Posts

Showing posts from September, 2006

বেহেশতে যাচ্ছি-

Image
মনের মধ্যে কতরকমের হাউশ! ম্যাকগাইভার দেইখা একসময় ভাবতাম, এই ব্যাটার মত বুদ্ধি না হইলে তো জীবনটাই বৃথা! বোম্বাই সিনেমা 'গুরু' দেইখা মোনাজাতে কইতাম, আল্লাহ , আমারে মিঠুনের মতন মারামারি শিখাইয়া দাও। বেহেশতে যাওনের একটা খায়েশ মনের মধ্যে উঁকি ঝুকি মারে বহু আগে থেইকা। না না, জান্নাতুল ফিরদাউশ চাই না, ঠেলাঠেলি কইরা চামে চুমে কোন একটা ছোটখাট বেহেশতে জায়গা পাইলেই হইলো! সাড়ে তিন বছর বয়েসে ইশকুলে ভর্তি হওনের পর একা একা জীবনেও কেলাশে যাইতাম না। আম্মু যাইতো লগে, আম্মুর আঙুল ধইরা বইসা বইসা কেলাশ করতাম। সেভেনে ওঠার পর থেইকা ঘরছাড়া হইছি। শুনলাম বেহেশতে নাকি পরিবার নিয়া থাকার সু-বন্দোবস্ত আছে, সেইজন্যেও যাইতে সাধ হয়। মায়ের লগে থাকতে মন চায়। কোন সিনেমায় জানি দেখছিলাম, শিল্পা শেঠি তাহার চিক্কন কোমর দুলাইয়া সঞ্জয়রে কয়, চল । সঞ্জয় জিগায়, কাহা ? বেটি হাতে টান মাইরা চোখে নাচুনি দিয়া কয়, জান্নাত মে! আহা! অধম কনফু কহে, পূণ্যবানেরা শোনেন, শেষমেষ বেহেশতে যাইতাছি। টিকেট ফাইনাল, নভেম্বরে। বাংলাদেশ ছাড়া এই মুহুর্তে আর কোন বেহেশত চিনি না! -

টিভি দেখা

এই মুহুর্তে আমার প্রিয় চ্যানেল নিঃসন্দেহে ইউটিউব ডট কম । সার্চ দিলেই অগুনতি বাংলা নাটক সিনেমা চলে আসছে। দেখা যাচ্ছে মজার সব বিজ্ঞাপন বা মিউজিক ভিডিও। লাবন্য প্রভার বেশ কিছু পর্ব দেখলাম। মোস্তফা ফারুকীর কয়েকটা নাটক, এবং সর্বশেষ দেখলাম হুমায়ুনের সিনেমা- নিরন্তর। সবই ফ্রিতে! জাম্প টিভি নামের একটা সাইট ওয়েব এ টিভি দেখার ব্যাবস্থা করে দিচ্ছে। নানা দেশের চ্যানেল আছে সেখানে। বাংলাদেশের চ্যানেল আছে তিনটি। চ্যানেল আই, আরটিভি, আর এনটিভি। কাল এনটিভি-র জন্যে সাবস্ক্রাইব করে ফেললাম, মাঝে মাঝে নিউজ দেখা যাবে। খুব একটা পয়সাও লাগে না। এমনিতে ১৫ ডলারের মত লাগে মাসে। তবে ওরা একটা সুযোগ দিচ্ছে, প্রথম মাসে লাগবে মাত্র দেড় ডলার! ভালই তো!

জেসমিন মানে কি জুঁই?

