হেমিঙওয়ে
![]() |
Ernest Hemingway |
গল্পের চরিত্র বোঝাতে গিয়ে আমরা Character শব্দটা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি।
খেয়াল করে দেখেছি, লেখার আগে আমি ক্যারেক্টারগুলো নিয়ে অনেক সময় নিয়ে চিন্তা করি, গল্প বা প্লটের তুলনায় অনেক বেশি সেটা। কারণ ঘটনা বা প্লট আসলে কেবল একটা জায়গা তৈরি করে দেয় চরিত্রের জন্যে, তার বেশি কিছু নয়।
ভাবতে ভাবতে সেই চরিত্রগুলো একেবারে সিনেমার মত জীবন্ত হয়ে এলে তারপরে তাদের নিয়ে গল্প লেখা শুরু করি। কারণ লেখাটা তখন আমার জন্যে সহজ হয় অনেক। আমার সবগুলো গল্পই এভাবে লিখেছি, কোনও ব্যাতিক্রম নেই। ইদানীং এই ভাবনাগুলোকে একটা প্রসেসে ফেলার চেষ্টা করছি। নিজের সুবিধার জন্যেই।
ভাবার চেষ্টা করছি, একটা চরিত্র কী করে জীবন্ত হয়ে ওঠে?
সেটা একটা উপায়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি সম্ভব। যদি সেই চরিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড জানি আমরা। মানে গল্পে তার যতটুকু উপস্থিতি, সেটার আগে-পরের ঘটনাও যদি জানা থাকে আমাদের। যেমন, সেই চরিত্রের ছোটবেলা, তার ভাবনা, ভয় এবং ভালোবাসা নিয়ে যদি আমরা জানি।
আরও সহজ করে বললে, যদি সেই চরিত্রের স্মৃতি বা মেমরিজে আমাদের access থাকে, তাহলেই হয়তো সেই চরিত্রের ‘জীবন্ত’ হয়ে ওঠা সম্ভব।
হেমিঙওয়ে-র ‘আ মুভেবল ফিস্ট’-পড়তে গিয়ে দেখলাম, চরিত্র বোঝাতে এক জায়গায় ক্যারেক্টার না লিখে হেমিঙওয়ে লিখেছে- People.
আমার মনে হলো, তাইতো! গল্পের জন্যে ভাবতে গিয়ে যদি ক্যারেক্টার না ভেবে পিপল ভাবি, তাহলেই ভাবনার গতিপথ সহজতর হয়ে যায়। ক্যারেক্টার-এর মধ্যে যে একটা বায়বীয় এবং অধরা একটা ব্যাপার আছে, পিপল-এ বরং তার উল্টো— আমাদের আশেপাশের চলেফেরা মানুষের মত জীবন্ত একটা অবয়ব আছে।
গল্পের জন্যে ‘ক্যারেক্টার’ না ভেবে ‘পিপল’ ভাবাটা বেশি কাজের হবে বলে মনে হচ্ছে।