মুখ ঢেকে যায় ...
রাজপ্রাসাদের সৈন্যরা সব শেষ, উজিরের মরল খানিক আগেই, বীরবেশে আমি রাজার ঘরে ঢুকতে যেতেই রাজকন্যা ফোন দিলো, আমার মুঠোফোনের স্ক্রিনে ছবি সমেত নাম ভেসে উঠলো তার, কঙ্কাবতী! আমি তো চমকে উঠলাম। হাতের চকচকে খোলা তলোয়ার সাই করে বগলে চেপে অন্য হাতে কল রিসিভ করেই বললাম, হাআআলোওওও, নেমজ কুমারস, ডালিমস কুমারস!
ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কেউ একজন উদগ্রীব গলায় ডেকে উঠলো, কনফু, ঘুমাচ্ছিস?
ঘুম? আমি? ঘুউউম?
আরে তাই তো! বেঘোরে ঘুমুচ্ছিলাম, ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই রাজা উজির মারছিলাম বেশ। এবারে একদম ধপাস করে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। রাজ্য রাজপাট সিংহাসন সব গায়েব। আমি ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসলাম, কানে তখনও সোনার কাঠি রূপার কাঠি, আই মিন, ফোন।
অফিস-ফেরতা বউ কল দিয়েছে, শহর থেকে ফিরবার ট্রেন মাঝপথে আটকা পড়েছে, নিয়ে আসতে হবে গিয়ে।
খুব দ্রুতই রূপকথার ঘুম কাটিয়ে স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করলাম। ঠিকানা জেনে নিলাম ঝটপট, তারপরে গুগল ম্যাপে সার্চ, ম্যাপ জানালো ২৮ মিনিটের পথ। চিরকালীন অভ্যাসে নিচের বাটনে চাপ দিয়ে মোবাইলটা উইন্ডস্ক্রিনের হোল্ডারে চাপিয়ে দিয়ে শিষ বাজাতে বাজাতে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দিলাম, এবার গুগলই পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে।
পৌঁছতে যখন মিনিট পাঁচেক বাকি, তখন খানিক সন্দেহ হতে লাগলো। আমার মন বলছে এখন সোজা যাবার কথা, তাহলে গুগল ম্যাপ কেন ডানে যেতে বলছে? এতটাই নিশ্চিত ছিলাম যে আমি সোজা রাস্তায়ই গেলাম। কিন্তু ম্যাপ সাথে সাথে ট্যাঁ ট্যাঁ করে উঠল, ডানে যাও, ডানে যাও। আমি তবু খানিকদূর গিয়ে দেখি একি ব্যাপার, বাধ্য হয়ে গাড়ি থামিয়ে ম্যাপে আমার গন্তব্য ঠিকঠাক দিয়েছি কি না দেখতে গেলাম। ধুর, ভুল ঠিকানা দিয়ে বসে আছি!
আবারও ঠিকানা লিখলাম ওখানে, তারপরে অভ্যেসমতন সার্চ বাটন ছুঁইয়ে স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি সর্বনাশ, ঠিকানা দেখাচ্ছে আমার গন্তব্যই, তবে যেখানে চাপ দিয়ে ডিরেকশান চালু করার কথা ওখানে দেয়া আছে কাছাকাছি একটা রেস্তোরাঁর নাম! ব্যাপারটা বুঝে উঠতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগে গেল আমার, তারপরেই হঠাৎই বুঝে গেলাম!
বিজ্ঞাপন!
আমার সঠিক গন্তব্যের অপশান দেয়া আছে নতুন একটা জায়গায়। কিন্তু অভ্যেস বশে যেখানে আঙুল যাবার কথা ওখানেই ঘাপটি মেরে আছে সেই রেস্তোরাঁর বিজ্ঞাপন।

হায় গুগল। ম্যাপেও এরকম জোরজবরদস্তি টাইপ বিজ্ঞাপন দিতে হল? জিমেইল বা ইউটিউবে, এমনকি গুগলের সার্চে টার্চেও বিজ্ঞাপন মানিয়ে যায়, ওদেরও তো পেট চালাতে হবে।
কিন্তু গুগল ম্যাপের মত একটা জরুরি জায়গায় বিজ্ঞাপনের গিয়াঞ্জাম দেখে ভাল লাগলো না। এ যেন পাবলিক টয়লেট থেকে বেরুবার মুহুর্তে আবিষ্কার করা যে টয়লেট রোল নেই, নতুন রোলের জন্যে এখন বসে বসে দেখতে হবে ম্যাগি নুডলসের বিজ্ঞাপন, শেষ হলেই পরে বাক্স ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবে ঝকঝকে নতুন টয়লেট রোল!
