ভাবার চেষ্টা করছি, একটা চরিত্র কী করে জীবন্ত হয়ে ওঠে? সেটা একটা উপায়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি সম্ভব। যদি সেই চরিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড জানি আমরা। মানে গল্পে তার যতটুকু উপস্থিতি, সেটার আগে-পরের ঘটনাও যদি জানা থাকে আমাদের। যেমন, সেই চরিত্রের ছোটবেলা, তার ভাবনা, ভয় এবং ভালোবাসা নিয়ে যদি আমরা জানি।   আরও সহজ করে বললে, যদি সেই চরিত্রের স্মৃতি বা মেমরিজে আমাদের access থাকে, তাহলেই হয়তো সেই চরিত্রের ‘জীবন্ত’ হয়ে ওঠা সম্ভব।   হেমিঙওয়ে-র ‘আ মুভ

হযবরল | সুকুমার রায়

Image
  হযবরল by Sukumar Ray My rating: 5 of 5 stars গল্প লিখতে বসে যদি কখনও কল্পনার রসদে টান পড়ে তাহলে এই বইটি পড়ে নিয়ে আবার লেখায় ফিরতে পারেন। আবার সম্পূর্ণ উল্টো ব্যাপার যদি ঘটে; নিজের গল্পে যদি লাগামছাড়া কল্পনার যোগান দেয়া নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন; যদি মনে হয়, বেশি হয়ে যাচ্ছে কি না, পাঠকে নিতে পারবে কি না, অথবা আপনি সামলাতে পারবেন কি না, তাহলেও এই বইটি পড়ুন। এটি নিছক কোনও হাসির বই নয়। বাঙালী লেখকদের জন্যে এটি অসীম উৎসাহ আহরণের নিমিত্তে অত্যাবশ্যকীয় একটি টেকস্টবুক। View all my reviews

পরানের গহীন ভিতর | সৈয়দ শামসুল হক

Image
  পরানের গহীন ভিতর by Syed Shamsul Haque My rating: 5 of 5 stars মনে করতে পারছি না প্রথম কবে পড়েছিলাম, কিন্তু এত বছরের ব্যবধানে সম্পূর্ণ বইটা মাত্রই তৃতীয় বা চতুর্থবারের মত পড়া হলো। অথচ খুব পরিচিত লাইনগুলো বারবার দেখা বা শোনার জন্যেই কীরকম মাথায় ঢুকে বসে থাকে সবসময়, প্রায়শই বিড়বিড় করে আউড়ে যাই। এবারে পুরো বই পড়তে গিয়ে কিছু লুকনো মণি মাণিক্যের খোঁজ পেলাম। যেমন এই লাইনটা- 'আমার আন্ধার নিয়া দেয় না সে একটাও তারা।' অথবা এটা- 'মানুষ বোঝে না বইলা পুন্নিমার চান এত হাসে।' শেষ করে অনেক কিছুই মনে হলো। মনে হলো - এই বিশ্বায়নের যুগে বসে কোনও রকম মিশেল এড়িয়ে কি এরকম বিশুদ্ধ মাটিমাখা অনুভূতির কবিতা লেখা সম্ভব? মনে হলো- সৈয়দ হকের মত প্রতিভাবান মানুষ খুব বেশি কি পেয়েছে বাংলা ভাষা? View all my reviews