Image
ছোটবেলায় কেউ যখন বাবার নাম জিজ্ঞেস করত, উত্তরে পুরো নাম বলতাম। কিন্তু যখন জিজ্ঞেস করত, আম্মুর নাম কি? খুব সিরিয়াস মুখ করে বলতাম,আম্মুর নাম হচ্ছে আম্মু। এটাই তখন নিয়ম ছিল, বাসা থেকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছিল, কখনো আম্মুর নাম বলবে না। আম্মুর নাম বলতে হবে আম্মু। কাল অনেকদিন পরে সেই কথা মনে পড়ে গেল। বিকেলে বের হয়েছি, আমি আর আমার হাউসমেট, বাসা থেকে খানিকটা সামনে এগুতেই দেখি পিচ্চি একটা মেয়ে, দুই বা আড়াই হবে বয়েস, দু রাস্তার মাঝখানের আইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে ব্যাকুল হয়ে কাঁদছে! ওখানে কারো দাঁড়িয়ে থাকার কথা না। পাশ দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। তারচেয়ে বড় কথা মেয়েটার আশপাশে কেউ নেই, এমনকি যতদূর দেখা যাচ্ছে, অভিভাবক টাইপের কাউকেই দেখছি না। অগত্যা গাড়ি থামালাম। সন্দেহ হলো, সম্ভবত হারিয়ে গেছে। কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই এই মহা কিউট মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতেই চোস্ত অজি উচ্চারণে বললো, আম্মুর কাছে যাব! বুঝলাম যা সন্দেহ করেছি তাই। হারিয়ে গেছে যেমন করেই হোক। বললাম, আম্মু কোথায়, রাস্তার এক দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে দিল। ওখানে কেউ নেই। বাবা কোথায় জিজ্ঞেস করতেই আবারো সেই একই দিকে আঙ্গুল। তারপর জিজ্ঞেস করলাম, বাসা কোথায় তোমাদ

মাতা-পুত্র

Image
বলা হয়ে থাকে, নেসেসিটি আর ইনভেনশান - এর সম্পর্ক নাকি মাতা আর পুত্রের। আমার দেশের অভাগা মানুষের চেয়ে ভাল এটা আর কে-ই বা জানে। প্রথম আলো থেকে নেয়া ছবি।

চার এবং পাঁচের কাল্পনিক হিসাব-

Image
কাল সারাদিনে আমি ২ টা সেদ্ধ ডিম খেয়েছি। দুপুরে আর রাতে মিলে মুরগীর ঠ্যাং খেয়েছি মিনিমাম ৪ পিস। ৫ নম্বরটার দিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলাম, কিন্তু খাওয়া হয় নি। ৯/১১ হামলায় মোট মারা গেছিলো ২৯৭৬ জন মানুষ। ইরাকে মারা যাওয়া আমেরিকান সৈন্যের সংখ্যা মে মাসের ২ তারিখে ছিল ১৫৮৬। এখন কি সংখ্যাটা ২০০০ পেরিয়েছে? একটা ওয়েবসাইট বলছে , একই যুদ্ধে সাধারন ইরাকি নাগরিক মরেছে, ৪৩১৫৪ জন। এটা সর্বনিম্ন সংখ্যা। ছোটবেলায় টিভিতে দেখতাম, প্রতি মিনিটে বাংলাদেশে জন্মায় ৪ টি শিশু। কেউ কি জানে কতজন মরে? হয়ত মিনিটে ১ জন। বা, ঘন্টায় ২ জন। শিশু নয়, সব মিলিয়ে কতজন মানুষ মারা যায় প্রতিদিন বাংলাদেশে? ২০০ জন, বা ৪০০ জন? কে জানে! কতজন দূর্ঘটনায় মরে, তাও জানি না। হয়ত ১০০ জন। চিকিৎসার অভাবে মরে কতজন? ৭০? নাকি ৮০? আচ্ছা, চিকিৎসার জন্যে এম্বুলেন্স এ হাসপাতালে যেতে যেতে মারা যায় কজন? রাস্তায় জ্যামে আটকা পড়তে পারে এম্বুলেন্স, অথবা প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির বহর যাবার মতন অতি গুরুত্বপূর্ণ কোন কারনে হয়ত তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হতে পারে। পারে না? আচ্ছা, ধরে নিলাম, গতকাল এম্বুলেন্স এ মারা গেছে ৪ জন মূমুর্ষু মানুষ। ৪ , সংখ্যাটা ৪ ই। কিন্

প্রথম আলোয় লেখা।

আজকের প্রথম আলোর ছুটির দিনে -তে আমার আরো একটা লেখা ছাপা হলো। লোপামুদ্রাকে নিয়ে যেটা লিখেছিলাম- ভালোলাগায় লোপামুদ্রা। পাওয়া যাবে এখানে । আর, বলতে ভুলে গেছিলাম, ছুটির দিনে-তে কদিন আগে আমার অন্য একটা লেখাও ছাপা হয়েছিল- অবশেষে আলেকজান্ডার কহিলা বিষাদে। ওটা পাওয়া যাবে এখানে। বেশ ফুরফুরে টাইপ একটা মজা লাগছে!

