অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প | সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

 


সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম অদ্ভুত গল্প লেখেন। সবগুলো গল্পেই কথক হিসেবে তিনি নিজেই উপস্থিত। সব কয়টি গল্পই উত্তম পুরুষে লেখা। সেখানে গল্পের কথকের পেশা অধ্যাপনা, যিনি আবার লেখালেখিও করেন। কোনো কোনো গল্পে তাঁকে কেউ 'মনজুর' বলেও ডাকে। ইন্টারেস্টিং! সব গল্পেই তিনি পাঠককেও টেনে নেন, এবং মাঝে মাঝে পাঠককে ডেকে সম্বোধনও করেন। পাঠকের সাথে আলাপ করতে করতেও এগিয়েছে কিছু কিছু গল্প।


তবে গল্পে নিজে উপস্থিত থাকলেও গল্পের কথকের খুনী হয়ে যেতে কোনো বাধা নেই। আবার কখনো কখনো কথকের উপর রাগ বা বিরক্তি তৈরিও থেমে থাকে না। এ দিক দিয়ে লেখক সত্যিই উদার।

উন্নত মানের গল্পের বেসিক নিয়ম হচ্ছে, Show, don’t tell; এটা ওনার গল্পে একেবারেই খাটে না। অনেক বেশি টেলিং এখানে, শোয়িং এর বদলে। কিন্তু তাতে করে গল্প জমে যেতে আটকাচ্ছে না একদম। বরং সব গল্পই শুরু করে শেষ না করা পর্যন্ত থামা যাচ্ছে না। তার মানে কী দাঁড়ালো? তার মানে হলো এই যে, লিখতে জানলে গল্প যে কোনোভাবেই বলা যায়। নিয়ম কানুনের নিকুচি করলেও সমস্যা নেই কোথাও।

পুরো বইটা পড়ে মনে হলো, যদি গল্পের ভেতরকার রহস্যময় এবং আধিভৌতিক উপাদানগুলো না থাকতো, এ গল্পগুলোকে অনায়াসে লেখকের আত্মজৈবনিক স্মৃতি বলে চালিয়ে দেয়া যেত।

তবে সেটা যে যাচ্ছে না, বোধকরি এখানেই লেখকের সাফল্য। 

Popular posts from this blog

The Boy, the Mole, the Fox and the Horse | Charlie Mackesy

মধ্যাহ্নভোজ | উইলিয়াম সমারসেট মম্‌ | রূপান্তরঃ তারেক নূরুল হাসান

আরেকটিবার-