অভাগা রবীন্দ্রনাথ-
আজ কেলাশে বসিয়া দুরন্ত গতিতে লেকচার তুলিতেছি।
এই শিক্ষক মহাশয় বড়ই দ্রুত কথা বলেন। তাহার কথার সহিত তাল মিলাইয়া লিখিতে লিখিতে মনের মধ্যে হঠাৎ একখান ভাবের উদয় হইল। মাথা খানিকটা চুলকাইয়া ভাবিলাম, আহা, রবীন্দ্রনাথ বেচারা কি অভাগাই না ছিলেন!
সেই দেড় শতক বর্ষ পূর্বে দোয়াতে কলম ডুবাইয়া তিনি কাব্য রচনা করিতেন। অতীব সময়ক্ষেপক ব্যাপার। কিন্তু ঐরূপ গতি নিয়াই তিনি যেই পরিমাণ সাহিত্য সৃষ্টি করিয়া গিয়াছেন, আজ ভাবিতেছি, কোনক্রমে একখান বলপেন হাতে পাইলে তাহার কি সুবিধাই না হইত! আমাদিগের লেকচার তুলিবার গতিতে না হোক, তাহার অর্ধেক গতিতে যদি তিনি লিখিয়া যাইতেন, তবে নিশ্চিত জীবদ্দশায় প্রায় দ্বিগুন পরিমাণ সাহিত্য তিনি রচনা করিতে পারিতেন।
বলপেন আবিষ্কারকদের নির্বুদ্ধিতায় বাংলা সাহিত্যের কি পোচোন্ডো ক্ষতি সাধিত হইয়া গেল, ইহা ভাবিয়া আজ আমার বুক ফাটিয়া অশ্রু নির্গত হইতেছে।
আহা, বেচারা রবীন্দ্রনাথ!