হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ-


এই গানটা কার লেখা মাঝে মাঝেই ভাবি। ভদ্রলোকের জীবন স্বার্থক! এক গান দিয়েই সারা পৃথিবীর সব মানুষের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে আছেন, আর কিছু না লিখলেও চলবে।
তিনি, মানে গীতিকার, মনে হচ্ছে বিজ্ঞাপনপ্রিয়ও নন। নইলে ''সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক''-এর আদলে ''সর্বাধিক গাওয়া গান'' বলে নিঃসন্দেহে বিজ্ঞাপন দেয়া যেত। বছরের ৩৬৫ দিনই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও গাওয়া হচ্ছে এই গান। যেহেতু সব জায়গায় একসাথে রাত ১২ টা বাজে না, তারমানে প্রায় প্রতিটি বারোটা বাজার মুহুর্তেই এই গান গাচ্ছে কেউ না কেউ!
আরেকটা কথাও মনে হয়, সম্ভবত এই গানের কাছ থেকেই লিনাক্স বা অন্য ওপেন সফটওয়্যার উদ্ভাবকরা যে কোন কিছুই 'ওপেন' সোর্স করে দেবার আইডিয়া পেয়েছেন। যেমন দেখুন, হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ দুইবার গেয়ে তারপরে যে গায় হ্যাপি বার্থ ডে টু ডিয়ার ড্যাশ ড্যাশ- এখানে ড্যাশের জায়গায় বাড্ডে বালক-বালিকাদের নাম বসিয়ে কি সুন্দর করেই না সবাই মনের খুশি মতন ব্যবহার করে! ওপেন সোর্সের এর চেয়ে ভাল উদাহরণ আর কে কোথায় পাবে বলেন?
তারপরে ধরুন গানের সুরটা...।
আচ্ছা, গান নিয়ে বেশি কথা বলে ফেলছি না কি? হুম, তাই তো মনে হচ্ছে। আচ্ছা, প্যাচাল বাদ দিই। নইলে আসল কথাটাই বলতে ভুলে যাবো পরে।
কাহিনি হচ্ছে, বসে বসে বারোটা বাজার অপেক্ষা করছিলাম। অপেক্ষার সময়টায় ভাবলাম একটু গলা সেধে নিই, গলা সাধতে গিয়ে মনে হলো গানের গুণগান করি কিছুক্ষণ, করতে করতে দেখি সময় হয়ে গেছে।
তো, শেষমেষ হেড়ে গলায় গেয়েই ফেলি-
হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ,
হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ,
হ্যাপি বার্থ ডে টু ডিয়ার 'বউ '!
হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ।

Popular posts from this blog

The Boy, the Mole, the Fox and the Horse | Charlie Mackesy

মধ্যাহ্নভোজ | উইলিয়াম সমারসেট মম্‌ | রূপান্তরঃ তারেক নূরুল হাসান

আরেকটিবার-