আমরা সংস্কৃতিপ্রেমী বাঙালী সমাজ-

  আমরা হাসির গানে ভুঁড়ি দুলিয়ে হাসি, দুঃখের গান শুনে আহা উঁহু করে চোখে পানি আসুক বা না আসুক ফ্যাতফোত করে নাক টানি ঠিকই। নতুন গান শুনে হাততালি দিই, পিঠ চাপড়ে দিই, সেই গান ভুল বানানে লিখে এসএমএস পাঠিয়ে প্রেমিকার সাথে পেম-পেম খেলি। কিন্তু ক্ষুধার্ত শিল্পী সে গানের মূল্য চাইতে এলে এমন একটা ভাব করি যেন আমাদের পেটে লাথি মারল কেউ। ব্যাটা শিল্পী হয়েছিস, টাকা আবার কী? দুঃস্থ না হলে শিল্পী হওয়া যায় নাকি? যুগটাই হলো ফ্রি-এর যুগ। ইন্টারনেটের জন্যে প্রতি মাসে বিল তো দিচ্ছিই, সেখান থেকে গান শুনতে আবার টাকাও দিতে হবে? যা বাবা! গান শুনে লাইক দিচ্ছি, শেয়ার দিচ্ছি, মাগনা প্রচার হচ্ছে না বলো? সেগুলোকেই নুন মরিচ মাখিয়ে পান্তা ভাতের সাথে খেয়ে ফেলো! ছবি আঁকেন? প্লিজ দিন না এঁকে আমার পোষা কুকুরটার একটা হাস্যমুখের ছবি! ও আচ্ছা, তুমি ফটোগ্রাফার? আমার ছেলের খৎনা পরশুদিন, ছবি তুলে দিয়ো বাছা, টাকা হয়ত পাবে না কিন্তু লোকে চিনবে তোমাকে। আপনি লেখক? সে তো আমিও লিখি; কেন, ফেইসবুক স্ট্যাটাস! ও আচ্ছা আচ্ছা, কবিতা? আবার উপন্যাসও! বাহ বাহ বেশ তো। তা ভাই বইয়ের দাম কতো? ২ ডলার!!! ইশ, জ্ঞান বিক্রি করছেন ভাই? ছি ছি ছি। পিডিএফ

| আশফাক নিপুণের টেলিফিল্ম 'ভিক্টিম' |

|| স্পয়লার এলার্টঃ নাটকের গল্প বলে দেয়া নেই কিন্তু সমাপ্তি নিয়ে ইঙ্গিত আছে || গতকাল সন্ধ্যায় নাটক দেখা শেষ হওয়ার পরে প্রথমেই মাথায় এসেছিলো, সুন্দর একটা নাটক কিন্তু শেষটা আরও ভালো হতে পারতো। তখন মনে পড়লো কয়েকদিন আগে মার্গারেট এটউড এর 'ব্লুবেয়ার্ড'স এগ' গল্পটা পড়ে নিজের নোটসে এক লাইনে লিখে রেখেছিলাম, "সব গল্পকেই হয়তো সুনির্দিষ্ট কোনও সমাধান দেয়ার দরকার পড়ে না, বরং সমস্যা তৈরির সময়ের স্ট্রাগলকে বিষয়বস্তু করেও একটা গল্প খুব ভালো মানের হতে পারে।" এটউডের গল্পের জন্যে আমার এই উদার নীতি আর আশফাক নিপুণের গল্পের জন্যে এই খুঁতখুঁতানি মনোভাবের কারণে নিজের উপরেই বিরক্ত হলাম খুব। এটাকে আমার বাঙালী মনের সঙ্কীর্ণতা ছাড়া আর কিছু মনে হচ্ছে না! সে যাই হোক, শেষ কথা হলো, বহুদিন পরে খুব সুন্দর একটা বাংলা টেলিফিল্ম দেখলাম। যত্ন নিয়ে ভাবা গল্প আর সেই সাথে প্রত্যেকটি চরিত্রের অসাধারণ পরিমিত এবং সাবলীল অভিনয়ের ক্রেডিট নিঃসন্দেহে নির্মাতার। আশফাক নিপুণের করা কাজ এখন থেকে খুঁজে খুঁজে দেখবো বলে ঠিক করে ফেললাম।

বাংলা ইবই এলো কাদের হাত ধরে?