রত্নভান্ডার-

Image
এটাকে রত্নভান্ডার ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না। আজ সকালে ইউনি যাবার সময় স্টেশন থেকে বের হতেই একজন হাতে একটা লিফলেট ধরিয়ে দিল। নিতান্ত অনাগ্রহে নিলাম সেটা, সবসময় যেটা করি। তাকিয়ে দেখি একটা বইয়ের দোকানের বিজ্ঞাপন। যে কোন বইয়ে আজ ওরা ২০% ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। ক্লাশ শেষে তাই সেই দোকান খুঁজতে বের হলাম। জায়গামত যাবার আগেই পরিচিত আরেকটা বইয়ের দোকান দেখে অলসতায় পেয়ে বসলো, ঢুকে গেলাম সেটাতেই। হাজার হাজার বই সেখানে, কিন্তু সবগুলোরই ভীষন দাম। এ দেশে এসে এই দামের কারনেই বই কেনার অভ্যাসটা একেবারেই চলে গেছে। প্রতিবারের মতই তাই বইয়ের গন্ধ নিয়েই সময় কাটাচ্ছিলাম। হাত দিয়ে ছুয়ে ছুয়ে দেখছিলাম। চট করে আর্ট এন্ড কালচার সেকশনে গিয়ে দেখি এই বই! লিওনার্দো দা ভিন্সি- দি কমপ্লিট ওয়ার্কস! সাংঘাতিক ব্যাপার! যেন এক সিডিতে সমগ্র রবীন্দ্রনাথ! হাতে নিয়ে পাতা ওল্টালাম। ছোট ছোট নোটসহ লিওনার্দো-র আঁকা সবগুলা পেইন্টিং আর ড্রয়িং! মাথা খারাপ হবার জোগাঢ়! অবধারিতভাবে একদম শেষে গিয়ে দামটাও দেখে নিলাম। ত্রিশ ডলার! এখানে এসে সবাই ডলারের সাথে ৫০ দিয়ে গুণ দেয়। তারপরে ভিরমি খায়। এই অভ্যাসটা সাউথ আফ্রিকায়ই ফেলে এসেছি আমি। এখানে এসে ৫০ দ

ইউনিকোডে ব্লগাই যারা-

Image
ইউনিকোডে যারা ব্লগিং করেন, তাদের একটা কমন প্ল্যাটফর্ম নেই বলে তারা নিজেরাও ঠিক বেশিরভাগ ইউনিকোড ব্লগের খোঁজ জানেন না৷ সুতরাং আমাদের ব্লগিংটা সীমাবদ্ধ হয়ে আছে নিজেদের পরিচিতদের মধ্যেই৷ এসব কারণে ইউনিকোড ব্লগারদের জন্যে কমন একটা প্ল্যাটফর্ম করার চিন্তা মাথায় আসে৷ এবং সেটা বাস্তবায়নের জন্যেই বানালাম এই বাংলা ইউনিকোড ব্লগ৷ কি আছে এখানে? বাম পাশে আছে ব্লগরোল, সেখানে প্রায় সমস্ত বাংলা ইউনিকোড ব্লগের ঠিকানা আছে৷ কিন্তু তার চেয়ে জরুরি কথা হচ্ছে, প্রতিদিন যে ব্লগগুলো আপডেট হয়, সেই আপডেটেড ব্লগ তাদের পোষ্টের কিছু অংশ সহ অটোমেটিক্যালি এই ব্লগে চলে আসে৷ সুতরাং, যারা একটা পেজে এসে দেখতে চান যে আজ কোন কোন ব্লগ আপডেট হলো- তারা এখানে আসলেই সেই খোঁজ পেয়ে যাবেন৷ তারপর ইচ্ছেমতন চলে যেতে পারবেন পছন্দের ব্লগ বা আর্টিকেলে৷ লিংকটি আবারো দিলাম: http://banglaunicode.blogspot.com/ অথবা ক্লিক করুন এখানে: বাংলা ইউনিকোড ব্লগ ৷ আমরা যারা ইউনিকোডে ব্লগাই- তাদের জন্যে এই ব্লগটা খুব কাজে লাগবে, এই আশাই করছি৷

মায়ামি ভাইসঃ যত গর্জায় ততই কি বর্ষায়?

