Posts

Showing posts from February, 2009

গত কয় ঘন্টায় যা কিছু মাথায় এলো-

--> বিদ্রোহী বিডিআর-রা বলছে তাদের উপর অত্যাচারের কথা, তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা। অনেকেই ধারণা করছেন, ডালভাত কর্মসূচীর দুর্নীতি ও লাভের বখরা নিয়ে গোলযোগও এই বিষয়ে দায়ী। --> জনমনে সমর্থন বা সহমর্মীতায় দেখা যাচ্ছে বিডিআর এগিয়ে আছে। কারণ স্পষ্টতই তাদের বিদ্রোহটা এখানে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। সেনাবাহিনী জনগণের খুব পছন্দের কোন সেক্টর নয়। মিডিয়াতে বিদ্রোহী বিডিআরদের বক্তব্যও ভাল ভুমিকা রাখছে। --> যদ্দুর জানি, বিডিআর সেনাবাহিনী বা সামরিক বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত নয়। তারা আধা-সামরিক বাহিনী। তবে তাদের প্রশাসনের দায়িত্বে থাকে সেনাবাহিনীর অফিসাররা। --> সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত নয় কিন্তু তাদের দ্বারা পরিচালিত হয়, এরকম কোন প্রতিষ্ঠানই খুব একটা আনন্দে থাকে না। এটা আনসার বা বিডিআর হোক, সেনাচালিত ইশকুল কলেজ হোক অথবা ক্যামেরার আড়ালে আমাদের ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড়রাই হোক। --> সেনাবাহিনী থেকেই কেন বিডিআরদের উচ্চপদস্থ অফিসারদের নিয়োগ দেয়া হয়, এ বিষয়ক সরল-মতটি হলো, তাদের অফিসারদের রিক্রুট বা তার পরবর্তী ব্যায়বহুল প্রশিক্ষণের জন্যে আলাদা কোন অবকাঠামো আমাদের দেশে নেই। বিডিআর পরিচালনার জন্যে যে সংখ্যক অফি

বাংলা ওসিআরঃ স্বপ্ন সম্ভব?

যাযাবরের সেই বিখ্যাত লাইন স্মরণীয়- বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ। আবেগের দিকে এখন আর না যাই, বেগ নিয়ে যদি বলি, তো বলতেই হবে, কথা সত্য। প্রাত্যহিক সব কাজ-কর্ম নিঃসন্দেহে গতি-প্রাপ্ত হয়ে গেছে বিজ্ঞানের কল্যাণে। আর আমার মত কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষজন নিজের আলসে স্বভাবটাকে এই সুযোগে পাখির ডিমের মত তা দিয়ে দিয়ে বাড়তে দিয়েছে। লিখবার জন্যে কাগজ কলমের ব্যবহার অনেক আগেই কমিয়ে দিয়েছি। লেখাজোকা-র প্রায় পুরোটাই এখন গুগল ডকে সেরে ফেলি, এ জন্যে চেয়ার টেবলে বসে খটখট কী-বোর্ড নিয়ে বসতে হয়, খাতা কলম নয়। বেশিদিন এই আরামে পোষালো না। তাই বিছানায় আরাম করে হেলান দিয়ে কোলের উপরে ফেলে টাইপ করার জন্যে ল্যাপি কেনা হলো। কিন্তু কদিন ধরেই এভাবেও মন জুৎ পাচ্ছে না। ইচ্ছে করছে আগের ব্যবস্থায় ফিরে যাই, আবার কাগজ কলম নিয়ে বসি। কিন্তু লিখবা মাত্রই ছাপার মত চকচকে ফন্টে সেটা কম্প্যুতে সেইভ হয়ে যাওয়া, এই সুবিধার কী উপায় হবে? কাগজে কলমে লিখলে তো এটা পাওয়া যাবে না। বাজার ঘুরে দেখলাম নানান রকম যন্তর পাতি এর মধ্যেই বের হয়ে গেছে। স্লেটের মত একটা টাচস্ক্রিন পাওয়া যায়। ওখানে লিখলে ছবি হিসেবে পাতার পর পাতা সেইভ হবে যায়। কিন্

আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের "প্রেমের গপ্পো"

