Posts

Showing posts from May, 2007

লোপা এলেন, লোপা গেলেন-

Image
কিন্তু যাবার আগে জয় করতে পারলেন কি না, সেটা আমি বাদে অডিটরিয়মে উপস্থিত বাকি সব দর্শক শ্রোতারা জানেন। আমি জানি না, কারণ বহু আগেই তিনি আমাকে জয় করে ফেলেছেন। অন্য সবাই যখন তাই ফুলগুলো বুকপকেটে লুকিয়ে এনেছিলো, যদি পছন্দ হয়, তবেই তাঁকে পরাবেন ভেবে, আমি তখন ঢাকঢোল সহ লাল গালিচা নিয়ে উপস্থিত সেখানে! তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী, আমি অবাক থাকতে পারি নি শুনে। বাকি সবার সাথে তাই প্রায়শই চেঁচিয়ে উঠেছি, আরেকবার হবে, ওয়ান মোর! তো গাইলেন লোপামুদ্রা, পুরো শরীর আর মন দিয়ে, আমিও দেখলাম তাঁকে, শুনলাম মাত্র পনের গজ সামনে বসে। পনের গজ অনেক দূর ভাবছেন নাকি? উঁহু, ভুলে যাবেন না, ক্রিকেট পিচের দৈর্ঘ্যও মিনিমাম বাইশ গজ। তারই দু'প্রান্তে দাঁড়িয়ে দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে কতই না আন্ডারস্ট্যান্ডিং! পনের তার চেয়ে কম হলো না?!? মেলবোর্ণের মূল শহর থেকে দূরে, কোন একটা খটোমটো নামের অডিটরিয়ামে দাঁড়িয়ে, তিনি সর্বমোট বিশ বা বাইশটি গান গাইলেন। গানের পছন্দগুলো এলোমেলো ছিল না। সেটা বুঝলাম যখন দর্শকদের নিজস্ব পছন্দ জানবার পরেও তিনি পুরোটা সময়েই তাঁর মত করে নিজের সিরিয়ালেই গান গাইলেন। এর ফলে যেটা হলো, সারাক্ষণই একটা উত্তেজ

গলাগলি আর গালাগালি-

Image
গলাগলি আর গালাগালি। না না। ইহারা দুই ভাতৃদ্বয় নহেন। সেরম কিছু হইবার সম্ভাবনা কস্মিনকালেও নাই, তবে এই নামে দুইখানা নৌকার স্যাংশান হইবে বলিয়া শুনিয়াছি। বাজারে গিয়া দেখিলাম সেই নিমিত্তে জোরে শোরে বৃক্ষ কর্তন চলিতেছে। আমি সব দেখিয়া শুনিয়া খুঁজিয়া পাতিয়া তিনখানা জবরদস্ত পেরেক কিনিয়া আনিলাম। দুইখানার যে কোন এক নৌকায় উঠিতেই হইবে, এমনটা আমার বোধ হইলো না। থাকুক তাহারা তাহাদের বৃহৎ তরণী লইয়া। আমি ক্ষুদ্র মনিষ্যি, কাহারো বোঝা বাড়াইতে চাহি না। আমি তাই আরামসে পেরেক ঠুকিয়া ঠুকিয়া আমার পুরানা ডিঙিখানা বেশ অনেকখানি সময় লইয়া মেরামত করিলাম। অতঃপর তাহাতেই চড়িয়া বসিয়া একেলা মাঝি নদী বাহিয়া যাই, কেউ শুনে বা না শুনে বেসুরা গলায় দেশেরই গান গাই!

