Posts

Showing posts from 2017

এ. আর. রাহমান

Image
গতকাল রাতে এ . আর . রাহমান এর লাইভ কনসার্টে গিয়েছিলাম।   প্রায় পঁচিশ বছরের মুগ্ধতা আরও ঘণ্টা তিনেক বাড়িয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।   অনেক মৃদুভাষী একটা লোক , এই সব পাগল করা ধুন্ধুমার সব ভেঙ্গে ফেলা গানের ফাঁকে ফাঁকেই মিষ্টি করে হাসেন কেবল।   আমি অবাক হয়ে দেখলাম।   আর বুঝলাম ,   নিজেকে ঠিক এতখানি উপরে নিয়ে যেতে পারলেই বোধহয় কেবল এত বেশি বিনয়ী হবার মতন ধৃষ্টতা হয় মানুষের।  

যাও ছেড়ে চলে ভাবনা আমার...

Image
...চাইনা কাছে পেতে তোমাকে আর কেন আসো ফিরে বারে বারে রাত গভীরে না পারি যেতে স্বপ্নে ভেসে চলে দূরে হল যে রাত অনেক কেন আছি তবু জেগে ...

কথক-এর আয়োজন 'প্রতিধ্বনি শুনি'

Image
    কবিতার ভার অনেক, ধারও অনেক। গানের সাথে তুলনায় যাওয়া হয়তো উচিত হবে না, তবু খানিকটা ধৃষ্টতা দেখিয়ে বলেই ফেলা যায়, গান অনেক বেশি বারোয়ারি, বা পরিশীলিত ভাষায় বলা যায়, সার্বজনীন। চন্দ্রিল ভট্টাচার্য যেমনটা বলেছেন, গানের ব্যাপার অনেকটা রিফ্লেক্সের মতন, কেউ আপনার দিকে একটা টেনিস বল ছুঁড়ে মারলো তো আপনি না চাইলেও সেটা পট করে ধরে ফেলবেন। গানও তেমনি, বাজলো তো শুনবেন।       অবশ্য গানের সার্বজনীন হবার আরও বড় কারণ, গান আসলে বড় বেশি মায়াময় একটা ব্যাপার। সুরের সম্মোহন মিশিয়ে কেউ যখন গান গায়, কার হৃদয়ের কোন যে তারে সেটা টুং করে বেজে উঠে এমন অদ্ভুত মায়ার সৃষ্টি করে, সে মায়ায় কখনও ভালো লাগার মেঘে সব ভেসে যায়, কখনও বুক ফুঁড়ে হু হু করে কান্না পায়। মোদ্দা কথা হলো যে, গানের জন্যে পাগল না হয়ে পারা যায় না, গানের জন্যে ভালোবাসাটাও তাই স্বতঃস্ফূর্ত।      কবিতা, সে তুলনায়, খানিকটা বুঝবার ব্যাপার, কবিতাকে ভালোবাসাটাও আচমকা কিছু নয়, বরং বেশ অনেকটা প্রস্তুতির ব্যাপার।       মেলবোর্নে গানের আয়োজনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আনন্দের এবং আশার কথা, সে সব আয়োজনের অধিকাংশই এখন বেশ মন কাড়া, মানসম্মত। কিন্তু সে তুল

অসুখের ছবি-

Image
এবারে একেবারে জমকালো ঠাণ্ডা পড়েছে মেলবোর্নে।   এইটুকু লিখে মনে হলো , প্রতিবারই কি এরকমই লিখি ? নাকি এবারের ঠাণ্ডা আসলেই অনেক বেশি ! প্রতি বছরই প্রস্তুত থাকি , সপ্তাহখানেক সর্দি কাশি লাগিয়ে বসে থাকবো বাসায়। রুটিনের মত করেই। ব্যস , ওই একবারই। তারপরেই আবার পুরো বছরের জন্যে মুক্তি।   কিন্তু এবারের ঠাণ্ডা আমাকে ভালোই বাগে পেয়েছে। মাসখানেক আগে সোনামুখ করে সপ্তাহখানেক সর্দি জ্বরে ভুগলাম , বাৎসরিক রুটিন শেষের পরে যখন ভালো হয়ে গেলাম , গা ঝাড়া দিয়ে উঠে ভাবলাম , আহ , কি শান্তি।   কিন্তু এই সপ্তাহখানেক আগেই আবার হঠাৎ কী হলো , দেখি নাকের ভেতরে বাতাসের সুড়সুড়ি , কপালে হাল্কা গরমের আভাস। আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে জ্বর ব্যাটা এই এক বছরেই দ্বিতীয়বারের মতন এটাক করে বসলো আমাকে !   এটা একেবারে যাকে বলে , খুব খারাপ হলো।   কুমিল্লায় রিকশা চড়লে একসময় রিকশাওয়ালা মামারা ভাড়ার কথা বলতে গেলেই শোনাত , মামা , ইনসাফ করে দিয়েন।   রিকশা থেকে নেমে ভাড়া যত বেশিই দিতাম না কেন , তাদের করুণ চোখ

