Posts

Showing posts from June, 2007

নোটিশ বা ঐ ধরণের কিছু একটা-

Image
অনেকে অল্প স্বল্প জানতে চাইছেন, সামহোয়্যার ইনে কেন এখন ব্লগাই না। তাদের জ্ঞাতার্থে জানাই, তেমন কোন বড় সড় কারণ নেই। এর আগেও মাঝে সাঝেই ওখান থেকে ব্রেক নিয়েছি, কোনটাই যদিও এবারের মতন দীর্ঘ ছিল না। এই মুহুর্তে সামহোয়্যারে কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে না, এটাই মূল কারণ। ইচ্ছেটা ফিরে এলে আমিও আবার লিখতে শুরু করবো হয়তো। তার আগ পর্যন্ত ব্লগস্পট, আর সচলায়তন নিয়ে- এই বেশ ভাল আছি।

প্যারিস হিলটন আর আমাদের রাজনীতিবিদেরা-

শেষমেষ প্যারিস হিলটন জেলে গেলো। যাবার আগে সানডে হেরাল্ডের পুরো পাতা জুড়ে নিজের কান্না ভরা মুখ উপহার দিয়ে গেলো। কদিন ধরেই এই নিয়ে অনেক গালগল্প পড়লাম। আমি প্রতিদিন পড়তাম আর ভাবতাম, এই সব মিডিয়া পারেও বটে। যে কোন পর্যায়েই রীতিমত বখে যাওয়া এক মেয়ে, শুধু মাত্র সেলিব্রেটি হবার কারণে কি কাভারেজটাই না পেলো! হানিমুনে নয়, শ্বশুর বাড়িও নয়, যাচ্ছে কোথায়? জেলে! তাই নিয়েও কত কাহিনী। প্রতিদিন গাদা গাদা রিপোর্ট, পত্রিকার তরফ থেকেই চলল কাউন্ট ডাউন, প্যারিসের জেলে যাওয়ার আর এতদিন বাকি! মস্করা আর কি!! আর সাথে ডিটেইলে বর্ণিত হলো - আজ প্যারিস এখানে চা, ওখানে কফি আর ঐযে ঐখানে হাওয়া খেতে গেলেন। প্যারিসের প্রস্তুতিও দেখার মতই ছিলো। যাবার আগে কোন পার্লারে গিয়ে যেন বিদায়ী ফেসিয়াল করালেন। যাগগে, আমরা বঙ্গদেশের ক্রিমিনাল শ্রেণীর মানুষ, এইরকম জেলে যাওয়া আমরা উঠতে বসতে কত দেখি! মুরগী মিলন, কানা লিটনদের পরে আমাদের ভূতপূর্ব রাজনীতিকগণ এখন লম্বা কিউ-এ দাঁড়িয়ে আছেন, কার পরে কে জেলে যাবেন এই অপেক্ষায়। আমাদের মনেও মায়াদয়া কমে গেছে। বৈদেশী প্যারিসের জন্যে যাওবা দুস্কু দুস্কু একটা ভাব এলো মনে, কিন্তু স্বদেশীদের জন্যে কিছুই

দন্ত-কাহিনি

Image
মিষ্টিপ্রীতি আছে তীব্র রকমের। জিভ সামলাতে পারি না দেখলে,হাতও না। অবশ্য সামলানোর ইচ্ছেও মনের মধ্যে তেমন একটা জোরালো নয়।দেশে থাকার সময় ইচ্ছেমতন খেতাম। কুমিল্লা গেলেই মাতৃভান্ডারের রসমালাই আর জলযোগের স্পঞ্জ নিয়ে বসে যেতাম বন্ধুরা গোল হয়ে, আয়েশ করে খেতাম। আমরা অবশ্য খাওয়া বলতাম না, বলতাম সাধনা করা। তো যা হয়, পরবাসী হবার পরে সেই সাধনায় ব্যাঘাত ঘটলো। এখানে এসে টিন কেটে মিষ্টি খেতে জুত পাই না। তাই বলে খাওয়া কমেছে সেটাও ঠিক নয়। পেলেই খাই, এরকম অবস্থা। শুটকো পটকা অবস্থা থেকে দেহের হাল এখন এমন হয়েছে যে লোকে ইদানীং আমাকে দেখিয়ে উদাহরণ দেয়, 'আমি ভাই ঠিক আপনার মতন মোটা ছিলাম ক'দিন আগেও, ইদানীং শুকিয়েছি।'' নিজের পাশে বসে থাকা মর্তমান হিমালয়সম বউকে রেখে আমাকে দিয়ে মোটা মানুষের উদাহরণ কেন টানা, ভদ্রতার খাতিরে আমি এ প্রশ্ন এড়িয়ে যাই। সে যাকগে। এই দুঃখের গল্প আরেকদিন। তো যা বলছিলাম। মিষ্টি খাই, সাথে বেশি পাই না এই দুঃখে জাত-বেজাতের চকোলেটও সাবাড় করি নিয়মিত। এই করে করে দাঁতের তেরটা বেজে গেছে আমার। আজ সকালে মাজতে গিয়ে দেখি কমপক্ষে তিনটা দাঁতের গোড়া ফাঁকা হয়ে গেছে, একটার অর্ধেক নেই। এভাবে