Image
দেখতে গিয়েছিলাম লাগে রাহো মুন্নাভাই। বড় পর্দায় হিন্দি ছবি দেখাটা আমার কাছে অপচয় বলে মনে হয়। কিন্তু এ ছবিটা আসতে না আসতেই অনেক প্রশংসা শোনা হয়ে গেছে। মংগলবারদিন পরিচিত কয়েকজন বন্ধুদের সবাই ফ্রি। একসাথে সবার এরকম কাজ ছাড়া দিন সহজে পাওয়া যায় না। একটা ছবি দেখতে যাব প্রস্তাব করলাম। ছবির নাম ভেবে বের করার আগেই দলের রমণীরা প্রস্তাব দিলেন- লাগে রাহো মুন্না ভাই দেখতে হবে, হবেই। সুতরাং ঢেঁকি গেলো। গিললাম। খুব তাড়াহুড়ো করে গেলাম সিনেমা হলে, দাঁড়ালাম চীনের প্রাচীরের মতন লম্বা একটা লাইনের পেছনে। সে প্রাচীর বেয়ে উঠে যখন কাউন্টারের সামনে যাবার সৌভাগ্য হল- জানা গেল- টিকেট নেই। অন্য একটা হিন্দি কি যেন চলছে। সবাই সেটাই দেখতে চাইল, আমি রাজি হলাম না। ( হেলায় হারিওনা সুযোগ! ) চট করে বললাম মায়ামি ভাইস দেখব। একটাও ট্রেলার দেখিনি, কেমন হয়েছে কিছুই জানি না, তবু পুরনো মায়ামি ভাইসের নাম ডাকের অপর ভরসা করে এই নাম প্রস্তাব করলাম। খানিকটা গাইগুইয়ের পরে সবাই রাজি হল। ঢুকলাম গিয়ে হলে। এবং আবিষ্কার করলাম, আমরা সাতজনের দলটা বাদে পুরো হলে দর্শকের সংখ্যা দুই! সেটার কারনও বোঝা গেল খানিক পরেই। ছবি শুরু হবার আধা ঘন্টা

মেঘদল

Image
গতকাল এখানে যাচ্ছেতাই ওয়েদার ছিল। সারাদিন কুকুর-বিড়াল বৃষ্টি। দেশ ছেড়ে আসার সাথে সাথে বৃষ্টির প্রতি ভাললাগাও ফেলে এসেছি নির্ঘাৎ। এখানে বৃষ্টি একেবারেই দেশের মত নয়। একদমই আলাদা, দেশের বৃষ্টির মতন আকাশ থেকে ভালবাসা ঝরে পড়ে না এখানে। তার মধ্যে কাল ছিল ড্রাইভিং টেষ্ট। কাগজ কলম নিয়ে বসে থাকা কোন মাষ্টারনীকে পাশে নিয়ে গাড়ি চালাতে ভাল লাগে না। তার ওপর সে যদি শকুনের মত চোখ নিয়ে শুধু আমার ভুল ধরার জন্যে বসে থাকে! এত কিছুর মধ্যেও হঠাৎ চোখ পড়লো আকাশের দিকে। মেঘেরা যেন অনেক নীচে নেমে এসেছে, ঐ দালানগুলোর মাথায় চেপে বসেছে যেন। এটা অতি অবশ্যই মেঘ নয়। ভারি কুয়াশা হতে পারে। বা মেঘের ছোট ভাই- ঘন জলীয় বাষ্প। তবু ভাবতে মজা লাগছিল মেঘেরা হঠাৎ আমাদের খুব কাছে চলে এসেছে- এত কাছে যে, লিফটের বোতাম চাপলেই চড়ে বসা যায় তাদের উপর। মোবাইল ক্যামটাকে কালই প্রথম প্রয়োজনীয় মনে হলো।

