সত্যজিতের ছবি ও খেরোর খাতাঃ সুনীত সেনগুপ্ত
একটা সিনেমা নির্মাণের আগে দীর্ঘ প্রস্তুতি নিতেন সত্যজিৎ রায়। তাঁর খেরোর খাতা ভরা থাকতো চিত্রনাট্যের খসড়ার বিভিন্ন সংস্করণে। এক বা দুইবার নয়, বহু বহুবার করে সেসব খসড়া পাতায় কাটাকুটি করতে করতে তবে চূড়ান্ত হতো নির্দিষ্ট কোন দৃশ্য অথবা সংলাপ।
চরিত্রের একটা সম্ভাব্য রূপ তিনি স্কেচ করে রাখতেন। কোথায় কোন প্রপস ব্যবহৃত হবে, সে সবের লিস্ট, দেখতে কেমন হবে সব কিছু টুকে রাখা থাকতো সেখানে।
কোন একটা নির্দিষ্ট দৃশ্য, সেটা আসলেই প্রাসঙ্গিক হবে কি না, সেই প্রশ্ন করতেন তিনি খেরোর খাতায়। এবং প্রশ্নের পরে প্রশ্ন, এবং হাজারো কাটাকুটি, যতক্ষণ পর্যন্ত দৃশ্য অথবা সংলাপ প্রাসঙ্গিক এবং স্বাভাবিক না শোনাবে।
সুন্দর কিছু সৃষ্টির পেছনে প্রস্তুতি অর্থাৎ হোমওয়ার্ক খুব জরুরি, এ ব্যাপারটা আমি খুব বিশ্বাস করি। সেটা একটা গল্প বা উপন্যাস লেখাই হোক, অথবা সিনেমা পরিচালনা। আমাদের আজকের এই তাড়াহুড়ার যুগে বাস করে যারা সৃষ্টিশীল কাজে জড়িত, তাদের জন্যে এই বইটি একটি চমৎকার রিমাইন্ডার হিসেবে কাজ করতে পারে।
বইয়ের লেখক সুনীত সেনগুপ্ত-র আর কোন লেখা পড়িনি কখনও। কিন্তু কেন পড়িনি সেটাই ভাবছি। এত চমৎকার ভাবে তিনি খেরোর খাতা থেকে সত্যজিতের ভাবনা চিন্তাকে একই সাথে মায়া এবং জহুরির নির্ভূল দক্ষতায় বইয়ের পাতায় তুলে এনেছেন যে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। উপরি পাওনা হিসেবে বলতে হবে, এত সুন্দর বাংলা পড়তে পেলে মনে অদ্ভুত একটা প্রশান্তি আসে। তার জন্যেও লেখককে পূর্ণ নম্বর দিতে হয়।
চরিত্রের একটা সম্ভাব্য রূপ তিনি স্কেচ করে রাখতেন। কোথায় কোন প্রপস ব্যবহৃত হবে, সে সবের লিস্ট, দেখতে কেমন হবে সব কিছু টুকে রাখা থাকতো সেখানে।
কোন একটা নির্দিষ্ট দৃশ্য, সেটা আসলেই প্রাসঙ্গিক হবে কি না, সেই প্রশ্ন করতেন তিনি খেরোর খাতায়। এবং প্রশ্নের পরে প্রশ্ন, এবং হাজারো কাটাকুটি, যতক্ষণ পর্যন্ত দৃশ্য অথবা সংলাপ প্রাসঙ্গিক এবং স্বাভাবিক না শোনাবে।
সুন্দর কিছু সৃষ্টির পেছনে প্রস্তুতি অর্থাৎ হোমওয়ার্ক খুব জরুরি, এ ব্যাপারটা আমি খুব বিশ্বাস করি। সেটা একটা গল্প বা উপন্যাস লেখাই হোক, অথবা সিনেমা পরিচালনা। আমাদের আজকের এই তাড়াহুড়ার যুগে বাস করে যারা সৃষ্টিশীল কাজে জড়িত, তাদের জন্যে এই বইটি একটি চমৎকার রিমাইন্ডার হিসেবে কাজ করতে পারে।
বইয়ের লেখক সুনীত সেনগুপ্ত-র আর কোন লেখা পড়িনি কখনও। কিন্তু কেন পড়িনি সেটাই ভাবছি। এত চমৎকার ভাবে তিনি খেরোর খাতা থেকে সত্যজিতের ভাবনা চিন্তাকে একই সাথে মায়া এবং জহুরির নির্ভূল দক্ষতায় বইয়ের পাতায় তুলে এনেছেন যে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। উপরি পাওনা হিসেবে বলতে হবে, এত সুন্দর বাংলা পড়তে পেলে মনে অদ্ভুত একটা প্রশান্তি আসে। তার জন্যেও লেখককে পূর্ণ নম্বর দিতে হয়।