Image
| বাংলা ইবই এলো কাদের হাত ধরে? |   মাসতিনেক ধরে একটা খুব দারুণ ভালো ব্যাপার ঘটে চলছে বাংলা বইয়ের জগতে, সেটা হচ্ছে, হঠাৎ করে অনেকগুলো প্রকাশনী এবং অনেক পাঠক বাংলা ইবই প্রকাশে ও পাঠে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।এতগুলো বছর আন্তর্জালে বাংলা ইবই ছিল খুবই স্বল্প-সংখ্যক, একেবারে হাতে গোনা যাকে বলে। তুলনায় এ বছরের প্রথমার্ধেই বিভিন্ন ইবুক স্টোরে বাংলা ইবইয়ের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এর চেয়ে খুশির খবর আমার জন্যে আসলেই আর কিছু নেই। লম্বা সময় ধরে বাংলা ইবইকে জনপ্রিয় করতে এর খুঁটিনাটি নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে আসছি। গত কয়েকবছরে বেশ কয়েকটি বইয়ের ক্রমবর্ধমান বিক্রি এ ব্যাপারে আমাকে আরও বেশী আশাবাদী করে তুলেছে। যদিও বাংলাদেশে অনলাইন পেমেন্ট এবং ইবুকস্টোরের ব্যবহার সহজসাধ্য না হওয়ায় দেশের বাজারে ইবই প্রকাশের বাঁধা এখনও কাটেনি, তবে দেশের বাইরে বাংলা ইবইয়ের পাঠকসংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে, সম্ভবত, এই মহামারীর কারণেই, ঘরে বসে সহজলভ্য হবার সুবাদেই বাংলা ইবই প্রকাশের হার অনেক বেড়েছে। এর মধ্যেই হঠাৎ খেয়াল করলাম, বাংলা ইবই কারা প্রথম প্রকাশ করা শুরু করেছেন বা কে কত আগে থেকে বাংলা ইবই প্রক

নিরালা নীলে | আসাদুজ্জামান নূর

Image
৬৪ পৃষ্ঠার বইয়ের শেষ এগার পাতায় ছবি দেয়া। ভূমিকা এবং বারো পৃষ্ঠার প্রথম লেখাটি শুধু নূরের নিজের লেখা। বাকি সব অনুলিখন।  এই বইয়েয়ে লেখকের নামের জায়গায় আসাদুজ্জামান নূর থাকাটা কি সঠিক হয়েছে?  আমার তা মনে হচ্ছে না।  ভূমিকায় তিনি জানিয়েছেন- অনুলেখকের অসহনীয় চাপে পড়ে এই বই প্রকাশিত হয়েছে। চাপের কারণ কী জানি না, কিন্তু সে চাপে রাজি না হলেই হয়ত ভাল হতো।  আসাদুজ্জামান নূর খুব প্রিয় মানুষ বলেই বইটি শেষমেশ পড়ে গেলাম। অভিনয় শুধু নয়, তাঁর আবৃত্তি, নাটকে সংলাপ যেভাবে বলেন এবং সর্বোপরি তাঁর বাংলা উচ্চারণের আমি দারুণ ভক্ত। সেই ভাললাগা থেকে, বইয়ে তাঁর একমাত্র স্মৃতিকথাটুকু পড়লাম।  এটুকুই খুব ভাল লেগেছে।  বাকিটুকু নিয়ে কিছু না-ই বলি, থাক।

ব্যক্তিগত | উৎসব রায়

Image
এই সময়ের বাঙালী পাঠক হওয়ার যন্ত্রণা হলো, ভাল কবিতা পড়তে চাইলে এখনো পুরনো প্রেমের কাছে ফিরে যাওয়ার মত করে বুককেসের পুরনো কবিতার বইগুলোকেই কাছে টেনে নিতে হয়। সব চেনা নাম সেখানে, চেনা আশ্রয়, মনের ভেতরে যারা ঈশ্বরের জায়গা নিয়ে বসে আছেন। এই আকালে, উৎসব রায়ের কবিতা পড়ে ভাল লাগল অনেক। মনে হলো- নতুন কোনও কবি হয়তো আমাদের দিগন্তরেখায় ধীরে ধীরে উঁকি দিচ্ছেন- যার কবিতায় পুরনো ভালোলাগাগুলোকে নতুন করে পাওয়ার আশা জাগে।