মিরুজিন নদীটির তীরে-

Image
কোন কোন মানুষ থাকেন পাহাড়ের মতন। সাগর বয়ে যায়, দিনান্তে ঘরে ফেরে পাখি, বাতাসের সাথে অবিচল সখ্যতায় কখনো কখনো গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে আজন্ম স্থির থাকবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ গাছেরা। শুধু পাহাড়ই যেন একঠায় দাঁড়িয়ে থাকে, আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে | সেই পাহাড়ের পাশ দিয়ে পায়ে হাঁটা রাস্তাটুকু প্রতিদিন নিশ্চিত নির্ভরতায় পার হয়ে যাই হেঁটে। ছায়াটুকু গায়ে মেখে নিই, দমকা হাওয়ায় নির্ভয়ে পথ চলার সুবিধাটুকুও। তবু কোন এক দুঃস্বপ্নের রাতে ছোট কুটীরে জ্বলতে থাকা মাটির পিদিম নিবে যায় ঝড়ো বাতাসে। শঙ্কায় কেঁপে ওঠে মন। এবং সত্যিই চোখ মেলে দেখে, পাহাড়টা নেই আর সেখানে। বুকের কাছ থেকে বয়ে চলে নোনা নদীর জল। পাবে না জেনেও বাতাসে কান পাতে হৃদয়- যদি ভেসে আসে তবু ইলেক্ট্রার গান ! --------------------- প্রিয় কবি, আপনাকে বিদায় বলবার স্পর্ধা আমার নেই। আপনি শিখিয়েছিলেন, স্বাধীনতা মানে রবি ঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান। পৃথিবী জানুক, আমাদের কাছে কবিতা মানে শামসুর রাহমান । -------------- বাংলালাইভে মুল লিংক ।

ব্লগ দিবস

৩১ অগাস্ট ব্লগ দিবস গেল। সবাই তাঁদের পছন্দের পাঁচটা ব্লগের নাম দিয়েছিল সেদিন। একটু দেরি করে আমিও দিলাম। যেগুলোর নাম মনে আসবে ঠিক পাঁচটা হলে থেমে যাব। -হারে রেরে রেরে - মেঘদল -স্লোগান দিতে গিয়ে - বিবর্ণ আকাশ এবং আমি - জিকোবাজি আরো অনেক বাকি থেকে গেল। থাক, ওগুলোতো আছেই জায়গামতন । এখানে এই পাঁচটাই থাক।

আপন দেশে -

কদিন খুব কোলাহলে ছিলাম। কোলাহল ভালো লাগে না এমনটা নয়। একটা টান আছে ব্যাপারটায়। ভিড়ের মাঝে নিজেকে ঠেলে দেবার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ আছে। কিন্তু সেই আনন্দ হঠাৎ করে আতিশয্য মনে হলো। তাই, কিছুদিন নির্জন বাসের জন্যে ফিরে এলাম এখানে। নিজেকে নিজেই উইশ করছি- বিরতির পরবর্তী যাত্রা শুভ হোক। সুন্দর হোক।

মহামতি আকামেরডিসঃ প্রত্যাবর্তন ও ইউরেকা বিষয়ক জটিলতা

Image
মাথার পাশের ক্যাটক্যাটে কমলা রঙের আলোগুলো হঠাৎ জ্বলে উঠলো। তিনটা জ্বলার কথা, জ্বললো দুইটা। একটা মনে হয় কোন কারণে ফিউজ হয়ে গেছে। একটু পরেই টাইম ক্যাপসুলের ঢাকনা দুইটা ক্যাচক্যাচ শব্দে খুলে গেলো। ধোলাই খালে বানানো জিনিস- কোনই ভরসা নাই- মাত্র কয়েকশ বছরেই মরিচা ধরে গেছে! দরোজা খুলতেই তৃতীয় মাত্রার বুদ্ধিমান অ্যালার্ম ঘড়ি তারস্বরে চিৎকার করতে লাগলো, " ওস্তাদ ওঠেন, সময় হয়ে গেছে। ও ওস্তাদ ওঠেন।' কিন্তু মহামতি আকামেরডিস উঠবার কোন লক্ষনই দেখালেন না। তিনি গরিলার মত বিশাল হা করে, আ-আ-আ শব্দ করে একটা হাই তুলেই পাশ ফিরে শুয়ে পড়লেন। তৃতীয় মাত্রার বুদ্ধিমান অ্যালার্ম ঘড়ি এবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে গলার আওয়াজ বাড়িয়ে দিলো- " ওস্তাদ ওঠেন, সময় হইয়া গেছে! আরে ও ওস্তাদ- ওঠেন না! সময় হইয়া গেছে তো!' কিন্তু তবুও মহামতি আকামেরডিসের কাছ থেকে কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে হঠাৎ ঘড়িটা ঘোঁতঘোঁত করে তীব্র স্বরে চেঁচিয়ে উঠলো- " ধুৎ, তোর ওস্তাদের খ্যাতা পুড়ি! ওঠ হারামজাদা! ওঠ!' মহামতি আকারমেডিস ধড়মড় করে উঠে বসলেন! উফ, কি ভয়ংকর এক দু:স্বপ্নই না দেখছিলেন তিনি। মিশমিশে কালো কিছু মিচকা বদমাশ তার আজানুলম্বিত দা

