গল্প ১ - নিমন্ত্রন
নিমন্ত্রণ
ঘটনাটি আমার এক বন্ধুর মুখ থেকে শোনা৷
তাদের গ্রামের নাম নোয়াগাঁও৷ মাঘ মাসের এক কুয়াশাঘেরা রাতে সেই গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাঁটছিল সে৷ কুমিল্লা থেকে যাবার আগে সে আমাকে নিমন্ত্রণ করে যায় তাদের গ্রামে যাবার জন্যে৷ অফিসে যথেষ্ট ছুটি পাওনা ছিল আমার৷ তাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম, ঠিক এক সপ্তাহ পর তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাব আমি৷ সে রাজি হয়েছিল৷
বাজারে গিয়েছিল সে৷ আজই এসে পৌঁছেছে কুমিল্লা থেকে৷ পরিচিত অনেকের সাথেই দেখা হয়েছে৷ কল্যানের চায়ের দোকানের আড্ডায়ও যোগ দিয়েছিল৷ কয়েকজন ওর জন্য আফসোস করেছে- আর কিছুদিন আগে এলেও নাকি "রসের বাইদানী' পালাটি দেখতে পেত৷ এরপর চলেছে তাসের আসর৷ মোটামুটি ভালই কেটেছে সময়৷ অনেক নতুন পুরাতন খবর শুনেছে৷ আসবার সময় কল্যান আবার দু'টি সিগারেটও গছিয়ে দিয়েছে হাতে৷
বাড়ি থেকে বাজার তিন মাইলের পথ৷ ঠিকমত হাঁটতে পারলে এক ঘন্টাও লাগে না৷ কিন্তু শীতের রাতে অনেকক্ষন লেগে যায়৷
হাঁটছে সে৷ গাঁয়ের এ পথটা একটু নির্জন৷ অসময়ের বৃষ্টি হয়েছে এক পশলা৷ এখানে সেখানে পানি জমে আছে৷ এঁটেল মাটির রাস্তা, কাদা হয়ে আছে৷ সেরকমই একটা কাদায় ওর স্যান্ডেল দেবে গেল৷ টেনে উঠাল৷ তারপর পাশের ভেজা ঘাসে স্যান্ডেল ঘষে নেবার জন্যে উবু হতেই ঘটে ব্যাপারটা৷ কে যেন ঠিক ঘাড়ের ওপর নি:শ্বাস ফেলল৷ শীতল দীর্ঘশ্বাস৷ যেন কারও বুক থেকে বিশাল পাথর নেমে গেছে৷ পাব কি পাব না,এরকম একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে হঠাত্ পেয়ে যাওয়ার ফলে সুখের একটা নি:শ্বাস৷
তবে তার জন্য ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই সুখকর ছিল না৷ বরং গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল৷ ঝট করে মাথা তুলল বিষ্ঞু- আমার বন্ধু৷ এদিক ওদিক তাকায়-নাহ্,কিছু নেই তো,কিছুই নেই৷ স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে বাড়ির পথে পা বাড়ায় আবার৷ শিস দিতে দিতে,আকাশের তারা গুনতে গুনতে যাচ্ছে সে,হঠাত্ মনে হলো নিচের দিকে তাকানো দরকার৷ বলা বাহুল্য,বিষ্ঞু তাকাল৷ দেখল ছোট্ট একটা সাদা বেড়াল ওর পায়ের ঠিক একহাত সামনেই শুয়ে আছে৷ ওর মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি খেলে যায়৷ ছোট বেলার বদ অভ্যাসটা তখনও যায়নি তার৷ হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে বিষ্ঞু৷ আলতো করে সাদা কালোয় ডোরা কাটা লেজের আগাটা ধরল,পুরোটা নয়৷ কয়েকটা লোম মাত্র৷ তারপরই মারল হ্যাঁচকা টান৷ "ম্যাও' করে দাঁড়িয়ে গেল বিড়ালটা৷ একবার বিষ দৃষ্টি নিক্ষেপ করল বিষ্ঞুর দিকে৷ তারপর সোজা রাস্তা ধরে ছুটতে শুরু করল৷ আকাশের দিকে তাকিয়ে একবার হেসে ওঠে বিষ্ঞু৷ তারপর আবার সামনে তাকায়৷ নেই বেড়ালটা৷ আশ্চর্য,এত তাড়াতাড়ি চলে গেল! একটু অবাক হয়ে আবার হাঁটা দেয়৷
