Posts

Showing posts from August, 2008

ইতাক তুকে মানাইছেনাই রে

এই মিঠে-মন্দ রোদ আর বাতাসে পথ হাঁটতে গেলেই গা জুড়িয়ে আসে আরামে। খুব সাদা, অনেক কালো আর আমার মতন বাদামী রঙের মানুষদের মাঝখান দিয়ে অনায়াস দক্ষতায় গা বাঁচিয়ে পাশ কেটে কেটে হেঁটে বেড়াই। পথ চলতে, কানে ভেসে আসে নানান ভাষার কিচির-মিচির। তবু হঠাৎ কেউ যখন বাংলায় কথা কয়ে ওঠে, আনমনেই পা থেমে যায়। চিড়িয়াখানায় অনেক দিন আগে দেখা বন্দি সেই চিত্রল হরিণের মত কান খাড়া করে ফেলি, আরো খানিকটা কথা বলুক মানুষটা, আরও খানিকটা বাংলা না হয় শুনি। আমাদের প্রতিবেশী হলো একটা ছোট্ট শিশু-পার্ক। গাছ-গাছালি তেমন নেই, মাঝখানে অনেকগুলো দোলনা, বেয়ে বেয়ে উঠে যাবার বা গড়িয়ে নেমে যাবার ছেলেমানুষী কাঠামো সব। প্রতি বিকেলে অনেকগুলো মানবশিশু, ঠিক যেন স্বর্গ থেকেই নেমে আসে এখানটায়। বাথটাবের ওপরে বহু যত্নে উঠে দাঁড়িয়ে একদিন আবিষ্কার করি, সেই স্বর্গছেড়াদের কেউ কেউ আধো আধো বোলে বাংলায় অভিমান করে তাদের বাবা-মায়ের সাথে। আমার আড়িপাতার হার দিনে দিনে বেড়ে যায়, ছোট্ট আর আদুরে সেই মুখগুলো থেকে মধু মাখা বাংলা শুনে শুনে মন জুড়িয়ে যায়। বাড়ির পাশের পাঠাগার খুব অল্প সময়েই আমার প্রিয় জায়গা হয়ে দাঁড়ায়। সময়ের দারুণ টানাটানি, তবু সপ্তাহে একদিন গিয়

প্রিয় বাংলাদেশ ২

চাঁদের শেষ মাথায় কেবলই ধূসর আর ধূলো তার প্রান্ত রেখায় দাঁড়িয়ে- ঘামে-কালো-চকচকে বাবা আমার- গলায় মুয়াজ্জিনের আবেগ ভিড়িয়ে এনে মেঘস্বরে ডেকে ওঠে- কানুরে, বাপ, ও কানুউহ-- আমি চকিতেই হাতের তালুতে লুকিয়ে ফেলি আমার অলৌকিক ইস্টিমার। আসাদের ছেঁড়া-ফাঁড়া শার্টের বুকপকেটে ডুবে ডুবে উঁকি দেয়- দুএকটা জোনাকি। বিলের পাথুরে কালো পানির উপর দিয়ে তরতর আমি ছুটে গিয়ে হাঁকি- বাবাআ। স্বপ্নদৃশ্যের জাল এভাবেই রোজ ছিঁড়ে গেলে, শোল মাছের মরণ যন্ত্রণায় আমিও জেগে উঠি শয্যায়। বুকের যে পাশটায় ফাঁকা ফাঁকা লাগে, আমাকে আশ্বস্ত করে সেখানেই শুয়ে থাকে বাবার পিঠে আঁকা একফালি সবুজ মানচিত্র। ১৪/০৮/০৮ ( কোন সিরিজ টিরিজ না, অনেক আগে প্রিয় বাংলাদেশ নামে আরেকটা কবিতা লেখার চেষ্টা করেছিলাম, এ কারণেই এবারেরটা পরে ২ যুক্ত হলো। আমি অবশ্য এই নম্বর-টম্বর নিয়ে খুব একটা ভাবিত নই, আজ অনেক দিনের বাদে আমার সেই প্রিয় কাকের ঘাড়ে চড়ে একটা কবিতা শেষমেষ আমার কাছ এসে পড়েছে, আমি তাতেই খুশি! )

