মুহম্মদ জাফর ইকবাল-এর অবিশ্বাস্য সুন্দর পৃথিবী


এই বুড়ো বয়সে এসে বই পড়তে গিয়ে চশমার কাচ ঝাপসা হয়ে আসা খুবই বিব্রতকর। এদিক ওদিক তাকিয়ে মুখে একটা গোবেচারা হাসি ঝুলিয়ে চশমা পরিষ্কার করে আবার মুখ ডুবিয়ে দিয়েছি পড়ায়। 
পড়তে পড়তে অনেকবার গা দুলিয়ে হেসেছিও। গা দোলাবার কারণ, লাইব্রেরিতে বসে পড়ছি তাই শব্দ করা যাবে না, শব্দ আটকানোর অসম্ভব পরিশ্রমের বহিঃপ্রকাশ এই গা দোলানো। 
মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে এসে সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে এরকম কৌতুক করে লিখতে পারা মানুষ খুব বেশি নেই পৃথিবীতে। নিজেকে হত্যা করতে উদ্যত মানুষটাকে যেন গণপিটুনিতে মেরে ফেলা না হয়, স্ট্রেচারে শুয়ে হাসপাতালে যেতে যেতে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার মানুষের সংখ্যা আরও কম। সুস্থ হয়ে জেলে গিয়ে সেই লোককে দেখে আসবার সাহস দেখে শিউরে উঠেছি। 
সবচেয়ে হাসি পেয়েছে লেখককে দেখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কথাতে, ”আপনি কনুই দিয়ে একটা গুঁতো দিতে পারলেন না?” হাহাহা ! 
দুর্জনের মুখে ছাই আর পেটে কনুইয়ের গুঁতো দিয়ে এভাবেই আপনি আরও যুগ যুগ বেঁচে থাকুন, খুব প্রিয় মুহম্মদ জাফর ইকবাল!

Popular posts from this blog

কাফকা

মধ্যাহ্নভোজ | উইলিয়াম সমারসেট মম্‌ | রূপান্তরঃ তারেক নূরুল হাসান

আজ ১২ ই মে ...