সামনের বাঁকা রাস্তা পেরোলেই পড়বে পুরানো ভাঙা কালী মন্দিরটা৷ তার পাশেই কালীপুকুর,জানে ও৷ হঠাত্ খেয়াল হতেই মনে মনে মা কালীকে স্মরণ করতে লাগল৷ ধর্মে কোথাও না থাকলেও ওর বাবা বিশ্বাস করতেন,মা কালী নাকি পুরানো মন্দিরের পাশ দিয়ে যাওয়া একলা পুরুষ পথিককে দেখা দেন৷ নিজ হাতে স্বামী-হত্যার অপরাধবোধের কারণেই খুব সম্ভব,পুরুষ পথিকদের অমূল্য বর দেন৷ তার বাবা এ আশায় সারা জীবনই মন্দিরের আশেপাশে কাটিয়েছিলেন৷ তবে বোধহয় বর পাননি৷ পেলে মৃত্যুর সময় তিনি প্রাপ্ত বয়স্ক তিন সন্তানের জন্যে নিশ্চয়ই শুধুমাত্র একটি কুঁড়েঘর এবং মাটির ব্যাংকে জমানো আড়াইশো টাকা রেখে যেতেন না৷
কালী মন্দিরটা চোখে পড়তেই বিষ্ঞু প্রণাম করল৷ এদিক ওদিক তাকাল মা কালীর খোঁজে৷ তখনই দেখল,পুকুর ঘাটে কে যেন বসে আছে৷ আরেকটু এগোল সে৷ আরে,বিমলদা না? বিমলদা-ই তো! সেই শাল,সেই বাবরি চুল,স্বল্প আলোয় ঘাড়ের দাদের সাদা দাগগুলূ স্পষ্ট৷ বিমলদার দিকে এগিয়ে যায় বিষ্ঞু৷
পাঠক,আমার বিশ্বাস - আমার অতীব বুদ্ধিমান বন্ধু বিষ্ঞু যদি কল্যানের দোকানে বসে গল্পের ছলে বলা কালীপুকুরে ডুবে বিমলের মৃত্যুর খবরটায় একটু মনোযোগ দিত৷ তবে ও এভাবে এগিয়ে যেত না৷
কিন্তু নিয়তি ঠেকাবে কে? নিয়তি তাকে টেনে নিয়ে গেল বিমলের কাছে৷ সেই নিয়তিই আবার তার মুখ দিয়ে বলাল,"কেমন আছ,বিমলদা?'
বিমল ঘাড় ফেরাল৷ বিষ্ঞু লক্ষ্য করল সেই আগের মতই আছে বিমলদা৷ সেই চেহারা,সেই নাক,মেয়েদের মত সেই পাতলা ঠোঁট৷ কিন্তু চোখ দু'টি কেমন যেন নিষ্পাণ বলে মনে হয়৷ ছমছমে গলায় বিমল বলে ওঠে," আয়,বস৷ কখন এসেছিস? '
" এই তো আজই,' বলে বসে পড়ল বিষ্ঞু বিমলের পাশে৷
দু'জনে গল্প করতে লাগল৷ ছোটবেলার গল্প; কত মজারই না ছিল সেসব দিন৷ চেয়ারের পায়ায় লেগে বিপিন স্যারের ধুতি খুলে যাবার কথা মনে করে পেট চেপে হাসতে লাগল দু'জন৷ শেষ মুহুর্তে হাত দিয়ে গোলপোস্টে বল ঢুকিয়ে দিয়ে নিজেদের দলকে জিতিয়ে দেয়ার আনন্দ স্মৃতিও রোমন্থন করল৷
এক সময় হঠত্ বিমল বলে উঠল," চল,বিষ্ঞু,চান করি৷ '
বিমলের প্রস্তাবে অবাক হয়ে গেল বিষ্ঞু৷ "তুমি কি পাগল হয়ে গেলে বিমলদা,এখন স্নান করবে? এই শীতে? '
"আরে ধ্যুত্,আয় তো!' বলে বিষ্ঞুর হাত ধরে টান দিল বিমল৷ বিষ্ঞু অনুভব করল একটি বরফ শীতল হাতের স্পর্শ৷
পাঠক,এর ঠিক এক সপ্তাহ পর এই রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে বিষ্ঞু আমাকে বলেছিল এই ঘটনা৷ বলেছিল তার পরদিনই নাকি লোকে কালীপুকুরে ওর লাশ খুঁজে পায়৷ ফুসফুসে পানি ঢুকে মারা গিয়েছিল সে৷
ওর গল্প এখানেই শেষ৷
কিন্তু আমার নয়৷
আমি এখন বহুরাত ধরে অপেক্ষা করছি,আমার গল্পটা কাউকে শোনাব,কেউ শুনতে আসবে,এমনই কোন কুয়াশা ঘেরা শীতের রাতে,একা,কালীপুকুরের ঘাটে বসে তাকে শোনাব আমি আমার গল্প৷
আসবেন নাকি আপনি?
