"হোয়াট উই টক অ্যাবাউট হোয়েন উই টক অ্যাবাউট লাভ-"



রেমন্ড কার্ভারের গল্পের চরিত্ররা সবাই এত বেশি সাধারণ, এত বেশি প্রতিদিনকার যে মাঝে মাঝে আয়না দেখার মত করে চমকে যেতে হয়।

পৃথিবীতে কোনো একজন লেখক এইরকম মানুষদের গল্পে নিয়ে এসেছেন, ভাবতে খুব ভাল লাগে।
ওঁর মিনিমালিস্ট লেখার স্টাইলটা দারুণ। যদিও সেটার জন্যে এখন তাঁর এডিটরকে ক্রেডিট দেয়া হয় বেশি, সেটা অর্ধেক মেনে নিয়েও আমি যখন ওঁর চরিত্রগুলার কথা ভাবি, তখন মনে হয়, স্টাইল যেমনই হোক, কিন্তু এই চরিত্রদের নিয়ে লিখবার কথা তো তাঁর মাথা থেকেই এসেছে।
সালমান রুশদী একবার বলেছিলেন, অনেকেই লোভে পড়ে ওভাবে লিখতে চেয়েছিল। ওরকম একটা ঘরে বসে থাকা দুইজন মানুষের গল্প, অথবা ওয়ার্কিং ক্লাস বা ব্রাত্য মানুষদের গল্প, কিন্তু কেউই তো আর কার্ভার হয়ে উঠতে পারেনি।
এ কথা সত্যি। কার্ভারের লেখা পড়ে মনে হয়, এ আর এমনকি। এরকম তো সবাই লিখতে পারে। কিন্তু বাস্তবে, এই ছোট ছোট বাক্যগুলো পরপর বসিয়ে দিয়ে এর ভেতরে কার্ভার যে প্রাণ আর শক্তি পুরে দেন, সেটা নকল করা সহজ কাজ নয়।
সবচেয়ে আশ্চর্য লাগে, ওঁর গল্পের নামগুলোও যেন নিজেরাই একেকটা গল্প। হোয়্যার আ'ম কলিং ফ্রম, সো মাচ ওয়াটার সো ক্লোজ টু হোম, নোবডি সেইড এনিথিং, দে আর নট ইওর হাজবেন্ড, হোয়াট উই টক অ্যাবাউট হোয়েন উই টক অ্যাবাউট লাভ, হোয়াই ডোন্ট ইউ ডান্স। এরকম এক লাইনে একটা গল্প আঁটিয়ে ফেলার মত লেখক ক'জন আছেন?
কার্ভারকে নিয়ে, তাঁর জীবন নিয়ে, তাঁর গল্পগুলো নিয়ে লিখব বলে দীর্ঘ একটা লেখা মাথায় নিয়ে অনেকদিন ধরে বসে আছি। কিন্তু সময়ের বড়ই টানাপোড়েন, আদৌ কখনও লেখা হয়ে উঠবে কিনা জানি না। হায়, জীবন এত ছোট ক্যানে?

Popular posts from this blog

কাফকা

শেকসপিয়র অ্যান্ড কোম্পানি | আর্নেস্ট হেমিংওয়ে

আজ ১২ ই মে ...