বাংলাদেশের জন্যে গানঃ কনসার্ট ফর বাংলাদেশ

Image
Bangla Desh, Bangla Desh Where so many people are dying fast And it sure looks like a mess I've never seen such distress Now won't you lend your hand and understand Relieve the people of Bangla Desh খুব চেনা গান। কমবেশি সবাই শুনেছি। শুভ -র একটা পোষ্ট পড়ে অসাধারন লাগলো- সব যুদ্ধ স্টেনগান দিয়ে হয় না । আমিও ভাবি- অস্ত্র হাতে যারা সম্মুখযুদ্ধ করেছেন, শুধু তাঁরাই মুক্তিযোদ্ধা নন। সে সময় যাঁদের বুকের ভেতরেই বাংলাদেশের জন্যে জন্ম নিয়েছিলো বিন্দু পরিমাণ ভালোবাসা- তাঁরা সবাই-ই মুক্তিযোদ্ধা। আমি তাই বলি- রবি শংকরও আসলে মুক্তিযোদ্ধা-ই। অথবা আমাদের পরম ভালোবাসার জর্জ হ্যারিসন। '৭১ -এ নিউইয়কের্র ম্যাডিসন স্কয়ারে এই দু'জনের প্রচেষ্টাতেই হয়েছিলো - কনসার্ট ফর বাংলাদেশ । প্রস্তাবটা করেছিলেন রবিশংকর। বন্ধু জর্জ হ্যারিসনের কাছে বলেছিলেন, দেখো, বাংলাদেশে একটা অন্যায় গণহত্যা হয়েছে। এখন চলেছে যুদ্ধ। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে সেখানে। আমাদের কিছু একটা করা উচিৎ। বন্ধু সায় দিয়েছিলেন সে আহবানে। গানের লিরিকে ই আছে সেটা। My friend came to me, with sadness in his eyes He told me that he wanted help Bef

ভাবছো তুমি সুতোর টানে নাচবে সবাই

Image
... ভাবছো তুমি সূতোর টানে নাচবে সবাই- ভাবছো লোকে দিচ্ছে তোমায় হাততালিটাই। ভাবছো তুমি বাঁচবে তুমি একার চালে- ভাবছো তুমি ছুটবে জগৎ তোমার তালে। .. সুমনের গান । ভেবে দেখলাম, ঘুরে ফিরে আমার একাকীতে¡র সঙ্গী আসলে গানেরাই। একটা সময় বই আর গানে কম্পিটিশান ছিলো। কিন্তু এখন হাতের কাছে বই অপ্রতুল। তাই , সিনেমাকে খুব অল্প খানিকটা ভাগ দিয়ে পুরো সাম্রাজ্যটা প্রায় একাই দখল করে নিয়েছে প্রিয় গানেরা । নিজের গানের গলা খুব খারাপ। আমার কর্কশ কবিতাগুলো ছাড়াও হঠাৎ করে মাঝে মাঝেই আনমনে যখন গান গুনগুন করি, কাকের কথা আরও বেশি মনে পড়ে যায়। অবশ্য কাক গান গায় কিনা জানা নেই, তবে আমি গাই। প্রায়শই, গুন গুন করে, অথবা হেঁড়ে গলায়। আজ শুনছিলাম সুমনের এই গানটা। আর গুন গুন করছিলাম। একটা সময়ে একটু মনোযোগ দিতেই কথাগুলো খুব আকৃষ্ট করলো। ভাবছো তুমি সূতোর টানে নাচবে সবাই - । বেশ অদ্ভূত একটা কথা। কিন্তু ভেবে দেখলাম আমরা প্রায় সবাইই ঠিক এরকমটাই আশা করি। পরের লাইনগুলো আরো অদ্ভুত! ভাবছো তুমি ছুটবে জগৎ তোমার তালে! চট করে মনে হলো- সুমন কি এই গানটা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে লিখেছিলেন? নইলে গাইতে গাইতে আমার কেন মনে হলো, গানটা আসলে নিজের চোখে