ব্লগের আবার জাত কীয়ের-

Image
কথাটা শুনতে ভাল শোনায়, কিন্তু বাস্তব তার উল্টা। সকল ব্লগ মূলত ভাই ভাই নয়। দুঃখজনক ভাবে ব্লগীয় উম্মাহ নামে কোন বৃত্তের অস্তিত্বও নেই, যার বাউন্ডারির ভেতরে 'সব ব্লগই সমান' স্লোগান নিয়ে ব্লগেরা বেঁচে থাকবে। ব্লগের ভেতর খুব স্পষ্টভাবেই জাতপাত বিদ্যমান। ভাল ব্লগ বা খারাপ ব্লগ বলছি না। লেখার মানের উপর নির্ভর করে যে বিভাজন, সেটা হবেই, ভালো মানুষ বা খারাপ মানুষের মতন। আমি বলছি উঁচু জাতের ব্লগ, আর নীচু জাতের ব্লগের কথা, আশরাফ আর আতরাফ ব্লগ। বাংলাদেশী ব্লগারদের কথা যদি ধরি, তাহলে সবচেয়ে উঁচু জাতের ব্লগার হলেন তারা যারা ইংলিশে ব্লগান। আন্তর্জাতিকতার বিবেচনা করলে অবশ্য ঠিকই আছে, সবচেয়ে বেশি ব্লগারদের কাছে পৌঁছবার জন্যে ইংলিশই ভালো। সুতরাং ইংরেজি ব্লগারদের জাত উঁচু হয়ে যাওয়াটায় কারো কোন হাত নেই। বাংলা ব্লগাররা তাই দূর থেকে ঈর্ষান্বিত চোখে তাদের দিকে তাকানো ছাড়া বেশি কিছু করতে পারবেন না। জাত-পাত আছে বাংলা ব্লগগুলোর মধ্যেও। এ ক্ষেত্রে উঁচু জাত হচ্ছে- যারা খানিকটা গম্ভীর বিষয়ে লিখেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি - এইসব ব্যাপারগুলো নিয়ে। অপেক্ষাকৃত মাঝারি জাতে পড়েন টেকনিক্য

হেলাল হাফিজঃ বাইসাইকেল থিফঃ ভ্যালেরি এ টেইলর

Image
প্রায়শই নির্জনে বসে ভাবি, সম্ভবত আমার ভেতরে কোথাও নীরবে নিভৃতে একজন হেলাল হাফিজ বাস করেন। অথবা হয়তো আমার নয়, আমাদের সবারই, আমাদের মানে-, আমরা যারা কবিতা ভাবি, হয়ত বা লিখি না সবসময় কিন্তু কবিতায়ই বসবাস করি। সেই কবিতাজীবি আমাদের সবার ভেতরেই আছেন একজন হেলাল হাফিজ। একজন প্রেমিক ও সৈনিক হেলাল হাফিজ, যিনি সভ্যতাকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করেন, 'অশ্লীল সভ্যতা, নিউট্রন বোমা বোঝ, মানুষ বোঝ না!' যিনি আমাদের কানে কানে মন্ত্র পড়ে শোনান, 'এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।' আবার তিনিই যখন হাতের পাঁচটি আঙুলকে নিরাশ্রয়ীর ছদ্মবেশ দিয়ে প্রিয়তমাকে স্পর্শ করার ষড়যন্ত্র করেন, আমরা পুলকিত হই। জলের আগুনে জ্বলে পুড়েন যিনি, সেই হেলাল হাফিজ যখন লিখেন- 'মানব জন্মের নামে হবে কলঙ্ক হবে এরকম দুঃসময়ে আমি যদি মিছিলে না যাই, উত্তর পুরুষে ভীরু কাপুরুষের উপমা হবো আমার যৌবন দিয়ে এমন দুর্দিনে আজ শুধু যদি নারীকে সাজাই। '' -আমি তখন মুগ্ধ হয়ে পড়ি। প্রায় নিরুপদ্রব জীবনের কোন এক অবসর মুহূর্তে যখন আমি এ কবিতাটি পড়ি, মাথার ভেতরে কিছু ভাবনা কিলবিল করে ওঠে। ঠিক এমন করে জীবন পার করে দেয়াটা উচিৎ হচ

