Posts

Showing posts from September, 2020

মারজারি বারনার্ড

Image
Marjorie Faith Barnard   মারজারি বারনার্ড - এর দি পারসিমন ট্রি - খুব বিষণ্ণ একটা গল্প। মনোলগের মত করে লেখা।   শহরতলীর একটা নির্জন রাস্তার পাশে গল্পের কথকের বাড়ি। সে বাড়ির জানালায় দাঁড়িয়ে সে রোজ বাইরে চেয়ে থাকে। গল্পজুড়ে একাকীত্ব আর অপেক্ষা। রাস্তার উল্টোপাশের জানালায় সেই মেয়েটিকে দেখা যাবে কি না…।   “Her window was open all day long now, very fine thin curtains hung in front of it and these were never parted. Sometimes they moved but it was only in the breeze.”   গল্পের এই অংশটুকু পড়ে হঠাৎ চমকে গেলাম। পড়া থামিয়ে এক মুহুর্ত চুপ করে থাকতেই যেন কানে ভেসে এলো, “সারাদিন গাছের ছায়ায়, উদাসী দুপুর কেটেছে; যা শুনে ভেবেছি এসেছ, সে শুধু পাতারই আওয়াজ… সারাদিন তোমায় ভেবে…।”   শহর, দেশ অথবা সময়ের পার্থক্য মুছে দিয়ে কেমন করে যেন দু’জন মানুষের বেদনা মিলে মিশে যায়।  

হেমিঙওয়ে

Image
Ernest Hemingway গল্পের চরিত্র বোঝাতে গিয়ে আমরা Character শব্দটা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি।   খেয়াল করে দেখেছি, লেখার আগে আমি ক্যারেক্টারগু লো নিয়ে অনেক সময় নিয়ে চিন্তা করি, গল্প বা প্লটের তুলনায় অনেক বেশি সেটা। কারণ ঘটনা বা প্লট আসলে কেবল একটা জায়গা তৈরি করে দেয় চরিত্রের জন্যে, তার বেশি কিছু নয়।   ভাবতে ভাবতে সেই চরিত্রগুলো একেবারে সিনেমার মত জীবন্ত হয়ে এলে তারপরে তাদের নিয়ে গল্প লেখা শুরু করি। কারণ লেখাটা তখন আমার জন্যে সহজ হয় অনেক। আমার সবগুলো গল্পই এভাবে লিখেছি, কোনও ব্যাতিক্রম নেই।   ইদানীং এই ভাবনাগুলোকে একটা প্রসেসে ফেলার চেষ্টা করছি। নিজের সুবিধার জন্যেই। ভাবার চেষ্টা করছি, একটা চরিত্র কী করে জীবন্ত হয়ে ওঠে? সেটা একটা উপায়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি সম্ভব। যদি সেই চরিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড জানি আমরা। মানে গল্পে তার যতটুকু উপস্থিতি, সেটার আগে-পরের ঘটনাও যদি জানা থাকে আমাদের। যেমন, সেই চরিত্রের ছোটবেলা, তার ভাবনা, ভয় এবং ভালোবাসা নিয়ে যদি আমরা জানি।   আরও সহজ করে বললে, যদি সেই চরিত্রের স্মৃতি বা মেমরিজে আমাদের access থাকে, তাহলেই হয়তো সেই চরিত্রের ‘জীবন্ত’ হয়ে ওঠা সম্ভব।   হেমিঙওয়ে-র ‘আ মুভ

হযবরল | সুকুমার রায়

Image
  হযবরল by Sukumar Ray My rating: 5 of 5 stars গল্প লিখতে বসে যদি কখনও কল্পনার রসদে টান পড়ে তাহলে এই বইটি পড়ে নিয়ে আবার লেখায় ফিরতে পারেন। আবার সম্পূর্ণ উল্টো ব্যাপার যদি ঘটে; নিজের গল্পে যদি লাগামছাড়া কল্পনার যোগান দেয়া নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন; যদি মনে হয়, বেশি হয়ে যাচ্ছে কি না, পাঠকে নিতে পারবে কি না, অথবা আপনি সামলাতে পারবেন কি না, তাহলেও এই বইটি পড়ুন। এটি নিছক কোনও হাসির বই নয়। বাঙালী লেখকদের জন্যে এটি অসীম উৎসাহ আহরণের নিমিত্তে অত্যাবশ্যকীয় একটি টেকস্টবুক। View all my reviews

পরানের গহীন ভিতর | সৈয়দ শামসুল হক

Image
  পরানের গহীন ভিতর by Syed Shamsul Haque My rating: 5 of 5 stars মনে করতে পারছি না প্রথম কবে পড়েছিলাম, কিন্তু এত বছরের ব্যবধানে সম্পূর্ণ বইটা মাত্রই তৃতীয় বা চতুর্থবারের মত পড়া হলো। অথচ খুব পরিচিত লাইনগুলো বারবার দেখা বা শোনার জন্যেই কীরকম মাথায় ঢুকে বসে থাকে সবসময়, প্রায়শই বিড়বিড় করে আউড়ে যাই। এবারে পুরো বই পড়তে গিয়ে কিছু লুকনো মণি মাণিক্যের খোঁজ পেলাম। যেমন এই লাইনটা- 'আমার আন্ধার নিয়া দেয় না সে একটাও তারা।' অথবা এটা- 'মানুষ বোঝে না বইলা পুন্নিমার চান এত হাসে।' শেষ করে অনেক কিছুই মনে হলো। মনে হলো - এই বিশ্বায়নের যুগে বসে কোনও রকম মিশেল এড়িয়ে কি এরকম বিশুদ্ধ মাটিমাখা অনুভূতির কবিতা লেখা সম্ভব? মনে হলো- সৈয়দ হকের মত প্রতিভাবান মানুষ খুব বেশি কি পেয়েছে বাংলা ভাষা? View all my reviews