ঝুম্পার সাথে দেখা-

আগে থেকে কোন রকম প্ল্যানিং ছিলো না, অন্য কি একটা বই খুঁজতে গিয়ে এখানকার লোকাল লাইব্রেরীর কোন একটা শেলফে একদম হঠাৎই চোখে পড়লো বইটা। ইনটারপ্রেটার অব মেলাডিজ। বইটার নাম শুনেছি আগে, কিন্তু আমার তখন অন্য লেখকের বই শেষ করার চিন্তা মাথায়, তাই নিবো না ঠিক করে দরকারী বইটা সাথে নিয়ে লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে পার্কিং-এ পৌঁছে যাই, তারপর হঠাৎ কি মনে করে আবার ওখান থেকে ফিরে এসে বইটা ইস্যু করে ফেলি। ঝুম্পার সাথে শেষ মেষ আমার দেখা হলো এইরকম আচমকাই, নেহায়েত অনিচ্ছায়, অনেকটা দুইটা কিনলে একটা ফাউয়ের স্টাইলে দোকান থেকে তুলে নেয়ার মত। তো, এই পরিচয়টা নিবিঢ় হতে খুব বেশি সময় লাগলো না। একটু অবশ্য লাগলো। আমি শুরুতেই বইটা পড়লাম না। অন্য যে বইটা পড়ছিলাম, ওটা বেশ দীর্ঘ একটা উপন্যাস। পড়তে পড়তে ক্লান্তি চলে এলে আমি মাঝে মাঝেই অন্য লেখায় ডুব দেই। এরকম অনেকবার হয়েছে যে একসাথে আমি দুই বা তিনটে বইও পড়া শুরু করেছি, এবং প্রায় একই সাথে সবগুলো পড়া শেষ করেছি। আমার তাতে কোন সমস্যা হয় না। অনেক উল্টা পাল্টাও করি। মাঝে একবার ইলিয়াসের নেশায় পেয়েছিলো, তো পড়তে পড়তে মাথা মাঝে মাঝে ভোঁ ভোঁ করতো, তখন হাল্কা কি পড়া যায় ভাবতে ভাবতে টেনে ন

সামহোয়্যারইনব্লগে দেয়া সাক্ষাৎকার

Image
কনফুসিয়াসের সাথে করি বাংলায় চিৎকার ১৯ শে মে, ২০০৭ দুপুর ১:২৩ ".... করি বাংলায় চিৎকার..." না লিখে "বাংলায় চিৎকার করি" লেখা যেত। কিন্তু কনফুসিয়াস যখন লেখে তখন শব্দ-দ্যোতনা তৈরী হয়, হৃদয় খাবলে খায়, আর এমনি করে বাংলাব্লগস্ফিয়ারে "করি বাংলায় চিৎকার" বাংলাভাষার ব্রান্ড এম্বেসেডার হয়ে ওঠে। বুকফাঁটা চিৎকারে মাতম তুলে জানায়, বাংলায়, হ্যা বাংলায় আমি হাসি, কাঁদি, চিৎকার করি! এ মাতম ছুয়ে যায় জৈষ্ঠ্যের কৃষ্ণচুড়া, লালে সয়লাব হয়ে ওঠে চেরিরকুঞ্জে, হয় রাধাচুড়ার উৎসব, বরফের বুকে বাংলায় শ্যামলিমা, উহ! এই একটা উচ্চারণ কি স্ফুর্তি তোলে প্রবাসে, পরবাসে আর দেশের মাটিতে! আগুণের পরশমনিতে বিখ্যাত কনফুসিয়াসের আবির্ভাব তাই নিঃসন্দেহে একটা মাইলফলক। জন্মযুদ্ধ, বীক্ষণসহ অসংখ্য বাংলা প্লাটফর্ম তৈরীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তিনি। তার ব্লগের লেখায় একটা নির্মল টলমলে স্ফটিকস্বচ্ছতা রয়েছে। আজকে তার জীবনের ভাবনা আর বিশ্লেষনে আমরা অবগাহন করবো। লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড):  আগুনের পরশমনি ,  আগুনের পরশমনি ,  আগুনের পরশমনি আগুনের পরশমনি  ; সর্বশেষ এডিট : ১৯ শ