ফাইভ হান্ড্রেড মাইলস এওয়ে ফ্রম হোম-

Image
If you missed the train I'm on You will know that I am gone You can hear the whistle blow a hundred miles. ... গান শুনি, তার সবই বাংলা গান। ইংলিশ গান খুব বেশি শোনা হয় না। অল্প কিছু, বাছাই করা। তার বেশিরভাগই পরিচিত, সবাই শোনে বা শুনেছে- এরকম। ফাইভ হানড্রেড মাইলস- এই গানটা খুব ভালো লাগে। অঞ্জন দত্তের একটা গান আছে- মিষ্টার হল। ... কানে বাজে এখনো পুরোনো সে পিয়ানোর সুরটা, নিকোটিনে হলদে হয়ে যাওয়া দশটা আঙুল... সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে একশ মাইলের গানটা. ... ওখানেই এটা প্রথম শোনা। মূল গানটা অনেক বেশি স্লো, অঞ্জনেরটার চেয়ে। এখন আমার কাছে মূল গানটাই আছে, অঞ্জনেরটা হারিয়ে গেছে- তবু, ওটাই এখনো ভালো লাগে, মনে মনে। ---------------------- And the land that I once loved is not my own Lord I'm one, Lord I'm two, Lord I'm three, Lord I'm four Lord I'm five hundred miles away from home ...। দেশে কবে যাবো তার ঠিক নাই। অনেক রাতে কাজ থেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে, কখনো ট্রাফিক লাইটে থেমে গিয়ে- নিজের মনে গুনগুন করে উঠি- লর্ড আয়্যাম ফাইভ হানড্রেড মাইলস অ্যাওয়ে ফ্রম হোম- । প্রিয় মানুষদের প্রতিদিন ন

বেসিক ইন্সটিক্টঃ ১ এবং ২

Image
প্রথমটা দেখেছিলাম লুকিয়েলুকিয়ে। তখনো যৌনতা বিষয়ক কিশোরসুলভ চিত্তচাঞ্চল্য বিদ্যমান আমাদের মধ্যে। মানুষের বেসিক ইনস্টিংক্ট কি এটাই নাকি নিষ্ঠুরতা- এরকম কোন জটিলতর ভাবনা তখনো আমাদের কাছে অকারন। লুকিয়ে দেখা আরো অনেক কিছুর লিষ্টে বেসিক ইন্সটিংক্ট নামক সিনেমাটিও ছিলো। মাহেন্দ্রক্ষণে যখন শ্যারোন স্টোন তার পা বদলালেন, সামনে বসে থাকা ডিটেকটিভদের পেছনে তখন আমরাও ছিলাম, আমরা-কিছু উদভ্রান্ত কিশোর, গলায় আটকানো গন্ধম ফলের অস্তিত¡ অস্বিকারের চেষ্টায় বারে বারে ঢোক গিলছি সবাই। আটকানো দরজার এপাশে, কমানো ভলিউমে, একসাথে বসে দেখতে দেখতেও নানা দৃশ্যে নিজেদের মাইকেল ডগলাস ভেবে ফেলবার মত স্বার্থপর নি:সঙ্গতায় আমরা কমবেশি সবাই আক্রান্ত। শ্যারোন স্টোনের তীব্রতায় ডুবতে ডুবতে আমরা নিষিদ্ধ গন্ধ পাই। সেই গন্ধ আমাকে বহু বছর আগে কেনা আমাদের ছোট্ট-নতুন-কাঠের শো-কেসটির কথা মনে পড়িয়ে দেয়। কি অদ্ভুত ঝাঁঝালো একটা গন্ধ ছিলো তাতে, আর কি সুন্দরই না সেই বাদামী রঙের পলিশ করা গা তার, শ্যারোন স্টোনের মতই। দ্বিতীয় পর্ব দেখলাম গতকাল। অনাবশ্যক জটিলতা কাহিনিতে। সেই জম্পেশ সাইকো-থ্রিলার ভাবটি অনুপস্থিত সেখানে, বরং খানিকটা যেন সাই-ফাই।