সত্যিই সেলুকাস, মুখ তো বটেই, আজকাল ম্যাপও... ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে!
ঘুম? আমি? ঘুউউম?
আরে তাই তো! বেঘোরে ঘুমুচ্ছিলাম, ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই রাজা উজির মারছিলাম বেশ। এবারে একদম ধপাস করে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। রাজ্য রাজপাট সিংহাসন সব গায়েব। আমি ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসলাম, কানে তখনও সোনার কাঠি রূপার কাঠি, আই মিন, ফোন।
অফিস-ফেরতা বউ কল দিয়েছে, শহর থেকে ফিরবার ট্রেন মাঝপথে আটকা পড়েছে, নিয়ে আসতে হবে গিয়ে।
খুব দ্রুতই রূপকথার ঘুম কাটিয়ে স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করলাম। ঠিকানা জেনে নিলাম ঝটপট, তারপরে গুগল ম্যাপে সার্চ, ম্যাপ জানালো ২৮ মিনিটের পথ। চিরকালীন অভ্যাসে নিচের বাটনে চাপ দিয়ে মোবাইলটা উইন্ডস্ক্রিনের হোল্ডারে চাপিয়ে দিয়ে শিষ বাজাতে বাজাতে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দিলাম, এবার গুগলই পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে।
পৌঁছতে যখন মিনিট পাঁচেক বাকি, তখন খানিক সন্দেহ হতে লাগলো। আমার মন বলছে এখন সোজা যাবার কথা, তাহলে গুগল ম্যাপ কেন ডানে যেতে বলছে? এতটাই নিশ্চিত ছিলাম যে আমি সোজা রাস্তায়ই গেলাম। কিন্তু ম্যাপ সাথে সাথে ট্যাঁ ট্যাঁ করে উঠল, ডানে যাও, ডানে যাও। আমি তবু খানিকদূর গিয়ে দেখি একি ব্যাপার, বাধ্য হয়ে গাড়ি থামিয়ে ম্যাপে আমার গন্তব্য ঠিকঠাক দিয়েছি কি না দেখতে গেলাম। ধুর, ভুল ঠিকানা দিয়ে বসে আছি!
আবারও ঠিকানা লিখলাম ওখানে, তারপরে অভ্যেসমতন সার্চ বাটন ছুঁইয়ে স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি সর্বনাশ, ঠিকানা দেখাচ্ছে আমার গন্তব্যই, তবে যেখানে চাপ দিয়ে ডিরেকশান চালু করার কথা ওখানে দেয়া আছে কাছাকাছি একটা রেস্তোরাঁর নাম! ব্যাপারটা বুঝে উঠতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগে গেল আমার, তারপরেই হঠাৎই বুঝে গেলাম!
বিজ্ঞাপন!
আমার সঠিক গন্তব্যের অপশান দেয়া আছে নতুন একটা জায়গায়। কিন্তু অভ্যেস বশে যেখানে আঙুল যাবার কথা ওখানেই ঘাপটি মেরে আছে সেই রেস্তোরাঁর বিজ্ঞাপন।
হায় গুগল। ম্যাপেও এরকম জোরজবরদস্তি টাইপ বিজ্ঞাপন দিতে হল? জিমেইল বা ইউটিউবে, এমনকি গুগলের সার্চে টার্চেও বিজ্ঞাপন মানিয়ে যায়, ওদেরও তো পেট চালাতে হবে।
কিন্তু গুগল ম্যাপের মত একটা জরুরি জায়গায় বিজ্ঞাপনের গিয়াঞ্জাম দেখে ভাল লাগলো না। এ যেন পাবলিক টয়লেট থেকে বেরুবার মুহুর্তে আবিষ্কার করা যে টয়লেট রোল নেই, নতুন রোলের জন্যে এখন বসে বসে দেখতে হবে ম্যাগি নুডলসের বিজ্ঞাপন, শেষ হলেই পরে বাক্স ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবে ঝকঝকে নতুন টয়লেট রোল!
সত্যিই সেলুকাস, মুখ তো বটেই, আজকাল ম্যাপও... ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে!