কাবুলিওয়ালা
কথিত আছে, মাছের পেটে ঢুকিয়া ইউনুস নবী ইসমে আজম জপিয়াছিলেন।
ড. ইউনুস কি জপিতেছেন কে জানে, কিন্তু আমাদিগের এই বঙ্গদেশীয় পেটে যে তাহাকে ভীষন বদহজম হইতেছে, অবিরত ভুটুরভাটুর শব্দে ইহা বেশ বুঝিতে পারিতেছি। এক্ষনে এই উভমূখী নির্গমণ ঠেকাইতে হাতের নিকটে ফ্ল্যাজিল ( ৫০০ এমজি) খুঁজিয়া না পাইয়া নোবেল নামক ট্যাবলেট গিলিয়াও শেষ রক্ষা হইতেছে না।
ট্যাগোর আংকেল মিনুকে রাখিয়া গিয়াছিলেন, তাহাকে পালিয়া পুষিয়া আমরা করিমন বেওয়া বানাইয়াছি। ভাঙ্গা ঘরের দাওয়ার পার্শ্বে লক্ষণ রেখা আঁকিয়া, উহাকে দারিদ্রসীমা নাম দিয়াছি, অতঃপর চতুষ্পদী ছাগলের পিঠে চাপাইয়া করিমন বেওয়াকে সেই সীমানা পার করিবার চেষ্টা করিয়াছি।
এইবার ছাগলে হোঁচট খাইলে, কেন উহাকে গরু কিংবা মরুদেশীয় দুম্বার পিঠে চাপানো হইলো না এই নিয়া কামান দাগি। ডিশুম ডিশুম!
সুধীজনেরা, অদ্য বাদ-জোহর এই ব-দ্বীপের মধ্যিখানে একখান বিশাল খন্দক কাটিবার আয়োজন করা হইয়াছে। উহাতে গলা পর্যন্ত ডুবাইয়া আজিকার কাবুলিওয়ালাকে মাটিচাপা দিয়া রাখা হইবে। আর আমাদিগের হাতে পাথরের পরিবর্তে দেয়া হইবে পাকা কদবেল।
এক্ষণে, সেই কদবেল ছুড়িয়া তাহাকে হত্যা করিব নাকি কদবেল ভাঙ্গিয়া আরাম করিয়া নুন দিয়া মরিচ দিয়া মাখাইয়া খাইব, ইহাই দেখিবার বিষয়!