চ্যাম্পিয়ান হবে কে?
রিখটার স্কেলে তিন মাত্রার দুঃস্বপ্ন দেখবার জন্যে শ্রী লঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার কোন তুলনা নেই। হাতটাকে যথেষ্ঠ রকমের অপ্রয়োজনীয় জায়গা থেকে ঘুরিয়ে এনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাবার মত বাজে জায়গা থেকে বল ছুড়বার সময়ে উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটসম্যানদের কার কথা মনে পড়ে জানি না, আমার মনে পড়ে যায় সেই ছোট্টবেলায় দেখা রামায়নের রাক্ষস-রাজ-রাবণের কথা। চুল ভুরু সবখানে রঙ মাখিয়ে তিনি যেই সাজটা দিয়েছেন, ভদ্রজনেরা সেইটাকে বলেন ইন্টারেস্টিং, আর আমি বলি "ভয় পাইসি''!! আর কারো না হলেও, আমার পিলে ঠিকই চমকায়!
তো, কাহিনি হলো, এই মালিঙ্গা মহাশয় শ্রীমান ভাস ও মুরালীর সাথে মিলে যেই একটা বোলিং এটাক বানিয়েছেন, এটার তুলনীয় আর কোন কম্বিনেশন এই বিশ্বকাপে এখনো খুঁজে পাচ্ছি না। জ্বী, পোলক-এনটিনি-ম্যাকগ্রা-টেইট-বন্ড, তেনাদের নাম-ধাম মাথায় রেখেই আগের লাইনটার পুনরাবৃত্তি করতে পারি নির্দ্ধিধায়।
খুব খুশি হবো যদি সাউথ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন হয়, একেবারেই বেজার হবো অস্ট্রেলিয়া আবার কাপ নিলে। কিন্তু আশংকা করছি, খুশি বা বেজার কোনটা হবার সুযোগ এবার নাও পেতে পারি।
এতদিনকার খেলা দেখে মনে হলো, ব্যাটিং অর্ডারের এক বা দুজন ক্লিক করে গেলেই শ্রী লঙ্কা হেসে খেলে ২৫০ তুলে ফেলতে পারবে যে কোন দলের বিপক্ষে। আর ওদের বোলাররা, মানে, মালিঙ্গা-ভাস ও মুরালিধরণের ক্ষমতা আছে যে কোন টার্গেটে বিপক্ষকে আটকে দেবার।
তাই, নিতান্তই বাজে কোন দিনের কবলে না পড়লে এটা কি ধরে নেয়া যায় যে কাপটা শেষমেষ শ্রী লঙ্কায়ই যাচ্ছে?
ফাইনালের রাতে দশ-মাথা-রাবণ, থুক্কু, মালিঙ্গার রাক্ষুসে হাসির শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যাবে, আগামী কটা দিন এই দুঃস্বপ্নেই কাটবে মনে হয়।