যদি আপনি হন এ প্রজন্মেরই কেউ-

যদি হন আপনি, এ প্রজন্মেরই কেউ, আর প্রায় অবুঝ চেহারা নিয়ে যদি আপনি, প্রায়শই বলে ওঠেন-'' না তো, জন্মযুদ্ধ দেখি নি আমি, জানি না তো কি হয়েছিলো তখন; কে বা কারা, কি করেছিলো!'' আমরা- বোকাসোকা কিছু মানুষ-, যদি তখন, আদর করে গল্প শোনাই আপনাকে-, কেমন করে অনেক অনেক দিন ধরে আমাদের মায়েদের অশ্রু ভিজিয়েছিলো এ মাটি; অথবা, কেমন করে আমাদের ভাইয়েদের রক্তে এ সবুজ পতাকা হয়েছিলো লাল; কেমন করে তিরিশ লক্ষ বোকা মানুষ, মৃত্যুর বিনিময়ে এনে দিয়েছিলো স্বাধীনতা...। সব দেখে এবং শুনে, এইবার, খানিকটা বুঝদার চেহারার আপনি যদি বলেন, ' হুমম, কিন্তু সংখ্যাটা যে শুনেছিলাম- তিন লক্ষ! আর মুজিব, হু হু, তিনি কিন্তু স্বাধীনতা চান নি, আপনারা জানেন না?'' অথবা, যদি বলে ওঠেন, ' গোলাম আযম- তিনি তো অপরাধী নন, আর রাজাকারেরা, ভেবে দেখুন, তারা তো নিজের দেশ ভাংতে চায় নি শুধু, ওরাইতো সাচ্চা দেশ প্রেমিক!'' আমরা- বোকাসোকা কিছু মানুষেরা-, একটুও না রেগে তখন, অনেকগুলো বধ্যভূমি খুঁজে, গুনে গুনে ... হয়ত আপনার হাতে তুলে এনে দিবো তিরিশ লক্ষ মৃতের তালিকা। হয়ত কোন সন্তানহারা মা, আপনাকে বলে যাবে হত্যাকারী অগণিত

আজিকে বাহিরে শুধু ক্রন্দন-

Image
কদিন ধরেই এ শহরে তুমুল বৃষ্টি! দিন নেই রাত নেই সারাক্ষণ ঝুম ঝুম ঝুম। দেশে হলে এর মাঝেই দৌড়ে নেমে যেতাম ভিজতে। কিন্তু এখানে, আমার ভাল লাগে না। দু'একবার যে চেষ্টা করি নি তা নয়। কিন্তু, দেশে যেমন, আকাশ থেকে একগাদা দূষিত রাসায়নিকের সাথে সাথে ভালোবাসাও ঝরে পড়ে বৃষ্টি হয়ে, এখানে একেবারেই তা নয়। উলটো কেমন গা বাঁচিয়ে চলতে ইচ্ছে করে আমার বৃষ্টি দেখলেই। কিন্তু, সম্ভবত আমি বাদে, মেলবোর্ণের সবাই খুবই খুশি। মাত্র ক'দিন আগেই পত্রিকায় দেখলাম, রিজার্ভয়ারে পানির পরিমাণ গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন সীমায় গিয়ে ঠেকেছে। কাঠা ফাটা রোদে কোন একটা চাষী জমির ছবি দিয়েছিলো তার সাথে, ঠিক যেন আশী বছরের কোন বুড়োর কুচকানো গালের চামড়া! দেখলেই শিউরে উঠতে হয়! এ শহরের সবাই কিছুদিনের জন্যে তাই চাতক পাখীর সঙী হয়ে উঠেছিলো। সৌভাগ্যবান চাতক, এতগুলো মানুষের কল্যানে অবশেষে তারও অদৃষ্টে জল এলো! এ কয়দিনের রিমঝিমের পরে আজকের পত্রিকায় তাই অন্যরকম ছবি! মাঠের মাঝে খেলছে ছোট্ট এক কৃষক কন্যা, তার বাবার সাথে। কি যে ভাল লাগলো দেখে! মাঝের পাতায় আরেকটা ছোট্ট ছেলের ছবি ছাপা হয়েছে। রেইনকোট গায়ে হাসিমুখে খেলছে সে বৃষ্টিতে। প্রথ

