বলদ প্রজন্ম
রাত-ঘুমে আমি আর কোনও স্বপ্ন দেখবো না বলে পণ করেছি।
তারচে ঢের ভাল, কুচি করে কাটা ছোট পেঁয়াজ মাখিয়ে, আর খানিকটা সর্ষে তেলে, ভাজা ভাজা, মুড়ি খাই বসে। গুরুজনেরা বলে গেছেন, মাঝে মাঝে ওরকম মুড়ি খাওয়া ভালো।
আয়নায় দুয়েকবার, ভুলে চুকে, চোখ পড়ে গেলে, খানিকটা লাজ শরম লাগে বৈকি! তবু, খুবেকটা চিন্তিত নই। বাজারে হালাল সাবানের ছড়াছড়ি, মুখ ধোয়া মোছা শেষ করে, জিভ দিয়ে সামান্য চেটে নিলেও বেশ কাজে দেয়। ভেতর বাহির, সবই পাক-সাফ।
দিনমান, আলু দিয়ে রুটি দিয়ে ভাজি ভুজি খাই, চাপাতিও খাই, মাঝে মাঝে চড় চাপাটিও খাই। তাপ্পরে, ঘরে এসে, মুড়ি খেতে খেতে বসে বসে, সব ভুলে যাই।
মাথায় দিলে নাকি কদুর তেলেও বেশ আরাম। পিঠে সেটা তেমন আর কাজে দেয় কই, তার জন্যে মাখি টাইগার বাম।
ওরকম শপাঁচেক লাথির দাগ, আর্টিস্টির শার্ট দিয়েই কি দারুণ ঢেকে দেয়া যায়। ক্ষত-টত সবই বাজে কথা। ল্যাপি কোলে নিয়ে, লেপের ভেতর, স্বমেহনের উদ্দামতার পর, মুড়ি খেলেই সব চুকে বুকে যায়।
মেরুদন্ডে জোরালো ব্যথা নিয়ে, আমি তবু রোজ দিনে, তাহাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াই।
দেশ এগিয়ে যায়, আমি বসে বসে মুড়ি খাই।