তারেক মাসুদ-এর অন্তর্যাত্রা

Image
এখানকার বাংলাদেশী দোকান থেকে অনেকদিন আগেই কিনে এনেছিলাম সিডি-টা। কিন্তু এতদিন সময় করে উঠতে পারি নি। অবশেষে গত পরশু দেখে ফেললাম তারেক মাসুদ-এর অন্তর্যাত্রা। সিনেমার শুরুতে যখন এ ছবির ইংরেজী নাম দেখালো 'হোমল্যান্ড'- অর্থটা বুঝি নি ভাল করে। কিন্তু পুরোটা দেখবার পরে মনে হলো, এর চেয়ে সুন্দর নাম আর হয় না। গল্পটা অনেক সুন্দর। একদম সুলভ (নাকি সহজলভ্য) কোন কাহিনি নয় এটা, তবে সেরকম অনেকগুলো কাহিনিকে জোড়া দিয়ে বানানো বলা চলে। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেছে এ ছবির পাত্র-পাত্রীরা। আমি সিলেটী ভালো বুঝি না, তারপরেও যখন কারো সংলাপ বুঝতেই কোন কষ্ট হয় নি, ভাবছিলাম, আসল সিলেটী কথাবার্তা এরকমই তো ? নাকি সিনেমার খাতিরে খানিকটা প্রমিতকরণ করা হয়েছে? সিনেমাটা, এককথায়, সাবলীল নয়। দৃশ্যান্তরে যাবার সময়গুলোকে প্রায়শই জাম্প-কাট মনে হয়েছে। ঘড়ি দেখি নি, কিন্তু খুব বেশি লম্বা নয় বোধহয় দৈর্ঘ্যে, শেষ হতে তাই সময় লাগলো না বেশি। এবং হয়তো একারণেই শেষ হবার পর মনে হচ্ছিলো, শেষ করার তাড়াহুড়ায় ছিলেন না তো পরিচালক? কোন চরিত্রই পূর্ণতা পাবার সুযোগ পায় নি যেন, এবং পুরো সিনেমার প্রতিটি চরিত্রের পেছনে যে নিজস্ব গল্প থাকে

জলদস্যুদের দেখে ফিরে-

Image
কি জানি, একদিন হয়তো লোকে জনি ডেপকেও ভুলে যাবে, কিন্তু মনে রাখবে ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো-কে। যারা রাখবে তাদের মধ্যে আমার নাম থাকবে এক নম্বরে, অথবা তারও আগে। ক্যারিবিয়ান পাইরেটসদের তিন নম্বর পর্বটা দেখলাম, থিয়েটারে আসার দু'দিন বাদেই। এবং মুগ্ধ হলাম। টানা তিন পর্বে একই আমেজ বজার রাখা সহজ কথা নয়। ম্যাট্রিক্স পারে নি, টার্মিনেটরও ঝুলে গেছে, কিন্তু পাইরেটস অব দ্যা ক্যারিবিয়ান- অ্যাট ওয়ার্ল্ডস এন্ড, একেবারে হাই ডিস্টিংশান সহ পাশ! এবারে কাহিনি জটিল হয়েছে অনেক। আগের গুলোর মত শুধু চোখ বুলিয়েই রস পাওয়া যাবে না। এবারে মাথা খাটাতে হয়েছে, মনটাকে আরেকটু বেশি মনোযোগী করতে হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোথাও এতটুকু বোরিং লাগে নি। পাইরেট ম্যুভি হতে যা যা লাগে, সবই ছিলো এখানে। আগের পর্বে যেগুলো বাদ পড়েছিলো- যেমন- জাহাজে জাহাজে যুদ্ধ- এবারে সেগুলো এসেছে, এবং বলাই বাহুল্য, স্পেশাল ইফেক্টের কারিগরিতে সেগুলোও হয়েছে দেখবার মতন! কিয়েরা নাইটলিকে এবারে আরেকটু মোহময়ী লেগেছে। সেরকম আবেদন আনার চেষ্টাও ছিল অবশ্য। ডেভি জোন্সএর প্রেমিকা ক্যালিপসো, এটা আবিষ্কার করে অবাক হয়েছি, এরকম সম্ভাবনার কথা একবারও মাথায় আসে নি

হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ-

Image
এই গানটা কার লেখা মাঝে মাঝেই ভাবি। ভদ্রলোকের জীবন স্বার্থক! এক গান দিয়েই সারা পৃথিবীর সব মানুষের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে আছেন, আর কিছু না লিখলেও চলবে। তিনি, মানে গীতিকার, মনে হচ্ছে বিজ্ঞাপনপ্রিয়ও নন। নইলে ''সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক''-এর আদলে ''সর্বাধিক গাওয়া গান'' বলে নিঃসন্দেহে বিজ্ঞাপন দেয়া যেত। বছরের ৩৬৫ দিনই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও গাওয়া হচ্ছে এই গান। যেহেতু সব জায়গায় একসাথে রাত ১২ টা বাজে না, তারমানে প্রায় প্রতিটি বারোটা বাজার মুহুর্তেই এই গান গাচ্ছে কেউ না কেউ! আরেকটা কথাও মনে হয়, সম্ভবত এই গানের কাছ থেকেই লিনাক্স বা অন্য ওপেন সফটওয়্যার উদ্ভাবকরা যে কোন কিছুই 'ওপেন' সোর্স করে দেবার আইডিয়া পেয়েছেন। যেমন দেখুন, হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ দুইবার গেয়ে তারপরে যে গায় হ্যাপি বার্থ ডে টু ডিয়ার ড্যাশ ড্যাশ- এখানে ড্যাশের জায়গায় বাড্ডে বালক-বালিকাদের নাম বসিয়ে কি সুন্দর করেই না সবাই মনের খুশি মতন ব্যবহার করে! ওপেন সোর্সের এর চেয়ে ভাল উদাহরণ আর কে কোথায় পাবে বলেন? তারপরে ধরুন গানের সুরটা...। আচ্ছা, গান নিয়ে বেশি কথা বলে ফেলছি না কি? হুম, তাই তো মনে হচ্ছে। আচ্ছ

সহজ উপায়ে ইউনিকোড বশীকরণ-

১। মাত্র মাসছয়েক আগেও কম্পুকে ইউনিকোড কম্পাটিবল করতে প্রচুর মারামারি করতে হোত৷ ব্যাপারটা একসময় সহজ হবে জানতাম, কিন্তু এত তাড়াতাড়ি হবে সেটা ভাবি নি৷ সেই জন্যে সবার আগে ওমিক্রোনল্যাবকে সেলাম জানাই৷ এখন মোটামুটি দু'তিনটে সহজ স্টেপেই কম্পুতে ইউনিকোড বাবাজিকে ধরে রাখা যায়৷ আপনি যদি উইন্ডোজ এক্সপি ইউজার হন, তাহলে ঝটপট নীচের লিংক থেকে 'কমপ্লেক্স' নামক সফটো টা নামিয়ে ফেলুন৷ লিংক= কমপ্লেক্স ওটা ডেস্কটপে রেখে ডাবল ক্লিক করে ইন্সটল করে ফেলুন৷ কাজ শেষে কম্পু রিস্টার্ট হতে চাইবে, করে ফেলুন৷ নতুন করে যখন চালু হবে, তখন আপনার কম্পুতে ইউনিকোড বাসা বেঁধেছে! ২। এইবারে আসুন কেমন করে ইউনিকোডে লিখবেন৷ এখান থেকে নামিয়ে ফেলুন অভ্রো সফটো৷ এটা ইন্সটল করে লেখ শুরু করে দিতে পারেন৷ অভ্র-র যে মেনুবারটি দেখবেন, ওখানেই হেল্প সেকশান আছে, ওগুলোয় একটু খানি উঁকি ঝুকি দিলেই আর কোন সমস্যা থাকার কথা না৷ ৩। অভ্র ইন্সটলের সাথে সাথেই নিজে থেকে অনেকগুলো ইউনিকোড ফন্ট ইন্সটল হয়ে যায়৷ সেসব যদি কোন কারণে মনে না ধরে, তাহলে এখান থেকে পছন্দসই একটা ফন্ট খুঁজে নিতে পারেন ৷ ফন্টের ব্যাপারে এই মুহুর্তে সবচেয়ে ভা