সত্যজিৎকে নিয়ে | শঙ্করলাল ভট্টাচার্য

Image
একটানা একটাই বই পড়ে যাওয়ার আনন্দ, অনেকদিন হলো, পাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠছিল না। সমস্যা আমারই, একই সঙ্গে কয়েকটা বই পড়তে থাকি। সেগুলোর অবস্থানও ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়; কোনোটা বিছানার পাশের সাইডটেবলে, তো কোনোটা কাজের টেবলের ওপরে। একটা ফোনে তো অন্যটা কিন্ডলে। যখন যেখানে পড়তে সুবিধা হয় আর কি।   এই অনভ্যাসের মধ্যেও এই বইটা টানা পড়ে শেষ করে ফেললাম। ছোট বই, লকডাউনের জন্যে বাসায় বন্দী- যখন যে রুমে গিয়েছি সাথে করে নিয়ে ঘুরেছি।   বইটির নাম 'সত্যজিৎকে নিয়ে'- কারণ হিসেবে এটাই আসলে যথেষ্ঠ। কিন্তু তার সঙ্গে লেখকের কৃতিত্ব না দিলে অন্যায় হবে। শঙ্করলাল ভট্টাচার্যের অনেক গুণ, তিনি গল্প উপন্যাস লিখেন, আবার সাংবাদিক, সেই সাথে সংগীতজ্ঞও বটে।   এই বইটি মূলত সত্যজিতের কয়েকটি সাক্ষাৎকারের সংকলন, শঙ্করলালের নেয়া। এবং সেই সাথে কয়েকটি পত্রিকায় ছাপা হওয়া নিবন্ধও রয়েছে। বলা বাহুল্য সেগুলোও সত্যজিৎ সম্পর্কিত।   শঙ্করলালের বর্ণনায় সাংবাদিকসুলভ 'টু দ্য পয়েন্ট' টোনের বদলে বরং লেখকসুলভ একটা আরামদায়ক অলসতা খেয়াল করলাম। শুরুর লেখাটায় সত্যজিতের বসার ঘরে বসে তাঁর জন্যে অপেক্ষা করতে করতে কী ক

হিরণ্ময় কথকতা - মাহমুদুল হক-এর সাক্ষাৎকার সংকলন

অনেক বছর আগে মাহমুদুল হক-কে প্রথম যখন পড়ি, তখন লিখেছিলাম, তিনি একজন সাপুড়ে লেখক; লেখার মন্ত্রে তিনি পাঠককে বশ করে ফেলতে পারেন। তারপর থেকে যত পড়ে গেছি, আমার সেই ধারণা আরও পোক্ত হয়েছে। ইলিয়াসের পরে মাহমুদুল হকই আমার সবচেয়ে প্রিয় বলা যায়, কালো বরফ আজও আমার কাছে একটা জাদুর বাক্স।   হিরণ্ময় কথকতা - এই জাদুকর লেখকের অনেকগুলো সাক্ষাৎকারের সংকলন। সম্পাদনা করেছেন- আহমাদ মোস্তফা কামাল।   একটানা পড়ে শেষ করলাম বইটা। এর আগে বিশদ কোন সাক্ষাৎকার পড়িনি তেমন, তাই আগ্রহের কমতি ছিল না আমার। লেখকের শুরুর দিকের লেখার কথা, তাঁর শৈশব, লেখক-বন্ধুদের গল্প, অনেক কিছুই উঠে এসেছে আলাপচারিতায়। শহীদ সাবের, শহীদ কাদরীর কথা এসেছে অনেকবার। এসেছে মানিক, ওয়ালিউল্লাহ, বিনয় মজুমদার, সুনীল, শক্তি, শ্যামল, আল মাহমুদ, শামসুর রাহমানের কথা।   যেহেতু বিভিন্ন সময়ে অনেকের নেয়া সাক্ষাৎকার, তাই কিছু পুনরাবৃত্তি এসেছে, কিন্তু এটুকু বোধগম্য। প্রায় সব প্রশ্নকারীর একটা বিশেষ ঝোঁক ছিল লেখকের লম্বা সময় লেখালেখি থেকে বিরত থাকার কারণ জানতে। সেটা নিয়ে শেষমেশ কিছুটা ধারণা পাওয়া গেল।   তাঁর প্রতিটি বইয়ের আশ্চর্য সুন্দর সব নাম! নিরাপদ তন্দ্রা,

