আউলা মাথা, বাউলা পোষ্ট-

তখন হলে থাকি। দুইটা টিউশানি করি। কপাল মন্দ, দুইজনই ছাত্র, ছাত্রী নাই।
আমার রুমমেট নতুন টিউশানিতে যায় কয়দিন হইলো। যাবার সময় দেখি পারফিউম মারে, শার্টে, গলায়, ঘাড়ে। আমাগো চোখ টনটন করে। আবার পড়ানো শেষে রুমে ফিরা গুন গুন গান গায়, কুছ কুছ হোতা হ্যায়...। আমাগো বুকে জ্বালাপোড়া!

একদিন দেখি বালিশে হেলান দিয়া সিগারেট টানে। সাথে গুন গুন তো আছেই।
আমরা জিগাই, কি রে? নতুন টিউশানি কেমন? ছাত্রী ভালো?
কয়, আর কইস না।বড় জ্বালায় আছি।
আমরা বলি, কি হইছে?
ও বলে, মাইয়া জানি কেমুন কেমুন। পড়া পারে না। আমি ঐদিন চেইতা গিয়া কই, একটা চড় দিবো তোমারে, বুঝছো?

আমরা তো হা! কি সাংঘাতিক। জিগাই, তারপর?
ও একটা সুখটান দেয়, তারপরে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে কয়, মেয়ে আমারে বলে, দিয়ে ফেলেন স্যার। কেউ দেখবেনা, আম্মুও ঘুমাচ্ছে!

Popular posts from this blog

কাফকা

আজ ১২ ই মে ...

শেকসপিয়র অ্যান্ড কোম্পানি | আর্নেস্ট হেমিংওয়ে