প্রিয় চট্টগ্রাম-

Image
ভূমিধ্বসের এরকম ভয়াবহতা নিজের চোখে দেখা হয় নি খুব বেশি। গত কয়েকদিন ধরে দেশের পত্রিকাগুলো পড়ছি না। আমার খুব প্রিয় শহর চট্টগ্রাম, তার সম্পর্কিত সব রকম খবরের কাছ থেকে পালাতে চাইছি ইচ্ছে করেই। তবু এর মাঝেই জানতে হলো আমাকে মৃতের সংখ্যা সর্বমোট ১০৮ জন। ১০৮ সংখ্যাটা আমাদের জন্যে একেবারেই বেশি কিছু নয়। হ্যা, এমনকি সেটা পাহাড় ধসে পড়ে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা হলেও! আপাতত থেমেছে আশা করি। 'আরো এক বা দুজনের পরে সংখ্যাটা আর বাড়বেনা হু হু করে'। শান্তি খুঁজে নিতে এরকম ভাবনারই মুখাপেক্ষী হতে হচ্ছে এখন আমাকে। ছবি খুঁজতে গিয়ে দেখি, ছোট্ট একটা তিন চার বছরের বাচ্চাকে মাটি খুঁড়ে তুলে আনা হচ্ছে। ভঙ্গিটা এরকম- গুটিশুটি মেরে মায়ের কোলে শুয়ে আছে যেন সে। থাকুক শুয়ে, ছোট্ট বাবু। সেটাকে এখানে এই জনারন্যে টেনে এনে ওর ঘুম ভাঙ্গাতে ইচ্ছে করলো না আর। ঘুমাক। ------------ ১। ডোনেশানের জন্যে পে পাল একাউন্ট । ২। আরো কিছু ছবি । ৩। আরো লেখা ।

আইনস্টাইন কোট অব দ্য ডে-

Image
গুগলের হোমপেজের আইডিয়াটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। যদিও এরকমটা প্রথম শুরু করেছিলাম পেজফ্লেক্স দিয়ে, কিন্তু একইসাথে জিমেইল, অর্কুট, ব্লগস্পট, গুগলটক, গুগল-বুকমার্ক এবং সর্বশেষ গুগল-রিডার ব্যবহার শুরু করায় ওটা ছেড়ে দিলাম। এখন শর্টকাটের যুগ, এক লগইনে যদি সব হয়ে যায়, তাহলে কেই বা যাবে আরেকটা নতুন সাইট ওপেন করতে? তাছাড়া গুগলের প্রতি খানিকটা দূর্বলতা তো আছেই। গুগলের হোমপেজে দারুন সব টুলস বসানো যাচ্ছে। আমি মোটামুটি মুগ্ধ সেসবে। প্রথম খেলনা পাওয়ার পর বাচ্চারা যেমন করে খেলে, আমি সেরকম করে সময় কাটাচ্ছি। উপরের ছবিটা পেলাম 'আর্ট অব দ্য ডে' থেকে। একই পাতায় গ্যারফিল্ডের কার্টুন পড়তে পারছি, আছে ক্যালভিন ও হবস! আমি পাংখা! অর্কুট বলছে, আজ আমি নতুন কিছু কাপড়চোপড় পেতে যাচ্ছি! যদিও তেমন কোন লক্ষণ নেই এখনো। তবে সবচে' মজা পেয়েছি আজকের 'আইন্সটাইন কোট' পড়ে। বলছে- 'মানুষের প্রেমে পড়ার জন্যে মাধ্যাকর্ষন শক্তি দায়ী নয়!' হা হা হা! জটিল! জয়তু গুগল!