ইলিয়াস আমাদের কাছে খুব বেশি মালমশলা রেখে যান নাই, মাত্র ২৮ টা গল্প, অল্প কিছু প্রবন্ধ আর ২ টি উপন্যাস, সাকুল্যে এই আমাদের সম্পদ। কিন্তু অল্প সংখ্যক লেখা দিয়াই তিনি নিজের স্টাইল দাঁড় করে ফেলেছেন। যে কারণে ইলিয়াসের লেখা পড়েই আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না এটা কার লেখা। তো কি সেই স্টাইল? আমি জেনারালাইজড করতে পারছি না। তবে নিজের পাঠানুভুতি বলতে পারি। ইলিয়াসের সবচেয়ে সমৃদ্ধ লাগে বর্ণনা। আমি নিজে বর্ণনার খুব ভক্ত। গল্প যখন মাথার ভেতর সিনেমা হয়ে ওঠে, সেই মুহুর্তেই আমার গল্পরে ভালবাসতে ইচ্ছা করে। তার আগ পর্যন্ত দুরে ঠেলে বসিয়ে রাখি। ইলিয়াসের গল্পগুলান এই দিক দিয়ে একদম যা-তা রকমের ভাল। বর্ণনাগুলা এত সাবলীল যে মাত্র অল্প কিছু লাইনের পরেই মাথার ভেতরে গল্পের দৃশ্যগুলার চিত্রায়ন করে নিতে কোনরূপ সমস্যা হয় না। তারপরে ক্রমশ সেটা ফেনায়িত হতে থাকে, গরম কফির মত। তখন খানিকটা নেশাও লেগে যায়, বর্ণনার গুণেই। ইলিয়াস পড়তে গিয়া আমি যে সমস্যায় পড়েছি, সেটা সাধারণত অমনোযোগী/ নতুন পাঠকদের বেলায় ঘটে। কিন্তু আমি মনোযোগী পাঠক, তবু এই সমস্যার কারণ ধরতে পারি নাই বলে দোষটা ইলিয়াসের গদ্যের উপরই চাপিয়ে দিতে দ্বিধা করি নাই। সমস

বইমেলায় বন্ধু-র বইঃ অমিত আহমেদ ও আনোয়ার সাদাত শিমুল

Image
বিখ্যাত লোকজনদের সাথে আমার কখনো বন্ধুত্ব হয়নি, বরং তার উল্টোটাই ইদানিং বেশি বেশি ঘটছে, আমার বন্ধুরাই বেশ বিখ্যাত হয়ে যাচ্ছে। :) আর এই তালিকার সাম্প্রতিক দুটো নাম হচ্ছে অমিত আহমেদ ও আনোয়ার সাদাত শিমুল । এই দুইজনের সাথেই পরিচয় হয়েছে ব্লগে এসে। লম্বা সময় পাড়ি দিয়ে এখন দুজনেই আমার আত্মার খুব কাছের মানুষ, কখনও দেখা না হয়েও! এবারের বই মেলায় ডেব্যু করছে আনোয়ার সাদাত শিমুল , তার অথবা গল্পহীন সময় বইটি দিয়ে। এগারোটি ছোট গল্পের একটা সংকলন হবে এটা। শিমুলের গল্প বলার ভঙ্গি দুর্দান্ত। চারপাশের চেনাজানা ঘটনাকে তুলির টানে এমন অদ্ভুত সুন্দর করে তুলে ধরে যে, বারবার পড়তে ইচ্ছে করে। ওর লেখা গল্পগুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় হলো নীলুফার যখন মারা গেলো , রীতিমতন চমকে গিয়েছিলাম পড়ে। লিংক করে দিলাম, যার ইচ্ছা পড়ে দেখতে পারেন। সাম্প্রতিক আরেকটা গল্পও খুব ভাল লেগেছে- আমরা সস্তায় ফ্ল্যাট কিনতে চেয়েছিলাম । অমিতের এবারে ২য় বই বের হচ্ছে। প্রথম বই ছিলো একটা উপন্যাস, নাম- গন্দম। অনেকদিন অপেক্ষার বাদে সেই বই পড়ার সুযোগ হয়েছিলো আমার, এবং পড়ে টড়ে আমি যারপরনাই মুগ্ধ! অমিত তার নামের মতই অমিত সম্ভাবনাময়। অমিতের গল্প পড়ল