প্রার্থনা-কাব্য

Image
প্রার্থনা-কাব্য   ----   দুঃখ আমাকে ছেড়ে   যেন কখনো না চলে যায়।   দুঃখ মানেই সৃষ্টির অপার শক্তি,   তোমার চেয়ে ভালো তা কে জানে হায়।   হে হিংসুটে প্রভু,   আমার সকল সুখ তুমি নিয়ো;   তার বদলে দুঃখগুলো,   আমায় রাখতে দিয়ো।   --   তারেক নূরুল হাসান   ১১/০৬/২০  

আমি যেখানে আছি -

Image
আমি যেখানে আছি-   --------------------- আমি কিন্তু এখানে এখন নেই,   বরং রয়েছি সুদূর অতীতে,   এই ঘরের কোণেই চুপটি দাঁড়িয়ে আছি,   কিন্তু কাঁপছি বহু আগের শীতে।   আমার কোনও আগামী কাল নেই-   বর্তমানেও আমার দারুণ ভয়,   শান্তি দেয় শুধুই গতকাল,   অতীতটাকেই আপন মনে হয়।   একলা পথে পিছিয়ে গিয়ে হাঁটি,   তোমরা আমায় খুঁজোনা প্লিজ আর, দিঘীর জলে গা ডুবিয়ে আছি,   নাক ভাসিয়ে দিচ্ছি ডুব সাঁতার।      তুমি দেখছ যাকে, ভাবছ আমি,   কিন্তু আমি এখন এখানে নেই। অতীত থেকে আলো এসে ছুঁলে,   একটা গাঢ় ছায়া তো পড়বেই।   - তারেক নূরুল হাসান ০৯/০৫/২০২০  

একজন গৃহপালিত প্রাণী

একজন গৃহপালিত প্রাণী পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা নির্বিবাদী গৃহপালিত প্রাণীটির নাম- মা। এরা তেমন কোন রা করে না,   জোর-জুলুমের প্রতিবাদ করে না। খেতে পেলে খায়,   আবার না খেয়েও সহাস্যে তাঁদের দিন চলে যায়।   সবার সব কিছু ঠিকমতন হচ্ছে কি না,   সেদিকে খুব খেয়াল তাঁদের।   শুধু নিজের বেলায় মস্ত মনভুলো।   হয়ত ওষুধ খেতে ভুলে যায়, হয়ত নিজের পাতের খাবার পড়ে থাকে। কোনো কারণে চোখের কোণ ভিজে গেলে, চট করে তা শুকিয়ে নিতে অবশ্য ভুল হয় না। আমাদের সবার বাড়িতেই একটা করে এই প্রাণী থাকে।   আমরা তাই আলাদা করে এদের অস্তিত্ব টের পাই না।   বাড়ির গরু মুরগী হাঁস এবং মা- সবাই থাকে যার যার নিজের মতন।   আসা যাওয়ার পথের পাশে, নিজের মতন।   কোনো কোনো বাড়ির মা - হঠাৎ হঠাৎ হারিয়ে যায়।   অসুখে ভুগে, বা এমনিই, হয়তো মনের খেয়ালে,   সে হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমায়।   বাড়ির সবার খুউব অসুবিধে হয় তখন।   কেউ বিরক্ত হয় মা নেই বলে, কারও কারও অভ্যাসের ছন্দপতন হয়।   সবাই খুব করে গালমন্দ করে, তাঁর অনুপস্থিতিকে।   শুধু বাড়ির সব গরু মুরগী হাঁস,   ঘরের টেবল বা চেয়ারগুলো,   শোবার ঘরের আলনা,   এবং জানালার কম্পমান পর্দাগুলো-   অবাক চোখে   মাঝে

