আসুন, আমরা একটি প্ল্যানচেটের আয়োজন করি...
প্রতিটা পোষ্টে সেই একই নাটকের পুনরাবৃত্তি হয়। কুশীলবও আমরাই। একদল আস্ফালন করেন, প্রমান করা হোক!!
আমরা নতজানু হয়ে নিজেদের প্রমান হাজির করি। একগাদা ওয়েবসাইট, কিছু ইতিহাসের দলিল, অনেকগুলো বই, কিছু পেপার কাটিং..।
কিন্তু আমরা কি জানি, সেইসব প্রমান যে আসলে ভ্রান্ত? আসলে কিছু উর্বর মস্তিষ্কের মানুষের লেখা থ্রিলার?
না জানি না। ভ্রান্ত তো হবেই, ওগুলো তো গোলাম আযম তার স্মৃতিতে লিখে রাখেন নাই। মুক্তিযুদ্ধে নিহতের পরিবার মিথ্যে বলেছেন, এটাই তো সত্য, কারন গোলাম আযম তো মিথ্যে বলেন নাই!
এই নাটক এখানেই শেষ হবে।
কদিন পর আরেকটি পোষ্ট হবে।
সেখানে আবারো বলা হবে প্রমাণ করা হোক! আমরা বাবার রক্তভেজা শার্ট আর মায়ের ছেঁড়া শাড়ি বুকের মধ্যে লুকিয়ে আবারো আমাদের প্রমান নিয়ে হাজির হবো।
এইভাবেই, মুক্তিযুদ্ধের পৌন:পুনিক অপমান চলতেই থাকবে, চলতেই থাকবে...। যতদিন না গোলাম আযম তার পবিত্র স্মৃতিকথা নতুন করে লিখবেন!
আসুন, তার চেয়ে আমরা বরং একটি প্ল্যানচেটের আয়োজন করি। ওখানে ডেকে আনি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, লক্ষ লক্ষ অসহায় মানুষ আর হতভাগা বুদ্ধিজীবিদের। ওদের আত্মা এসে আমাদের হাত ধরে বলুক, বাবারা, এইবারটি থামো, আর কত অপমান করবে আমাদের?
থ্রিলার উপন্যাসের নিহত নায়ক আর তাদের সঙ্গীসাথীরা অন্তত এইটুকু করুণাও কি আশা করতে পারেন না আমাদের কাছে?
------------
মুল লেখা- এইখানে ।