শান্তর বাসা

মাঝখানের কিছু বছর আমাদের বন্ধুদের এমন একটা সময় গিয়েছিলো, যখন আমাদের সবার ২য় ঠিকানা ছিলো শান্তর বাসা। শান্তর বাসার খোঁজ কখন কেমন করে যে পাই, এতদিন পরে আমার আর সেসব কিছু মনে নেই। কিন্তু পাবার পর থেকে এমন হতো যে, প্রায়শই আমরা, বন্ধুরা, নিজেদের সবাইকে আবিষ্কার করতাম শান্তর বাসায়। কারন সহ বা কারণ ছাড়াই। খিদে পেলে বা না পেলে। আড্ডা দিতে চাইলে বা না চাইলেও। বাবা-মা র সাথে অভিমান করে দিনের পর দিন শান্তর বাসায় কাটিয়েছে, এমন বন্ধুও আছে আমাদের! ঐ বাসায় যাওয়ার শুরুটা সম্ভবত হয়েছিলো সুমী আপুর বিয়ের সময়। সুমী আপু আসলে আমাদের বোন। আসলে শান্তরও বোন। আরও ভালভাবে বললে বলি, সুমী আপু ছিলো শান্তরই বাবা-মার মেয়ে, কিন্তু যতটা সে শান্তর বোন, তারচেয়ে কোন অংশে কম বোন ছিলো না আমাদের। আমি অনেকদিন পর্যন্ত ভেবেছি, পৃথিবীতে এই একটা অসীম আশ্চর্য পরিবার। শান্তর আম্মু, স্বভাবতই আমাদের আন্টি, আমাদের ডাকতেন শিয়ালের বাচ্চা। আমরা কেউ রাত বিরেতে অথবা সকালে অথবা, দিনের যে কোন সময় একেবারে ঘরের ছেলে ঘরে ফেরার ভঙ্গিতে সেই বাসায় হাজির হতাম, হয়ে ডাইনিং টেবিলে বসে লানচ অথবা ডিনার সেরে ফেলতাম। আন্টি বলতেন, শিয়ালের বাচ্চা, এতদিন পরে

techiটাকি : VoIP / ভয়েপ

০৪/০২/০৯ লিংকসিস ATA --------------------- বাসার ফোন বদলে ভয়েপ করে নিয়েছি। ব্যবহার করছি Linksys ATA. আজ এটা সেটাপ করতে গিয়ে হঠাৎ মুশকিলে ফেললো। কিছুতেই কনফিগারেশানের পাতাটা খুলছিলো না। বারবার ইউজার নেইম আর পাসওয়ার্ড চাইছিলো। অথচ, এই পাতার জন্যে কোন লগইন তথ্যের প্রয়োজন হয় না। পরে একটা উপায় বের করলাম। ব্রাউজারে সরাসরি ইউজারের পাতা চলে গেলে আর এসব ঝামেলা করতে হয় না। যেমন, ধরা যাক, জিনিসটার আইপি 162.198.1.743 , তাহলে ব্রাউজারে লিখতে হবে- 162.198.1.743/admin/basic . তাহলেই কনফিগারেশান পাতায় এটা সরাসরি চলে যাবে, কোনরকম তথ্য জিজ্ঞেস না করেই।

techiটাকি: দরকারী সফ্টওয়র/ প্রোগ্রাম

১১/১০/০৮ পিডিএফ রাইটার ---------------- এ জিনিসের এখন খুব বেশি দরকার হয় বলে মনে হয় না। একদম শুরুতে যখন ইউনিকোডে লেখার প্রচলন হয়নি, তখন কোথাও লেখা পাঠালে ওয়ার্ড ফাইলের সাথে ফন্টও পাঠিয়ে দিতে হতো। তখন ঝামেলা এড়াতে আমি লেখাটাকে পিডিএফ বানিয়ে পাঠিয়ে দিতাম ই-মেইল করে। উইন্ডোজের জন্যে সবচেয়ে ভাল লেগেছে প্রাইমো পিডিএফ। ওয়ার্ড ফাইলটাকে পিডিএফ বানানোই শুধু নয়, যে কোন ওয়েবপেইজকে পিডিএফ বানিয়ে সংরক্ষণ করে ফেলা যায় এটা দিয়ে। ইদানীং অবশ্য ওপেনঅফিস দিয়ে সরাসরি পিডিএফ বানানো যায়। উবুন্তুতে যখন থাকি, ফায়ারফক্সের সাথে একটা এড-অন নামিয়ে নিয়েছি, কাপস পিডিএফ জেনারেটর বলে ওইটাকে, এটাও বিশেষ কাজের। তবে, উইন্ডোজের জন্যে আমার একমাত্র পছন্দ ওই প্রাইমো-ই ।

হা ঈশ্বর

যদি সত্যিই তুমি আমার কথা শুনতে পাও, ওদের বাগান তুমি ফুল শূন্য করে দাও দয়া করে, ওরা ফুল টিপে মেরে ফেলে। আর কোন বাবা যেন ওদের সংসারে না আসে। আর কেউ যেন মা, ভাই কিংবা বোন না হয় কারও। ওদের ঘরে তুমি আর কোন শিশুর জন্ম দিও না, প্লিজ। তুমি কি দেখতে পাচ্ছো না যে, ওরা শিশুদের গুলি করে মেরে ফেলে! ---------------------------