কোরালাইন- নিল গেইম্যান

Image
কোরালাইন অনেকটা যেন আমাদের চেনা জানা সেই এলিসের গল্প; কিন্তু ওয়ান্ডারল্যান্ড নয়, তার বদলে যেন সে হাজির হয় দেয়ালের ওপাশে সমান্তরালে বয়ে চলা ভয়ের কোনো জগতে।   লাইব্রেরি থেকে ধার করে আনা বইটা কয়েক পাতা পড়েই হারিয়ে ফেলি। সপ্তা-দু'এক পরে আবার খুঁজেও পাই, বিশালবপু কয়েকটা বইয়ের নিচে চাপা পড়ে ছিল। কিন্তু ততদিনে ফেরত দেয়ার সময় চলে এসেছে। ধারের সময় বাড়ানো যেত, কিন্তু আর কেউ এটাকে বুক করে ফেলায় সেটাও পারা গেল না। শেষমেশ না পড়েই ফেরত দিয়ে এলাম।   এই নিদারুণ সঙ্কটে উদ্ধারকারী হিসেবে আবির্ভুত হলো Borrowbox। সেখানে খুঁজতেই কোরালাইনের ইবুক এবং অডিওবুক দুই সংস্করণই পেয়ে গেলাম। বিস্তারিত পড়তে গিয়ে দেখি, অডিওবুকে কণ্ঠ দিয়েছেন লেখক নিজেই। এই দেখে আর লোভ সামলানো গেল না, শোনা শুরু করলাম অডিওবুক।   নিল গেইম্যান লেখেন যেমন, পড়েনও চমৎকার। তাঁর আর সব গুণাবলীর তালিকায় কন্ঠ-অভিনেতাও যুক্ত আছে জানা গেলো। অন্য অনেক অডিওবুকের মত একেবারেই বোরিং লাগলো না এটা, শুনে যাওয়া গেল তরতর করে।   গল্পে অনেক বেশি নতুনত্ব আছে, ব্যাপারটা ঠিক সেরকম নয়। পরিচিত ভয়ের গল্পেরই খানিকটা ভিন্ন রূপ সেটা। অথবা অন্যভাবে বললে,

পাতা ঝরার আগের গল্প- নজমুল আলবাব

Image
কী আমাদের সবচেয়ে ভালো লাগে?  স্মৃতি।  যখন তখন সকালে দুপুরে বিকেলে আমরা স্মৃতি হাতড়াই। গালে হাত দিয়ে বসে শৈশবের কথা ভাবি, চায়ে চুমুক দিতে দিতে গল্প করি সেই মায়াবী সময় নিয়ে।  অপু ভাইয়ের গল্পগুলো একেকটা স্মৃতির টুকরো যেন। ছোট ছোট ছবির মতন সেগুলো। সে ছবিতে মা থাকে, বাবা থাকে, তোমার আমার গল্প থাকে, ট্রেন থাকে, একটা জানালা থাকে, অভিমানী দুপুর থাকে। ক্রসফায়ার থাকে, ঝাঁ চকচকে আর্মি অফিসারের হাতে চড় খাওয়া মুখ লুকোনো বাবা থাকে। কালো-রঙা বোন থাকে, মায়ের সাথে মিথ্যে বলা থাকে। সেই স্মৃতিগুলো সবই আমার বড় ভালো লাগে। সবগুলো ছবির ভেতরে মনোযোগে বা অবহেলায় যেভাবেই তাকাই না কেন, সে ছবির গল্পগুলো জোনাকির মত জ্বলজ্বল করতে থাকে। অপু ভাইয়ের লেখায় এত মায়া এত মায়া! যেনবা 'কালো বরফ' ঝিকমিকিয়ে ওঠে, যেনবা 'অক্ষয় মালবেরি' উঁকি দিয়ে দিয়ে যায়। কলমের ভেতরে যেন মায়ার কালি পোরা তাঁর, পাতার পর পাতায় মায়া ঝরে ঝরে যায়। পড়তে গিয়ে কেমন আবেশে ডুবে যাই, ভেসে উঠি, আবার ডুবি। খুব সুন্দর দেখতে হয়েছে বইটা। সুন্দর প্রচ্ছদ, সুন্দর ছাপা। এই সময়ের অন্যান্য বাংলা বইগুলোর মত ভুল বানানে ভর্তি নয়, দেখে স্বস্তির নিশ্বাস

সাবধানে থেকো-

গতকাল দুপুরের একটু পরে হঠাৎ মনে হলো আম্মুকে একবার কল দিয়ে বলি খুব খারাপ সময় যাচ্ছে সবখানে তুমি একটু সাবধানে থেকো। 