আসুন না একবার৷ মাত্র একটি বার ৷৷৷ ৷
আমার নিমন্ত্রণ রইল৷
*********************
রহস্য পত্রিকা, জুন 2000- সংখ্যায় প্রকাশিত৷
ঘটনাটি আমার এক বন্ধুর মুখ থেকে শোনা৷
তাদের গ্রামের নাম নোয়াগাঁও৷ মাঘ মাসের এক কুয়াশাঘেরা রাতে সেই গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাঁটছিল সে৷ কুমিল্লা থেকে যাবার আগে সে আমাকে নিমন্ত্রণ করে যায় তাদের গ্রামে যাবার জন্যে৷ অফিসে যথেষ্ট ছুটি পাওনা ছিল আমার৷ তাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম, ঠিক এক সপ্তাহ পর তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাব আমি৷ সে রাজি হয়েছিল৷
বাজারে গিয়েছিল সে৷ আজই এসে পৌঁছেছে কুমিল্লা থেকে৷ পরিচিত অনেকের সাথেই দেখা হয়েছে৷ কল্যানের চায়ের দোকানের আড্ডায়ও যোগ দিয়েছিল৷ কয়েকজন ওর জন্য আফসোস করেছে- আর কিছুদিন আগে এলেও নাকি "রসের বাইদানী' পালাটি দেখতে পেত৷ এরপর চলেছে তাসের আসর৷ মোটামুটি ভালই কেটেছে সময়৷ অনেক নতুন পুরাতন খবর শুনেছে৷ আসবার সময় কল্যান আবার দু'টি সিগারেটও গছিয়ে দিয়েছে হাতে৷
বাড়ি থেকে বাজার তিন মাইলের পথ৷ ঠিকমত হাঁটতে পারলে এক ঘন্টাও লাগে না৷ কিন্তু শীতের রাতে অনেকক্ষন লেগে যায়৷
হাঁটছে সে৷ গাঁয়ের এ পথটা একটু নির্জন৷ অসময়ের বৃষ্টি হয়েছে এক পশলা৷ এখানে সেখানে পানি জমে আছে৷ এঁটেল মাটির রাস্তা, কাদা হয়ে আছে৷ সেরকমই একটা কাদায় ওর স্যান্ডেল দেবে গেল৷ টেনে উঠাল৷ তারপর পাশের ভেজা ঘাসে স্যান্ডেল ঘষে নেবার জন্যে উবু হতেই ঘটে ব্যাপারটা৷ কে যেন ঠিক ঘাড়ের ওপর নি:শ্বাস ফেলল৷ শীতল দীর্ঘশ্বাস৷ যেন কারও বুক থেকে বিশাল পাথর নেমে গেছে৷ পাব কি পাব না,এরকম একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে হঠাত্ পেয়ে যাওয়ার ফলে সুখের একটা নি:শ্বাস৷
তবে তার জন্য ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই সুখকর ছিল না৷ বরং গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল৷ ঝট করে মাথা তুলল বিষ্ঞু- আমার বন্ধু৷ এদিক ওদিক তাকায়-নাহ্,কিছু নেই তো,কিছুই নেই৷ স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে বাড়ির পথে পা বাড়ায় আবার৷ শিস দিতে দিতে,আকাশের তারা গুনতে গুনতে যাচ্ছে সে,হঠাত্ মনে হলো নিচের দিকে তাকানো দরকার৷ বলা বাহুল্য,বিষ্ঞু তাকাল৷ দেখল ছোট্ট একটা সাদা বেড়াল ওর পায়ের ঠিক একহাত সামনেই শুয়ে আছে৷ ওর মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি খেলে যায়৷ ছোট বেলার বদ অভ্যাসটা তখনও যায়নি তার৷ হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে বিষ্ঞু৷ আলতো করে সাদা কালোয় ডোরা কাটা লেজের আগাটা ধরল,পুরোটা নয়৷ কয়েকটা লোম মাত্র৷ তারপরই মারল হ্যাঁচকা টান৷ "ম্যাও' করে দাঁড়িয়ে গেল বিড়ালটা৷ একবার বিষ দৃষ্টি নিক্ষেপ করল বিষ্ঞুর দিকে৷ তারপর সোজা রাস্তা ধরে ছুটতে শুরু করল৷ আকাশের দিকে তাকিয়ে একবার হেসে ওঠে বিষ্ঞু৷ তারপর আবার সামনে তাকায়৷ নেই বেড়ালটা৷ আশ্চর্য,এত তাড়াতাড়ি চলে গেল! একটু অবাক হয়ে আবার হাঁটা দেয়৷
