বেহেশতে যাচ্ছি-

মনের মধ্যে কতরকমের হাউশ!
ম্যাকগাইভার দেইখা একসময় ভাবতাম, এই ব্যাটার মত বুদ্ধি না হইলে তো জীবনটাই বৃথা! বোম্বাই সিনেমা 'গুরু' দেইখা মোনাজাতে কইতাম, আল্লাহ , আমারে মিঠুনের মতন মারামারি শিখাইয়া দাও।
বেহেশতে যাওনের একটা খায়েশ মনের মধ্যে উঁকি ঝুকি মারে বহু আগে থেইকা। না না, জান্নাতুল ফিরদাউশ চাই না, ঠেলাঠেলি কইরা চামে চুমে কোন একটা ছোটখাট বেহেশতে জায়গা পাইলেই হইলো!
সাড়ে তিন বছর বয়েসে ইশকুলে ভর্তি হওনের পর একা একা জীবনেও কেলাশে যাইতাম না। আম্মু যাইতো লগে, আম্মুর আঙুল ধইরা বইসা বইসা কেলাশ করতাম।
সেভেনে ওঠার পর থেইকা ঘরছাড়া হইছি। শুনলাম বেহেশতে নাকি পরিবার নিয়া থাকার সু-বন্দোবস্ত আছে, সেইজন্যেও যাইতে সাধ হয়। মায়ের লগে থাকতে মন চায়।
কোন সিনেমায় জানি দেখছিলাম, শিল্পা শেঠি তাহার চিক্কন কোমর দুলাইয়া সঞ্জয়রে কয়, চল। সঞ্জয় জিগায়, কাহা? বেটি হাতে টান মাইরা চোখে নাচুনি দিয়া কয়, জান্নাত মে!
আহা!
অধম কনফু কহে, পূণ্যবানেরা শোনেন, শেষমেষ বেহেশতে যাইতাছি। টিকেট ফাইনাল, নভেম্বরে।
বাংলাদেশ ছাড়া এই মুহুর্তে আর কোন বেহেশত চিনি না!
-