দি ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সী - আর্নেস্ট হেমিঙওয়ে

Image
চেনা বামুনের পৈতে লাগে না। ক্লাসিক লেখাগুলো নিয়ে তাই খুব বেশি লিখতে মন চায় না, তারচেয়ে বরং নতুন কোনো লেখকের বই, অথবা পুরাতন হলেও কম পরিচিত কোনো বই নিয়ে লেখা শ্রেয় মনে করি, অন্তত সেই বইটা নতুন কারও কাছে যদি পৌঁছয়, এই আশায়। কিন্তু সেদিন রাত দুইটায় যখন পড়া শেষ হলো আবার, এই বইটা নিয়ে দু'কলম লিখতে ইচ্ছা হলো।   বহু বছর আগে কোনো একটা বাংলা অনুবাদে পড়েছিলাম এই বইটা। সেবা-র ছিল কি? জানি না। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রেরও হতে পারে। সেই অল্প বয়সে খুব বেশি দাগ কাটেনি মনে। এখন বুঝতে পারি, দাগ পড়ার মত শক্ত হয়ে ওঠেনি তখনও আমার শিশু-মন।   এতগুলো বছর পরে হেমিঙওয়ের আরেকটা না-পড়া বই, দি মোভেবল ফিস্ট, পড়তে শুরু করতেই, হঠাৎ মনে হলো, দি ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সী আরেকবার পড়া যাক। তাই আবার টেনে নেয়া।   পড়তে গিয়ে অনেক অনেকবার চোখ বুজে দৃশ্যগুলো দেখে নিয়েছি। সান্তিয়াগোকে মাঝ সমুদ্রে ধ্যানে বসে থাকা গৌতম বুদ্ধের মতই মনে হয়ে যেত প্রায়, যদি না হঠাৎ হঠাৎ ইয়াঙ্কিদের খেলার ফল জানার জন্যে তার আকুতি না দেখতাম।   খুব সহজ সরল ভাষা, তবু কয়েকটা জায়গায় হোঁচট খেয়েছি পড়তে পড়তে। একই প্যারায় বুড়ো, আটক মার্লিন আর আক্রমণো

দি কিউরিয়াস কেইস অব এমাজন বেস্ট সেলিং বুক-

Image
ক্রিকেটে মাঝে মাঝে কিছু অদ্ভুত ধরণের রেকর্ডের কথা শোনা যায়।   ধরা যাক নতুন একজন বোলার কোনও এক ম্যাচে খেলতে নেমে এক উইকেট নিলো, সাথে সাথে জানা গেলো, এই উইকেটের মাধ্যমে আজ একটা বিশ্ব-রেকর্ড হয়ে গেছে! কী সেটা? মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, বলছি।   ক্রিকেট ইতিহাসে যে সব বোলাররা ১০ মিটারের বেশি দৌড়ে, তারপরে একটু থেমে, আকাশের দিকে তাকিয়ে আড়াই মিটার হেঁটে আবার এক মিটার দৌড়ে এসে উইকেটের ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বাম হাত ঘুরিয়ে বল করেন, তাদের মধ্যে আবার যাদের বয়স ২১ এর কম কিন্তু সাড়ে বিশের বেশি, তাদের মধ্যে আবার যারা ডান পায়ে দৌড় শুরু করেন, কিন্তু শেষ করেন বাম পায়ে, এবং তাদের মধ্যে যারা ডান হাতে ব্যাট করেন কিন্তু সিঙ্গারা খান বাম হাতে, সেই সমস্ত বোলারদের মধ্যে ইনিই প্রথম যিনি ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে পঞ্চম স্লিপে ক্যাচ ধরিয়ে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যানের উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছেন!    সুতরাং, পরের ম্যাচে এই বোলারকে যদি পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় - একজন রেকর্ডধারী বোলার হিসেবে, আগে পিছের সমস্ত শর্ত বাদ দিয়ে, আপনি কিন্তু বলতে পারবেন না এটা সঠিক নয়। কারণ রেকর্ড কিন্তু হয়েছে। কিন্তু কী করে কী হয়েছে এত খোঁজ কে-ই বা নিতে য