হারানো বিজ্ঞপ্তি-
রাতের গায়ে ইদানিং দুধের সরের মতন কুয়াশা জমে থাকে, মাত্রই বৃষ্টি হয়ে গেলো যেন- ভেজা আর সতেজ ভাব চারিদিকে।
এই রকম রাতগুলোয় আকাশে চাঁদের দিকে তাকিয়ে বারে বারে চমকে উঠি।
চাঁদের নানান রূপ দেখেছি আমি-রূপসী বা রূপালী, ময়লা কিংবা বুড়ি চাঁদ।
নির্মলেন্দুর চোখ চোখে নিয়ে একসময় চাঁদকে কাঁচুলিবিহীন উলংগ বুকের যুবতীও ভেবে নিয়েছি; কিন্তু আর, কোথাও কখনও, এরকম ভৌতিক চাঁদ দেখিনি আমি।
মাথা থেকে হাত দেড়েক উপরে ঝুলে আছে খুব বিশ্রী ভাবে, অনাহুত মাকড়শার অবিন্যস্ত জালের মত।
একটা কালো রঙের এক চোখা নেকড়ে যেন ঘোলাটে সাদা চোখ মেলে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে। খানিক পর যখন গা শিউরে ওঠে, ত্রস্তে জানালার পর্দা টেনে সরে দাঁড়াই।
বড়ই অভাগা মনে হয় এই শহরটাকে তখন, চাঁদও যেখানে তার রূপ ভুলে ফেলে আসে।
আহা, কেউ যদি আজ আমাকে শহীদুল্লাহর পুকুর পাড়ের সেই মায়াবিনী চাঁদকে এনে দিত, তার সারাজীবনের কাঠি লজেন্সের পয়সা দিয়ে দিতাম।
অথবা, শালবন বিহারের পাহাড়ের বুক ঘেঁষে আড়মোড়া ভেঙ্গে হাতছানি দিয়ে ডাকতো যে কিশোরী চাঁদ, তার বিনিময়ে দিয়ে দিতে পারতাম গোটা একটা শিমুল গাছ।
আহা, কেউ যদি এনে দিত তারে।
------------
২১ মে, ২০০৮