কবিতা কবিতাঃ প্রিয় বাংলাদেশ
প্রিয় বাংলাদেশ
-----------
গত ডিসেম্বরের কোন এক সন্ধ্যায়-
প্রিয়তির হাত ধরে হেঁটে যেতে যেতে,
শাহবাগের ফুলের দোকানগুলোর সামনে হঠাৎ থমকে দাঁড়ালাম।
কয়েকবার ডানে বামে তাকিয়ে-
খানিকটা ইতস্তত চোখে,
আর- দোনোমনা করতে করতেই-
- না, না, ফুল নয়-
লাঠির মাথা থেকে নামিয়ে ঠিক একশত টাকা দিয়ে আমি একটা পতাকা কিনেছিলাম।
ঘন সবুজ আর গাঢ় লাল রং তার।
ইচ্ছে ছিলো- লালটুকু দিয়ে ছুঁয়ে দিই প্রিয়তির গাল।
অথবা আদুরে আদরে বলি,
“একটু আঁচলের মত করে জড়িয়ে থাকো না গায়ে!''
বলা হয় নি- কিছুটা ইতস্তত,
আর বিচলিত মন নিয়ে
আমি সেটা প্রিয়তির ভ্যানিটি ব্যাগে ভরে রাখি।
হাত ইশারায় ট্যাক্সি থেমে পড়ে।
তাতে চড়ে বসে, সঙ্গত অধিকারবোধে আমি প্রিয়তির কাঁধ জড়িয়ে থাকি।
বাবুই পাখির মতন ওম ভরা গায়ে সে কাছে এসে বসে,
আমি আলতো করে তার ব্যাগ খুলে,
অনেকটা নির্লজ্জের মতই ছুঁয়ে থাকি পতাকা।
তড়িচ্চমকের মতন একটা উত্তপ্ত অনুভূতির স্পন্দন যেন
সেখান থেকে আমার আঙুল বেয়ে উঠে এসে,
ঠিক বুকের পেছনে হৃৎপিন্ডের ভেতরে ঢুকে পড়ে।।
প্রিয়তি জানে না-
আজ মাস দুয়েক পরে,
পরবাসে বসে এই নির্জন রাতে
প্রিয়তির ওম জড়ানো আদরের স্মৃতি গায়ে মেখে নিতে নিতে-
হাত বাড়িয়ে বুকের কাছটায় যখন হৃৎপিন্ড ছুঁই-
প্রতিটি স্পন্দনের সাথে আমি তখন দারুন আবেগে-
শুধু তোমাকেই ছুঁয়ে থাকি প্রিয় বাংলাদেশ।।
০৬/০২/০৭
--------------------
ডিসক্লেইমার:
১।এখনো ড্রাফট পর্যায়ে আছে, পুরোপুরি কবিতা হয় নি, তাই এটাকে এখন কবিতা না বলে বরং বলা যায়- কবিতা কবিতা।
২।ঘষা মাজা চলতে পারে, সময় পেলে।
-----------
গত ডিসেম্বরের কোন এক সন্ধ্যায়-
প্রিয়তির হাত ধরে হেঁটে যেতে যেতে,
শাহবাগের ফুলের দোকানগুলোর সামনে হঠাৎ থমকে দাঁড়ালাম।
কয়েকবার ডানে বামে তাকিয়ে-
খানিকটা ইতস্তত চোখে,
আর- দোনোমনা করতে করতেই-
- না, না, ফুল নয়-
লাঠির মাথা থেকে নামিয়ে ঠিক একশত টাকা দিয়ে আমি একটা পতাকা কিনেছিলাম।
ঘন সবুজ আর গাঢ় লাল রং তার।
ইচ্ছে ছিলো- লালটুকু দিয়ে ছুঁয়ে দিই প্রিয়তির গাল।
অথবা আদুরে আদরে বলি,
“একটু আঁচলের মত করে জড়িয়ে থাকো না গায়ে!''
বলা হয় নি- কিছুটা ইতস্তত,
আর বিচলিত মন নিয়ে
আমি সেটা প্রিয়তির ভ্যানিটি ব্যাগে ভরে রাখি।
হাত ইশারায় ট্যাক্সি থেমে পড়ে।
তাতে চড়ে বসে, সঙ্গত অধিকারবোধে আমি প্রিয়তির কাঁধ জড়িয়ে থাকি।
বাবুই পাখির মতন ওম ভরা গায়ে সে কাছে এসে বসে,
আমি আলতো করে তার ব্যাগ খুলে,
অনেকটা নির্লজ্জের মতই ছুঁয়ে থাকি পতাকা।
তড়িচ্চমকের মতন একটা উত্তপ্ত অনুভূতির স্পন্দন যেন
সেখান থেকে আমার আঙুল বেয়ে উঠে এসে,
ঠিক বুকের পেছনে হৃৎপিন্ডের ভেতরে ঢুকে পড়ে।।
প্রিয়তি জানে না-
আজ মাস দুয়েক পরে,
পরবাসে বসে এই নির্জন রাতে
প্রিয়তির ওম জড়ানো আদরের স্মৃতি গায়ে মেখে নিতে নিতে-
হাত বাড়িয়ে বুকের কাছটায় যখন হৃৎপিন্ড ছুঁই-
প্রতিটি স্পন্দনের সাথে আমি তখন দারুন আবেগে-
শুধু তোমাকেই ছুঁয়ে থাকি প্রিয় বাংলাদেশ।।
০৬/০২/০৭
--------------------
ডিসক্লেইমার:
১।এখনো ড্রাফট পর্যায়ে আছে, পুরোপুরি কবিতা হয় নি, তাই এটাকে এখন কবিতা না বলে বরং বলা যায়- কবিতা কবিতা।
২।ঘষা মাজা চলতে পারে, সময় পেলে।