বিবাহনামা-

[ বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এই পোষ্ট কেবলমাত্র বিবাহিতদের জন্যে। যুবক ও অবিবাহিত ভাইয়েরা শত হস্ত দূরে থাকুন। তবে... কথা আছে, সদ্য বিবাহিতরা পড়িতে পারেন। আপনাদের জন্যে জরুরী অবস্থা আপাতত শিথিল:-) ] জানুয়ারির কোন এক রাত। সদ্য দেশ থেকে ফিরেছি, বিবাহ করে মোটামুটি যুদ্ধ জয়ী সেনাপতির মতন নূরানী হাসি সারাক্ষণ আমার চোখে মুখে। কারো সাথে দেখা হলেই খানিক কথাবার্তার পর পেটের মধ্যে ভুটভাট শুরু হয়ে যায়, কেবলই উশখুশ করতে থাকি কি করে নিজের বিয়ের গল্প বলা যায়। হাওয়া অনুকূল দেখলে শেষ মেষ গলা খাঁকারী দিয়ে বলেই ফেলি, ' তা শুনেছেন নাকি, কাহিনি তো একটা ঘটিয়ে ফেলেছি!' শ্রোতা তখন আগ্রহী হয়ে বলেন, তাই নাকি? কি করেছেন? আমি তখন প্রসন্ন হাসি দিয়ে বলি, 'আর বইলেন না, বিয়ে করে ফেলছি!' তারপরে শুরু হয় আমার প্যাচাল। এর আগে বহুবার বলে বলে আমি যেটাতে বিশাল দক্ষতা অর্জন করে বসে আছি। আমার সেই প্রাঞ্জল বর্ণনায় শ্রোতা মুগ্ধ হয়ে যান, আমিও গল্প শেষে আয়েসী ভঙ্গিতে একটা ঢেকুর তুলি। তো, তেমনি একদিন, আলাপের কেউ নেই, তাই ইয়াহু চ্যাটে লগইন করে বসে আছি, এমন সময়ে অনলাইনে এলো আমার কলেজের এক বছরের জুনিয়ার এক ছোট ভাই। ও কানাডায়

দূরালাপনী-

কাল কি জানি কি হলো, রাতে ঘুমুবার আগে খু-উ-ব মন কেমন করে উঠলো! বালিশের তলায়, বিছানার নীচে- আমি তন্ন তন্ন করে খুঁজি, কিন্তু কোথাও পেলাম না আমার কেন মন খারাপ! বাইরের মাঠে, ঘাসের ডগার আড়ালেও খুঁজলাম অনেকক্ষণ। কি মুশকিল! সেখানেও নেই নেই নেই। মুখ তুলে তাকাতেই দেখি ঘাসফড়িং, তাঁকে দেখে যেই না লুকাবো, ও মা, সে দেখি আমার দিকে চেয়ে ফিক ফিক হাসে! আমি তার ডানা ধার নিয়ে উড়ে উড়ে উড়ে সো-জা- মেঘের ওপরে! ওখান থেকে উঁকি দিয়ে দেখি, না তো, সেই নদীটার গায়েও লেখা নেই কেন আমার মন খারাপ। এমনকি ওই বদমাশ পাহাড়টাও জানে না! আমি ধ্যুত্তোরি বলে রাগ দেখালাম। তারপরে রংধনু বেয়ে নেমে এলাম ঘরের ভেতর। বিছানার কাছটায় এসে মনে পড়লো- আরে, চাঁদকে তো জিজ্ঞেস করি নি! জানালা খুলে যেই না ডাকতে যাবো, ওমনি ব্যাটা আমার ঘরে এসে হাজির। আর কি নির্লজ্জ! বসলো গিয়ে ঠিক তোর মাথার কাছটাতে। আমি চোখ রাঙিয়ে ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বলি, চুপ! শব্দ কোরো না! ঘুমাচ্ছে তো! তারপর জোছনার আলো সরিয়ে চাদরটা তোর গায়ে টেনে দিতে দিতে হঠাৎই মনে পড়লো, তাই তো! কাল যে তুই আমাকে গুড নাইট না বলেই ঘুমিয়ে গেলি! আমার মন খারাপ হবে না বল?

