প্যারিস হিলটন আর আমাদের রাজনীতিবিদেরা-
শেষমেষ প্যারিস হিলটন জেলে গেলো। যাবার আগে সানডে হেরাল্ডের পুরো পাতা জুড়ে নিজের কান্না ভরা মুখ উপহার দিয়ে গেলো।
কদিন ধরেই এই নিয়ে অনেক গালগল্প পড়লাম। আমি প্রতিদিন পড়তাম আর ভাবতাম, এই সব মিডিয়া পারেও বটে। যে কোন পর্যায়েই রীতিমত বখে যাওয়া এক মেয়ে, শুধু মাত্র সেলিব্রেটি হবার কারণে কি কাভারেজটাই না পেলো! হানিমুনে নয়, শ্বশুর বাড়িও নয়, যাচ্ছে কোথায়? জেলে! তাই নিয়েও কত কাহিনী। প্রতিদিন গাদা গাদা রিপোর্ট, পত্রিকার তরফ থেকেই চলল কাউন্ট ডাউন, প্যারিসের জেলে যাওয়ার আর এতদিন বাকি! মস্করা আর কি!!
আর সাথে ডিটেইলে বর্ণিত হলো - আজ প্যারিস এখানে চা, ওখানে কফি আর ঐযে ঐখানে হাওয়া খেতে গেলেন।
প্যারিসের প্রস্তুতিও দেখার মতই ছিলো। যাবার আগে কোন পার্লারে গিয়ে যেন বিদায়ী ফেসিয়াল করালেন।
যাগগে, আমরা বঙ্গদেশের ক্রিমিনাল শ্রেণীর মানুষ, এইরকম জেলে যাওয়া আমরা উঠতে বসতে কত দেখি! মুরগী মিলন, কানা লিটনদের পরে আমাদের ভূতপূর্ব রাজনীতিকগণ এখন লম্বা কিউ-এ দাঁড়িয়ে আছেন, কার পরে কে জেলে যাবেন এই অপেক্ষায়।
আমাদের মনেও মায়াদয়া কমে গেছে। বৈদেশী প্যারিসের জন্যে যাওবা দুস্কু দুস্কু একটা ভাব এলো মনে, কিন্তু স্বদেশীদের জন্যে কিছুই হলো না।
আরেকটা রঙ্গ দেখেও মজা পেলাম ভালই। প্যারিস নাকি সাথে করে খাতা কলম নিয়ে যাচ্ছেন, জেলে গিয়ে তিনি 'ডিয়ার ডায়রি' নামে আত্মজৈবনিক কোন উপন্যাস রচনা করতে পারেন, এই আশায়। এইটুকুতে আপত্তি নেই, করিওনি, মুশকিল হয় তখুনি যখন শুনি, সেই ডায়রি কিনবার জন্যে ইতিমধ্যেই প্রকাশকদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে গেছে, দামও হাঁকা হয়ে গেছে মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত। কোন একটা পত্রিকা নাকি এর মধ্যে প্যারিসের এজেন্টের সাথে চুক্তি করে ফেলেছে, জেল থেকে বেরুবার পরে তাদের পত্রিকায়ই প্যারিস প্রথম সাক্ষাৎকার দিবেন। এবং তার জন্যে কত টাকা পাবে বলুনতো? খুব বেশি না, মাত্র ১.১ মিলিয়ন ডলার!
এইবেলা অবশ্য একটু ভাবনা চিন্তার খোরাক আছে। আমাদের রাজনীতিকরা সারা জীবনই টাকার পেছনে ছুটলেন, সরকারী কোষাগার থেকে শুরু করে এমনকি ত্রাণের টিন পর্যন্ত বাদ যায় নি তাদের থাবা থেকে। তো, এই যে জেলে ঢুকছেন, সেখানে গিয়ে প্যারিসের মতন লাভবান হবার একটা বুদ্ধি তারা করলেই তো পারেন!
