বনফুলের গল্পসমগ্র-
কলিকালে এক ডাক্তার জন্মিয়াছিলেন বাঙালাদেশে। তাঁহার পসার ছিলো, সেই সাথে প্রাণের ভিতরে সাহিত্য করিবার প্রেসারও ছিলো। নিজের দাওয়ায় বসিয়া তিনি প্রেসক্রিপশানে রুগীদের কষ্টের হিস্টরী লিখিতেন। আর তাহাদের সহিত আলাপের অবসরে, মনের ভিতরের কোন এক খাতায় নানা প্রকারের নোট লইতেন, সংস্পর্শে আসা নানাবিধ জীবন আর তাঁহাদের কাছ হইতে পাওয়া এই সব অলৌকিক গল্প তিনি কোন দিন লিখিয়া উঠিবেন এই আশায়। সেই সব প্লটগুলান তিনি একখানা খাতায় লিপিবদ্ধও করিয়া ফালাইলেন, ভবিষ্যতে সেগুলা পূর্ণতা পাইবে, ইহাই ছিলো কামনা। কিন্তু তিনি ব্যস্ত মানষ। মোটের ওপরে, তেমন করিয়া আর সময় করিয়া উঠিতে পারিলেন না। তখন ভাবিলেন, প্লটগুলান এই রূপেই গল্প হিসেবে ছাড়িয়া দিলে কিরূপ হয়? তো তিনি তাহাই করিলেন। এবং, নিজের অজান্তেই তিনি সৃষ্টি করিলেন গল্পের এক নতুন ধারা। গল্পিকা, গল্প-কণিকা বা আদিরূপ ছোটগল্প ঘুরিয়া অদ্যকার কলিযুগে সকলে যাহাকে অণুগল্প হিসাবে চেনে। * একটু হাসফাঁস লাগলো এইটুকু লিখতেই। তবে ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। চলিত ভাষায় লিখতে গেলে সম্ভবত একটু বর্ণনার প্রয়োজন পড়ে বেশি, সাধুতে সেটা অল্প কথায় সেরে ফেলা যায়! বলে রাখা ভাল, উপরের চিত্রটি পুরোপ...