রঙীন 'একটি ফুলে দুইটি ভ্রমর'-

Image
সোজা সাপ্টা কাহিনি। দুই নায়ক, এক নায়িকা। নায়কদের একজনের বাবা নিজে নিজে খুন হন, ঘটনাচক্রে সন্দেহ গিয়ে পড়ে মূল নায়কের উপর। এদিকে নায়ক নায়িকার মাঝখানে চলে আসে আরেক প্রায়-নায়িকা। আমাদের নায়ক লোকসম্মুখে চুমু খান সেই নবাগতা নায়িকাকে- তাও আবার অনেককাল আগে মূল নায়িকাকে যেই ইশটাইলে খান, ঠিক সেই ইশটাইলে। এই না দেখে নায়িকার অভিমান ভেঙে পড়ে। ওদিকে বাবার খুনী সন্দেহ করায় নায়কদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। কাহিনিতে চলে আসেন ভিলেন। সেই কিন্তু আবার ভালো মানুষ, পুরোপুরি ভিলেন না। মেয়ের চিকিৎসার খরচ তোলার জন্যে তিনি ভিলেনের রোল করছেন। তো এইরকম গোলমালের মাঝখানে সিনেমার শেষপ্রান্ত হাজির হয়ে যায়। নায়িকাকে কিডন্যাপ করে ফেলে ভালো মানুষ-ভিলেন, আর সহযোগী ভিলেন। ওখানে তুমুল মারামারি, নিজেদের মধ্যকার ভুল বুঝাবুঝি ভেঙে দুই নায়ক 'বুকে বুক মিলিয়ে' যুদ্ধ করে ভিলেনদের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যায়ে ভিলেন ছুরি হাতে এগিয়ে আসে নায়ককে মারতে, আর বন্ধুকে বাঁচাতে সেই ছুরির সামনে পিঠ পেতে দেন অন্য নায়ক। লাভের মধ্যে লাভ- নায়িকার কোলে মাথা রেখে মৃত্যু হয় তাঁর। শেষমেষ নায়ক নায়িকার মিলন ঘটে। সিনেমারও শেষ হয়। এতক্ষণের কাহিনি পড়ে যদি ভাব

রচনা রবীন্দ্রনাথ-

Image
বলা হয়, মানব মনের এমন কোন অনুভূতি নেই, যেটা নিয়ে তাঁর কোন কবিতা বা গান নেই। মানুষের মনের সব কথাই নাকি তিনি বলে ফেলেছেন। এরকম একটা মানুষকে নিয়ে লেখা আমার সাধ্যের ভেতর নেই। এবং সত্যি বলতে কি- সেই চেষ্টার ধারে কাছেও আমি আজ যাবো না। জীবনের নানা প্রয়োজনে রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে নানা কথা ধার করে কাজ চালাই। আজ রবীন্দ্রজয়ন্তীতে তাঁকে রেহাই দেবার সুযোগ পেলাম। এবারে হাত পাতলাম সুনেত্রা ঘটকের কাছে। তাঁর লেখা 'রচনা রবীন্দ্রনাথ'- আমার মনের প্রায় সব কথাই বলা হয়েছে যেখানে। নির্দ্ধিধায় বলতে পারি- রবি ঠাকুরকে নিয়ে লেখা এর চেয়ে সুন্দর কোন কিছু আমি আজ অবদি পাই নি, , এবং আমার দৃঢ় ধারণা আর কখনো পাবোও না। সৌভাগ্য এই যে, 'রচনা রবীন্দ্রনাথ'-এ কণ্ঠ দিয়েছেন আমার আরেকজন প্রিয় আবৃত্তিকার- শিমুল মুস্তাফা। দুইয়ে মিলে আমি যতক্ষণই শুনতে থাকি- মুগ্ধতার সাগরে সারাক্ষণই ডুবি ভাসি। rochona robindrona...