আপনাদের কথা জানি না, আমি কিন্তু মিস্টার টেন পার্সেন্ট অথবা স্পাইক-বাবর কীসের কল্যাণে তাদের সমস্ত অতি-বৈধ সম্পত্তির খবর জানিয়ে দিলেন, অথবা ট্রাম্প কার্ড জলিল হঠাৎ কোন বাতাসের ধাক্কার তাদের নেত্রীর গোপন কাহিনী ফাঁস করলেন, এইসব পড়তে ভীষণ ভাবে ইচ্ছুক।
কিন্তু হায়, আমাদের দেশের প্রকাশকেরা এতটা রসিক বোধহয় এখনো হয়ে ওঠেন নি।
কদিন ধরেই এই নিয়ে অনেক গালগল্প পড়লাম। আমি প্রতিদিন পড়তাম আর ভাবতাম, এই সব মিডিয়া পারেও বটে। যে কোন পর্যায়েই রীতিমত বখে যাওয়া এক মেয়ে, শুধু মাত্র সেলিব্রেটি হবার কারণে কি কাভারেজটাই না পেলো! হানিমুনে নয়, শ্বশুর বাড়িও নয়, যাচ্ছে কোথায়? জেলে! তাই নিয়েও কত কাহিনী। প্রতিদিন গাদা গাদা রিপোর্ট, পত্রিকার তরফ থেকেই চলল কাউন্ট ডাউন, প্যারিসের জেলে যাওয়ার আর এতদিন বাকি! মস্করা আর কি!!
আর সাথে ডিটেইলে বর্ণিত হলো - আজ প্যারিস এখানে চা, ওখানে কফি আর ঐযে ঐখানে হাওয়া খেতে গেলেন।
প্যারিসের প্রস্তুতিও দেখার মতই ছিলো। যাবার আগে কোন পার্লারে গিয়ে যেন বিদায়ী ফেসিয়াল করালেন।
যাগগে, আমরা বঙ্গদেশের ক্রিমিনাল শ্রেণীর মানুষ, এইরকম জেলে যাওয়া আমরা উঠতে বসতে কত দেখি! মুরগী মিলন, কানা লিটনদের পরে আমাদের ভূতপূর্ব রাজনীতিকগণ এখন লম্বা কিউ-এ দাঁড়িয়ে আছেন, কার পরে কে জেলে যাবেন এই অপেক্ষায়।
আমাদের মনেও মায়াদয়া কমে গেছে। বৈদেশী প্যারিসের জন্যে যাওবা দুস্কু দুস্কু একটা ভাব এলো মনে, কিন্তু স্বদেশীদের জন্যে কিছুই হলো না।
আরেকটা রঙ্গ দেখেও মজা পেলাম ভালই। প্যারিস নাকি সাথে করে খাতা কলম নিয়ে যাচ্ছেন, জেলে গিয়ে তিনি 'ডিয়ার ডায়রি' নামে আত্মজৈবনিক কোন উপন্যাস রচনা করতে পারেন, এই আশায়। এইটুকুতে আপত্তি নেই, করিওনি, মুশকিল হয় তখুনি যখন শুনি, সেই ডায়রি কিনবার জন্যে ইতিমধ্যেই প্রকাশকদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে গেছে, দামও হাঁকা হয়ে গেছে মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত। কোন একটা পত্রিকা নাকি এর মধ্যে প্যারিসের এজেন্টের সাথে চুক্তি করে ফেলেছে, জেল থেকে বেরুবার পরে তাদের পত্রিকায়ই প্যারিস প্রথম সাক্ষাৎকার দিবেন। এবং তার জন্যে কত টাকা পাবে বলুনতো? খুব বেশি না, মাত্র ১.১ মিলিয়ন ডলার!
এইবেলা অবশ্য একটু ভাবনা চিন্তার খোরাক আছে। আমাদের রাজনীতিকরা সারা জীবনই টাকার পেছনে ছুটলেন, সরকারী কোষাগার থেকে শুরু করে এমনকি ত্রাণের টিন পর্যন্ত বাদ যায় নি তাদের থাবা থেকে। তো, এই যে জেলে ঢুকছেন, সেখানে গিয়ে প্যারিসের মতন লাভবান হবার একটা বুদ্ধি তারা করলেই তো পারেন!
আপনাদের কথা জানি না, আমি কিন্তু মিস্টার টেন পার্সেন্ট অথবা স্পাইক-বাবর কীসের কল্যাণে তাদের সমস্ত অতি-বৈধ সম্পত্তির খবর জানিয়ে দিলেন, অথবা ট্রাম্প কার্ড জলিল হঠাৎ কোন বাতাসের ধাক্কার তাদের নেত্রীর গোপন কাহিনী ফাঁস করলেন, এইসব পড়তে ভীষণ ভাবে ইচ্ছুক।
কিন্তু হায়, আমাদের দেশের প্রকাশকেরা এতটা রসিক বোধহয় এখনো হয়ে ওঠেন নি।