Popular posts from this blog
মধ্যাহ্নভোজ | উইলিয়াম সমারসেট মম্ | রূপান্তরঃ তারেক নূরুল হাসান
ক্লাস ইলেভেন-এর পাঠ্যবইয়ে প্রথম পড়েছিলাম সমারসেট মম্-এর The Luncheon গল্পটা। এখনও মাঝে মাঝেই মনে হয়, পাঠ্যসূচী কার তৈরি করা ছিল জানি না, কিন্তু আমাদের ইন্টারের ইংরেজি বইয়ের সবগুলো লেখাই দুর্দান্ত ছিল আসলে। বিশাল ইংরেজি সাহিত্য-জগতের প্রতি ভালোলাগার দরজা খুলে দেয়ার জন্যে, অন্তত আমার ক্ষেত্রে, খুবই কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিল সেগুলো। সেই দারুণ গল্পটা অনুবাদের চেষ্টা করবো ভেবে রেখেছিলাম অনেকদিন ধরেই। তবে অনুবাদের নিয়ম-কানুন নিয়ে সদা সংশয়ে ভুগি। বাংলাদেশে প্রচলিত ধারার অনুবাদ পড়ে তেমন আরাম পাই না আমি। আমার এখনও সবচেয়ে বেশি পছন্দ সেবা প্রকাশনী আর সত্যজিৎ রায়ের করা অনুবাদগুলোই। এই গল্পটা অনুবাদ করতে বসার আগে নিজের জন্যে একটা চেকলিস্টের মত করে নিয়েছিলাম; সেবা আর সত্যজিতের অনুবাদ সামনে রেখে একটা হোমওয়ার্কের মতন ব্যাপার। অনুবাদের সময় চেষ্টা করেছি সেগুলো মেনে চলতে। শেষমেশ যা দাঁড়িয়েছে সেটাকে অনুবাদ না বলে রূপান্তর বলাই সমীচীন হবে বোধহয়। গল্পটি পড়া যাবে এই লিংক থেকে।
আজ ১২ ই মে ...
প্রতিবছর ১২ মে এলে মালা-র কথা মনে পড়ে। এই দিনে অঞ্জন দত্তের জীবন থেকে চলে গিয়েছিল মালা। ১২ মে তারিখটা দেখার সাথে সাথেই নিজে নিজে গুনগুন করে উঠি গানটা। সাথে মনে পড়ে, আরও একটা জায়গার কথা। কুমিল্লার কোটবাড়িতে যেটার অবস্থান। পঞ্চাশ একরের মত জায়গা নিয়ে দেয়াল আর কাঁটাতার ঘেরা একটা এলাকা। ঠিক সিকি-শতাব্দী আগে সে জায়গা ছেড়ে চলে এসেছি, প্রথম কৈশোরের ছয়টি বছর সেখানে কাটিয়েছিলাম। মাঝের এতগুলো বছর যখনি সে-জায়গাটার কথা ভেবেছি, কোনও একটা নির্দিষ্ট অনুভূতিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি মনের অবস্থা। কখনও ভালোলাগার ছবিগুলো তুলে এনেছে স্মৃতি, কখনও মনে পড়েছে ছোট্ট শিশুমনের ওপরে অহেতুক চাপের বেদনার্ত সময়ের কথা। জীবনের বিভিন্ন সময়ে এসে রহস্যময় স্মৃতি কেন যেন আলো ফেলেছে ভিন্ন ভিন্ন ছবির ওপর। আনন্দ, বেদনা, মাধুর্য ও তিক্ততায় মেশানো অদ্ভুত একটা সময় সেটা, অদ্ভুত একটা জায়গা। এবছর ১২ মে তে কী ভেবে টেনে নিলাম শাহাদুজ্জামানের এই বইটা। খাকি চত্বরের খোয়ারি। বেশ কয়েকবছর আগেই কেনা, পড়া হয়ে উঠছিল না। কিন্তু পড়ে বেশ ভালো লাগল। অনেকদিন পরে যেন নিজস্ব স্মৃতির পুকুরে চট করে একটা ডুব দিয়ে এলাম। আমার মনে ...