The Little Big Library

Image
আজ বিকেলবেলায় বাসার সামনে আমার লেটার বক্সের নিচে এই জিনিসটা সেট করে ফেললাম।  বেশ আনন্দ লাগছে! :)  ঠিক বড় মাপের বাক্স পাইনি খুঁজে, এটা আসলে একটা লণ্ঠন। আপাতত এটা দিয়েই কাজ চালানো যায় কি না দেখি।  নাম দিয়েছি দি লিটল বিগ লাইব্রেরি।  সব মিলিয়ে ১৩ টির মত বই আঁটানো গেছে ভেতরে। ধারের নিয়ম খুব সোজা, একটা বই নিলে একটা রেখে যেতে হবে বদলে।  দেখা যাক, কী হয়। 

৯ জুন ২০১৭।

Image
একটা মনে রাখার মত দিন গেলো গতকাল। ৯ জুন ২০১৭। সন্ধ্যায় গেলাম MCG তে, আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল এর খেলা দেখতে। লিওনেল মেসি কে সরাসরি মাঠে বসে দেখার সুযোগ হারাতে ইচ্ছে হল না। এবং গিয়ে আসলেই খুব ভাল লাগলো, মেসি-র খেলা দেখা হল, আর্জেন্টিনাও জিতল ম্যাচ ১-০ তে। তারপরে দেখতে বসলাম বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ডের খেলা। আমার বাজে স্বভাব, খেলার শেষ বল পর্যন্তও বাংলাদেশের উপরে ভরসা হারাই না। ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়েও আমি তাই মেরুদণ্ড সোজা করে বসে খেলা দেখে গেলাম। এবং ওয়াও, এর চেয়ে ভালো প্রতিদান পাওয়া কি সম্ভব ছিল কোন? দেখলাম বাংলাদেশের অন্যতম সেরা জয়! ধন্যবাদ মাহমুদুল্লাহ, অনেক অনেক ধন্যবাদ সাকিব, এই খান থেকে কেবলই সামনে এগিয়ে যাওয়ার দিন শুরু হলো হয়তো আমাদের।

ওয়ার্কশপ

Image
 ১  তাঁরা তিন ভাই। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুপরিচিত পরিবারই বলা চলে তাঁদেরকে।  বড় দুজন দেশের জনপ্রিয়তম লেখক, ছোট জন আমাদের দেশের কার্টুনিস্টদের কাছে গুরুপ্রতিম। তিনজনের লেখার  কল্যাণেই তাঁদের শৈশব, অদ্ভুত সুন্দর পরিবার বা বেড়ে ওঠার সময়টারও অনেক কিছুই পাঠকদের জানা। আমরা জানতে পারি, শৈশবে তাঁদের বাবা কবিতা শেখার বিনিময়ে তাঁদেরকে সম্মানী দিতেন, বড় কবিতায় আট আনা, ছোট কবিতায় সিকি পয়সা। বাজারের ফর্দ লেখার মত করে নিয়মিত তাঁরা গল্প-কবিতা লিখতেন ছোটবেলায়, কখনো নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে, কখনও সেই, সম্মানীর বিনিময়ে।  যখন এই সব পড়েছিলাম, মাঝে মাঝে আপন মনে ভেবেছি, লেখক হবার বীজ এমন করেই শৈশবে তাঁদের মধ্যে বুনে দিয়েছিলেন তাঁদের বাবা। কী চমৎকার একটা ব্যাপার।  ২ আইবুক থেকে সপ্তাহে একদিন নিউজলেটার পাঠায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বই এর বিজ্ঞাপন, নতুন কী বই এলো, এখন কোনটা সবচেয়ে বেশি চলছে, এরকম সব কারবার। এমনই একটা নিউজলেটারে পেলাম Liane Moriarty-র নাম। নিউইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার লেখিকা। বিশেষ আগ্রহ হল লেখিকা অস্ট্রেলিয়ার শুনে। আইবুক থেকেই কয়েকটা বই এর স্যাম্পল নামিয়ে কয়েকটা প্রথম চ্যাপ্টারও পড়া হয়ে গেলো

