নানা 'বর্ণে'র গালি
আমার এক বন্ধুর মামাত ভাই, বয়েস বেশি নয়। দেড় কি দুই। মাত্রই টুবলুশ গাল ফুলিয়ে টুকুস টাকুস করে কথা বলা শিখেছে। সবাই আনন্দে আত্মহারা। এরই মধ্যে কোন এক দৈব দুর্বিপাকে সে একটা 'গালি' শিখে ফেললো, 'কুত্তার বাচ্চা'! খেতে চাইছে না, জোর করা হচ্ছে, ব্যস দিয়ে ফেললো গালি। বাড়িতে মেহমান এসেছে, কোলে নিতে চাইছে, ভাইজানের হয়ত মুড ভাল নেই। খানিক জোরাজুরির পরে অবধারিতভাবে বলে বসলো, "এই কুত্তাল বাত্তা, ছাল আমালে ছাল!' বিরাট মুশকিল। তবে সমাধান বের হলো। তাকে আদর করে শিখিয়ে দেয়া হলো, এটা খুবই খারাপ কথা, এরকম বললে লোকে আদর করবে না। তো সেই আদরে কাজ হলো, সেই পুঁচকা ভাইজান এখন কারও উপর রেগে গেলে চোখ মুখ বড় বড় করে বলে, " এই কুকুলেল বাবুটা, যা এখান থেকে, যা!' * খেলার মাঠে হরভজন 'বর্ণবাদী' গাল দিয়ে বসেছে সাইমন্ডসকে। বলেছে নাকি 'বানর'। এই গাল শুনতে হয়েছে সাইমন্ডসকে সর্বশেষ ভারত সফরেও। হরভজন বলেছে সে নাকি বানর বলে নি। ভারতীয় প্রতিনিধিরা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, যদি ডেকেও থাকে, বানর শব্দটা উপমহাদেশে খুব খারাপ গালি নয়, বরং আদর করেই ডাকা হয় এটা। দুই পড়েই আমার হাসি পেলো। এক, গাল...