Posts

Showing posts from September, 2008

ঈদ মুবারক

Image
ঈদের কথা মাথায় এলেই একসাথে তিন-চারটে ছবি ফ্ল্যাশব্যাকের মত করে মনে পড়ে যায়। এক। দৈনিক পত্রিকা। প্রায় সবগুলোর হেডিং হয়- আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ। একদম ছেলেবেলা থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি বছর একই কাহিনি, কোন ব্যাতিক্রম পাইনি। কালকের পত্রিকা খুললেই আশা করি প্রমাণ মিলবে। দুই। বিটিভি। সার বেঁধে দাড়িয়ে থাকা বাচ্চা কাচ্চা। শরীর আর ঘাড় বিপরীত দিকে প্রায় ১২০ ডিগ্রী ঘুরিয়ে চিৎকার করে গাইছে- ঘুরে ফিরে, বারে বারে ( এইখানে শরীর বাঁকানোর সাথে সাথে মাথায়ও একটা সেইরকম ঝাঁকি হবে), ঈদ আসে ঈদ চলে যায়..... তিন। এইখানেও সার বাঁধা মানুষ, তবে বাচ্চা নয়, বড়ো। এরা গাইছেন, ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ। চার। টিভি চ্যানেলের উপস্থাপিকা বা সংবাদ পাঠিকাদের প্রায় ডুমুরের ফুলের মতন মাথায় লেগে থাকা একটু খানি ঘোমটা এই দিনে পুরোপুরি গায়েব হয়ে যায়! চান রাতের খুশীতে তারা পরিপুর্ণ চাঁদ বদন নিয়ে টিভি পর্দায় হাজির হন! * ঈদের সালামীর কথাও ভুলবার নয় কিছুতেই। সালামী পেতে মারাত্মক ভাল লাগতো। ঈদের আগে আগে সেবা প্রকাশনীর ক্যাটালগ দেখে দেখে বেছে রাখতাম কোন কোন বই কিনবো। ঈদ শেষে সালামীর টাকা পকেটে নিয়ে সোজা বইয়ের দোকানে হাজির

জুবায়ের ভাই...

অর্ধেকটা জীবন পেরিয়ে এসে আত্মীয়-অনাত্মীয় নানা জনের বিদায়ে শোকাহত হয়েছি, কিন্তু বন্ধু বিয়োগের ব্যথা এই প্রথম পেতে হলো। অনেক দিন বাদে আজ কারো বিদায়ে তীব্র কষ্ট হচ্ছে, হু হু কান্নায় ভরে যাচ্ছে চোখ। সচলায়তনের পাতা উলটে পুরনো লেখায় চোখ বুলিয়ে যাচ্ছি, কেমন করে বিশ্বাস করি এত প্রাণবন্ত লেখাগুলোর পেছনের মানুষটা এখন আর নেই! ব্যক্তিগত মেসেজে যেটুকু আলাপ, খুঁজে খুঁজে পড়ছি বারবার, আর চোখ ভিজে আসছে কেবলই। সচলের পাতায় কার যেন কোন একটা গল্পে আদর করে ভুল ধরিয়ে দিয়েছিলেন কিছু। আমি একদম পেয়ে বসি তারপরে, বললাম, এই প্র্যাকটিসটা চালু রাখা দরকার, আপনি নিয়মিত করুন এই কাজটা । হেসে আমাকে মেসেজ দিলেন, আমি কি তবে কানাই মাস্টার? তবে কখনোই তাঁর কথায় মাস্টারি ছিলো না কোন কালে, এত বড় একটা মানুষ, তবু কি অদ্ভুতভাবে কেবলই একজন ভাল বন্ধুর মতন মন্তব্য করতেন প্রতিটি লেখায়। সচলে আসা তার একটা উপন্যাসের খুব কড়া সমালোচনা করেছিলাম একবার। আর কেউ হলে ওরকম কঠিন করে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারতাম কি? মনে হয়, না। জুবায়ের ভাই বলেই পেরেছি। এবং শান্তি পেয়েছি তার প্রতিক্রিয়া পড়ে, তিনি ভীষণ খুশি এরকম সমালোচনায়- মন্তব্যে পাঁচ তারা দিতে চা

হাওয়াই মিঠাই ১১

কদিন আগে, সম্ভবত প্রায় বছর দশেক বাদে, মাঝরাতের শো শেষ করে সিনেমা দেখে ফিরতে ফিরতে এক্স ফাইলসের সুরটা শিস দিয়ে বাজালাম। এক নাগাড়ে অনেকক্ষণ, থেমে থেমে লম্বা সময়। দেখলাম, এত দিনের অনভ্যাসে ভুলিনি তবু, ভালই বাজাতে পারলাম। সিনেমাটা খারাপ লাগেনি। অনেক আগে টিভি পর্দায় দেখা পর্বগুলোর সাথে তেমন কোন পার্থক্য নেই অবশ্য। আমার মনে হলো, শ্লথ গতির কারণে একদম নতুন দর্শকেরা হয়তো হতাশ হবে, কিন্তু আমাদের মত কিছু দর্শক, যারা পুরোনো স্মৃতি খুঁড়ে ভাললাগা জাগাতে চাইবে, তাদের খুব একটা খারাপ লাগবে না। অবশ্য মুভিটা নয়, আমি ভাবছিলাম অন্য কথা। ভাবছিলাম, টিভি পর্দায় যখন খুব উত্তেজনা নিয়ে এক্স ফাইলস দেখার জন্যে অপেক্ষা করতাম, সেটা সত্যিই কি দশ বছর আগের কথা? বড় হয়ে যাচ্ছি, হতে হতে বুড়োর পথে যাচ্ছি, এইরকম একটা ভাবনা প্রতিনিয়তই আমাকে বিমর্ষ করে। আমার সত্যিই আর বড় হতে ইচ্ছে করে না, ঠিক এইখান থেকে যদি এবাউট টার্ণ নেয়া যেতো, নিয়ে নিতাম। ইতিমধ্যেই জীবনের এতটা পথ পেরিয়ে এসেছি যে, সেখান থেকে যখন তখন দশ বা বারো বছরের এক-একটা টুকরো তুলে নিয়ে পরে স্মৃতিচারণ করতে পারছি, এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে? এরকম করে ভাবতে চাই না,