একটি আইটিঘটিত কল্পকাহিনি-

অবশ্য এরকমই হয়- জামাত যখন পত্রিকা বের করে, তার নাম দেয় 'সংগ্রাম'। তাতে কারই বা কি আসে যায়? কাগজটা নরম নয় বলে এমনকি টয়লেট পেপার হিসেবেও তার ব্যবহার নেই। অথবা কে জানে, যাদের শক্ততেও চলে, তারা হয়ত রোল করে বাথরুমে ঝুলিয়ে রাখেন 'সংগ্রাম'। বাজারে পর্ণ ম্যাগাজিনের অভাব নেই। কাউন্টারের তলদেশ থেকে সর্বদাই উঁকি দিতে থাকে রসময়ের চটি বই। তবু যদি এ শহরের প্রধানতম নটী ঘোষনা দেন, 'সতী নারীর কিসসা!' নামে গল্প লিখবেন তিনি, তবে অনেকেরই হয়তো জিভ লকলকিয়ে উঠবে। এটুকুই তো! বখে যাওয়া কিশোরেরা সেই তো সেটা হাতে নিয়ে বাথরুমেই ঢুকবে! আমি ভাই বিবাহিত সদ্বংশীয় পুরুষ, আমার এসবে কাজ নেই। বাথরুমেও ঝুলে থাকে নরমানরম টয়লেট টিস্যু। তবে হ্যাঁ, আমাদের পাড়ার ডাস্টবিন নিয়ে বড়ই চিন্তায় আছি। কাল রাতে কে যেন সেটা তুলে নিয়ে গেছে, সেই সাথে ঘোষনা দিয়ে গেছে ওটার আর কোন দরকার হবে না। এখন আইটির যুগ, লেখাপড়া থেকে বাজার সদাই সবকিছুই অনলাইন, তো ডাস্টবিনটাই বা বাকি থাকে কেন? শুনলাম জোর গবেষনা চলছে। অনেক পয়সা ঢালা হচ্ছে তাতে, খুব শিঘ্রীই আপনারা মাউসে ক্লিক করেই পেয়ে যাবেন ঝকঝকে নতুন অনলাইন ডাস্টবিন! অপেক্ষায় থাকুন

একজন জননীর জন্যে-

Image
''পঞ্চাশের দশকে আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, জাহানারা ইমাম তখন ঢাকা শহরের সুচিত্রা সেন। '' আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ এমন করেই তাঁর স্মৃতিচারণে জানিয়েছেন, জাহানারা ইমামকে প্রথম দেখে তিনি চমকে উঠে ভেবেছিলেন কোলকাতা থেকে এত দূরে, ঢাকায়, কি করে অবিকল একই রকম একজন সুচিত্রা সেন থাকতে পারে, যিনি পর্দার অলীক নায়িকা নন, বাস্তব মানুষ! '৯৪ এ লেখা এই প্রবন্ধটি প্রায় এক যুগ বাদে প্রথমবারের মত পড়বার সময় আমি নিজেও চমকে উঠেছিলাম! বস্তুত, জাহানারা ইমামকে শহীদ জননী হিসেবেই জানি, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির প্রধান হিসেবে জানি- তিনি একজন সাধারণ মানবী নন, একজন অতিমানবী। ঠিক এরকম ভাবনাগুলোর সাথে সুচিত্রা সেন-এর ছবিটা মিলছিল না, সে কারণেই যখন তাঁরই সমবয়েসী ও সমকালীন সায়ীদ স্যারের লেখায় জানলাম, তৎকালীন যুব সমাজের কাছে তিনি ছিলেন ঢাকা শহরের সুচিত্রা সেন, এই প্রথমবারের মত অনেক কাঠিন্যের পেছনে তাঁর মানবী রূপটিও যেন সহসাই চোখে পড়লো। অনেক রকমের স্মৃতিচারণের মাঝে এই নতুনত্বটুকু বেশ উপভোগ্য লাগলো। ---------------- এইট বা নাইনে পড়ি, কলেজ লাইব্রেরীর বাংলা বইয়ের শেলফের কোন এক কোনায় একটা বই সবসময়ে চোখে প