সামনের বাঁকা রাস্তা পেরোলেই পড়বে পুরানো ভাঙা কালী মন্দিরটা৷ তার পাশেই কালীপুকুর,জানে ও৷ হঠাত্ খেয়াল হতেই মনে মনে মা কালীকে স্মরণ করতে লাগল৷ ধর্মে কোথাও না থাকলেও ওর বাবা বিশ্বাস করতেন,মা কালী নাকি পুরানো মন্দিরের পাশ দিয়ে যাওয়া একলা পুরুষ পথিককে দেখা দেন৷ নিজ হাতে স্বামী-হত্যার অপরাধবোধের কারণেই খুব সম্ভব,পুরুষ পথিকদের অমূল্য বর দেন৷ তার বাবা এ আশায় সারা জীবনই মন্দিরের আশেপাশে কাটিয়েছিলেন৷ তবে বোধহয় বর পাননি৷ পেলে মৃত্যুর সময় তিনি প্রাপ্ত বয়স্ক তিন সন্তানের জন্যে নিশ্চয়ই শুধুমাত্র একটি কুঁড়েঘর এবং মাটির ব্যাংকে জমানো আড়াইশো টাকা রেখে যেতেন না৷
কালী মন্দিরটা চোখে পড়তেই বিষ্ঞু প্রণাম করল৷ এদিক ওদিক তাকাল মা কালীর খোঁজে৷ তখনই দেখল,পুকুর ঘাটে কে যেন বসে আছে৷ আরেকটু এগোল সে৷ আরে,বিমলদা না? বিমলদা-ই তো! সেই শাল,সেই বাবরি চুল,স্বল্প আলোয় ঘাড়ের দাদের সাদা দাগগুলূ স্পষ্ট৷ বিমলদার দিকে এগিয়ে যায় বিষ্ঞু৷
পাঠক,আমার বিশ্বাস - আমার অতীব বুদ্ধিমান বন্ধু বিষ্ঞু যদি কল্যানের দোকানে বসে গল্পের ছলে বলা কালীপুকুরে ডুবে বিমলের মৃত্যুর খবরটায় একটু মনোযোগ দিত৷ তবে ও এভাবে এগিয়ে যেত না৷
কিন্তু নিয়তি ঠেকাবে কে? নিয়তি তাকে টেনে নিয়ে গেল বিমলের কাছে৷ সেই নিয়তিই আবার তার মুখ দিয়ে বলাল,"কেমন আছ,বিমলদা?'
বিমল ঘাড় ফেরাল৷ বিষ্ঞু লক্ষ্য করল সেই আগের মতই আছে বিমলদা৷ সেই চেহারা,সেই নাক,মেয়েদের মত সেই পাতলা ঠোঁট৷ কিন্তু চোখ দু'টি কেমন যেন নিষ্পাণ বলে মনে হয়৷ ছমছমে গলায় বিমল বলে ওঠে," আয়,বস৷ কখন এসেছিস? '
" এই তো আজই,' বলে বসে পড়ল বিষ্ঞু বিমলের পাশে৷
দু'জনে গল্প করতে লাগল৷ ছোটবেলার গল্প; কত মজারই না ছিল সেসব দিন৷ চেয়ারের পায়ায় লেগে বিপিন স্যারের ধুতি খুলে যাবার কথা মনে করে পেট চেপে হাসতে লাগল দু'জন৷ শেষ মুহুর্তে হাত দিয়ে গোলপোস্টে বল ঢুকিয়ে দিয়ে নিজেদের দলকে জিতিয়ে দেয়ার আনন্দ স্মৃতিও রোমন্থন করল৷
এক সময় হঠত্ বিমল বলে উঠল," চল,বিষ্ঞু,চান করি৷ '
বিমলের প্রস্তাবে অবাক হয়ে গেল বিষ্ঞু৷ "তুমি কি পাগল হয়ে গেলে বিমলদা,এখন স্নান করবে? এই শীতে? '
"আরে ধ্যুত্,আয় তো!' বলে বিষ্ঞুর হাত ধরে টান দিল বিমল৷ বিষ্ঞু অনুভব করল একটি বরফ শীতল হাতের স্পর্শ৷
পাঠক,এর ঠিক এক সপ্তাহ পর এই রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে বিষ্ঞু আমাকে বলেছিল এই ঘটনা৷ বলেছিল তার পরদিনই নাকি লোকে কালীপুকুরে ওর লাশ খুঁজে পায়৷ ফুসফুসে পানি ঢুকে মারা গিয়েছিল সে৷
ওর গল্প এখানেই শেষ৷
কিন্তু আমার নয়৷
আমি এখন বহুরাত ধরে অপেক্ষা করছি,আমার গল্পটা কাউকে শোনাব,কেউ শুনতে আসবে,এমনই কোন কুয়াশা ঘেরা শীতের রাতে,একা,কালীপুকুরের ঘাটে বসে তাকে শোনাব আমি আমার গল্প৷
আসবেন নাকি আপনি?
আসুন না একবার৷ মাত্র একটি বার ৷৷৷ ৷
আমার নিমন্ত্রণ রইল৷
*********************
রহস্য পত্রিকা, জুন 2000- সংখ্যায় প্রকাশিত৷