অনুবাদ প্রচেষ্টাঃ রবিন হলের দি কার্টুনিস্ট'স ওয়ার্কবুক এর ভূমিকা

Image
ভুমিকাঃ দি কার্টুনিস্ট’স ওয়ার্কবুক        কার্টুন আঁকার ব্যাপারটা আমার কাছে চিরকালই খুব আকর্ষণীয় মনে হয়েছে, কারণ আমার ধারণা ছিল অন্য চাকুরেদের মত কার্টুনিস্টদের নিশ্চয়ই রোজ সকালে ঘুম ভেঙ্গে উঠে কাজে যেতে হয় না। অবশ্য, এটাই একমাত্র কারণ নয়। এটা ভেবে আমি রীতিমতন মুগ্ধ হই, কেবল একটা কার্টুন দিয়েই কেমন করে আমাদের জীবনের প্রায় সব রকম দৃষ্টিভঙ্গি ফুটিয়ে তোলা যায় - খুব গম্ভীর কোন ব্যাপার থেকে শুরু করে খুব মজার কিছু- অথবা দুনিয়া কাঁপানো কোন ঘটনাই হোক বা খুব সাধারণ কোন ব্যাপার- সব কিছু কেবল একটা ছবিতেই কেমন এঁকে ফেলা যায়।         যাই হোক, আমি সেই ভাগ্যবানদের দলে পড়ি না যারা নানা রকম সৃজনীশক্তি নিয়ে জন্মেছে। সত্যি বলতে কি, আমার আঁকা ছবিও একেবারেই ভাল ছিল না; এমনকি খুব প্রাথমিক পর্যায়ের আঁকাআঁকিও দেখতে কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং মনে হতো। সুতরাং কার্টুনিং যদি করতে চাই, আমাকে যে খুব ভালমতন উঠে পড়ে লাগতে হবে সেটা আমি বেশ বুঝতে পেরেছিলাম। তাই হাতের কাছে আমি যা কিছু কার্টুন পেতাম সব ভাল করে দেখা শুরু করলাম, শত শত কার্টুন। আর সেগুলো দেখে দেখে আঁকা অনুশীলন করতে থাকতাম আমি, করেই যেতাম

সন্ন্যাসীদা

Image
সন্ন্যাসীদা নাকি আর নেই। থ্রি কমরেডস অনুবাদের সেই অসাধারণ লেখনী, কামরাঙা ছড়াকার, সোভিয়েতস্কি কৌতুকভ পড়ে হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়া, অথবা আমার খুব পছন্দের 'ক্রিকেটরঙ্গ'! বিদায় মাসুদ মাহমুদ,  বড় অভিমানী ছিলেন আপনি... পুনশ্চঃ সকালে এটুকু লিখে বের হতে হল। গন্তব্য ডাক্তারখানা। সেখানে গিয়ে নাম লিখিয়ে অপেক্ষা করছিলাম বসে বসে। লম্বা সময়, কিছু একটা পড়বো ভেবে বইটা খুলেই দেখি এই, চমকে উঠলাম একেবারে। এই অনুবাদটার কথা জানা ছিল না আমার। বুঝলাম, চলে যাওয়া মানে আসলেই প্রস্থান নয়।

কতটা অপচয়ের পর মানুষ চেনা যায়-

Image
ঠিক জানি না, এক জীবনে আর কতবার, কত বার এই গানটার কাছে ঋণী হতে হবে, ফিরে ফিরে আসতে হবে বারবার, বারবার...।  প্রশ্নটা কি আসলেই সহজ, আর উত্তরও কি সত্যিই জানা? 

এইটা তোমার গান

Image
চন্দ্রবিন্দুর গান গুলোর একটা ব্যাপার হচ্ছে , গানগুলো সব মায়ায় ভর্তি| বিষয় যাই হোক, প্রেয়সী বা কোন হৃদয়হীনা, রিকশাওয়ালা বা ভিনদেশি কোন তারা, বিকেলবেলার গান, সব, সব কিছুর জন্যেই তাদের অসীম মায়া | গানগুলো শুনতে এ কারণেই হয়তো এতো বেশি ভালো লাগে, এতো বেশি মনে লাগে |