Posts

Showing posts from December, 2006

সিংহপুরী আলাপ-

১। এবার দেশে আসার পথে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের টিকেট না কাটার পেছনে প্রধান কারণ ছিল পছন্দের সময়ে রিটার্ন টিকেট না পাওয়া। ওটায় করে এলে আমাকে পনের দিন আগেই দেশ ছাড়তে হতো। আরেকটা প্রচ্ছন্ন কারণ ছিল আমার বন্ধু রাজীব। ও আমাকে আগেই সাবধান করে দিয়েছিলো ভুলেও যেন মালয়েশিয়ান টিকেট না কাটি। মেলবোর্ন থেকে মালয়েশিয়া সার্ভিস খুব ভালো, কিন্তু তারপরে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার সার্ভিস নাকি একদম যাচ্ছেতাই! ও যেবার ঢাকায় এসেছিলো, সেবারের প্লেন নাকি ঢাকার লোকাল বাসের কোয়ালিটির। আরো ভয়ংকর কথা, প্লেন জিয়া এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার সাথে সাথে সব প্যাসেনজার নাকি দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুরু করেছিল। ল্যান্ডিংয়ের সময়ে সীট বেলট বাঁধা আবশ্যক, সুতরাং অনতিবিলম্বে বিমানবালারা চেঁচামেচি করে সেটা জানান দিতে থাকে, কিন্তু তবু নাকি কারো ভ্রুক্ষেপ ঘটেনা! চোখ বুজে দৃশ্যটা কল্পনা করার চেষ্টা করতেই শিউরে উঠলাম। এবং এমন করেই কেটে ফেললাম সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের টিকেট। ২। ভুল যে করিনি সেটা টের পাই প্লেনে ওঠার সাথে সাথেই। প্রায় নিয়মিত বিরতিতে সিনেমার নায়িকাদের প্রেমে পড়ার ব্যাপারে আমার রেকর্ড আছে। উইনোনা রাইডার, ক্যাথারিন জেটা জোনস, পেন

কষ্টে আছি ইয়াজুদ্দিন-

১। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়া আমার ব্যক্তিগত ধারণা ছিল- প্রজাতিতে এনারা বেশ নীরিহ হন, করেন না কো ফোঁসফাঁস, মারেন নাকো ঢুসঢাস। ইশকুলে থাকতে বিএড টিচার বলে একটা ব্যাপার ছিল। বৎসরের কোন একটা সময়ে এরা হাজির হতেন। কোন এক সুন্দর সকালে আমরা বাংলা ক্লাসে গিয়ে দেখতাম, আজ রবি ঠাকুরের কবিতা পড়া হবে, সেজন্যে বোর্ডে লাল চক দিয়ে কবিতার নাম, আর নীল চক দিয়ে লেখা হয়েছে কবির নাম। তারচেয়ে মজার কথা বোর্ডের এক কোনায় ক্যালেন্ডার থেকে কেটে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে রবিদাদুর ছবি। দাদাঠাকুর সেই ছবি থেকে দাড়ির ফাঁক দিয়ে অদৃশ্য হাসি হাসতেন, আর আমরা ক্লাশের সবাই যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচতাম। ঐ স্যাররা হতেন ভয়াবহ ক্যাটাগরির অমায়িক মানুষ। ক্লাশে যতই চিল্লাপাল্লা করতাম, কখনৈ ওনারা ধমকটা পর্যন্ত দিতেন না। বাসায় বেড়াতে আসা নতুন মামীর মতন অভিমানী গলায় বলতেন, প্লিজ, তোমরা দুষ্টামি কোরো না। ২। তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুনলেই আমার কেন জানি বিএড টিচারদের কথা মনে হোত। তিনমাসের জন্যে এসে এনারা দেশটাকে সুন্দর ভাবে চালাবেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে, এমনটাই ভাবতাম। কিন্তু এ বছর দেখি ঘটনা অন্যরকম। গত একমাসে সবকিছু কেমন ভোজবাজির মত লাগছে। 'কি হইতে কি হইলো,

বীক্ষণ সম্পর্কিত ঘোষনা-

Image
নেটে বসে আছি প্রায় ঘন্টাখানেক হবে। এর মধ্যে অনেক সময় নিয়ে ৩ টা পেজ খুলতে পেরেছি। সেজন্যে অবশ্য আমি মোটেও দু:খিত নই। কোন লিংকে ক্লিক করে নতুন পেইজ খুলবার সময়টুকু কাজে লাগানোর জন্যে বাসা থেকে সাথে করে মুহম্মদ জাফর ইকবালের 'আমি তপু“ বইটা নিয়ে এসেছি। একটা লিংকে ক্লিক করে ৩ বা চার পাতা পড়া শেষ করে মনিটরে তাকাই, ততখনে পেজটা চলে আসে। লাভের মধ্যে লাভ হয়েছে, বইটা প্রায় শেষ করে ফেলেছি, আর বোধহয় ২০/২৫ পৃষ্ঠা বাকি! ------------------- দেশে আসবার আগেই একটা ঘোষনা দেবার কথা ছিল, তাড়াহুড়ায় দিতে পারি নি। নতুন একটা ওয়েবম্যাগাজিনের কাজ শেষ করেছি। আসবার আগের দিনেও অনেক রাত জেগে নানা কারেকশান করতে হয়েছে। এখনো শেষ হয়নি। নানারকম ভুল-ভ্রান্তি এখনো রয়ে গেছে। কিন্তু সবই আস্তে আস্তে শুধরে ফেলবো। খানিকটা সময় লাগবে যদিও। ম্যাগাজিনের নাম হলো বীক্ষণ । লিংকটি এরকম http://www.beekkhan.com ম্যাগাজিনটির মূল বৈশিষ্ঠ হচ্ছে পুরোটাই ইউনিকোডে বানানো। সম্পাদনা করেছেন সুচেতা মিশ্র। লেখা ঝাড়াই, বাছাই এবং ডিজাইন ভাবনার সবটুকু কৃতিত্বই তাঁর। আমি শুধু সফটওয়্যারে বসিয়ে সেগুলোকে ওয়েবে তুলে দিয়েছি। সুতরাং, ভুল-ভ্রান্তির সবটুকু দা